‘শ্রদ্ধার অভাবে গভীর প্রেমও ফিকে হয়ে আসে।’ প্রেমের চড়াই উৎরাইকে সমরেশ মজুমদার তার ‘গর্ভধারিনী’ বইয়ে এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন। ভালবাসা পাওয়াটা যতটা কঠিন তার চাইতেও কঠিন প্রেমময় সে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। কিন্তু তবুও প্রেমকে চিরসবুজ রাখfর চেষ্টা তো কাজ করেই।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ভালবাসা, ধৈর্য্য আর আত্মমর্যাদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমেই পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় হয়। তবে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের প্রশ্নে কিছু বিষয়ে ফোকাস তো করতেই হবে।
১. আস্থা ও সততা হচ্ছে সুস্থ সম্পর্কের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আস্থার কারণেই পারস্পরিক নির্ভরতা জন্ম নেয়। আর আস্থার উৎস হচ্ছে যখন দু’জনই সততা বজায় রাখবেন। আস্থাশীল হলে পারস্পরিক আলোচনার ক্ষেত্রেও কোনরুপ বাধা কাজ করবে না।
২. নিজেদের মধ্যে কোনরূপ দূরত্ব না রাখতে চাইলেও যোগাযোগের অভাবে এই সমস্যায় পড়তে হয় জুটিদের। তাই সাবলিল যোগাযোগের প্রচেষ্টা থাকতে হবে। শুধুমাত্র নিজেদের আবেগ অনুভূতিই নয়। আলোচনার মাধ্যমে মোকাবেলা করতে সমস্ত কঠিন সময়গুলোর।
৩. প্রেমিক জুটি হোক বা বিবাহিত দম্পতি, নিজেদের মধ্যে ক্ষমাশীলতার চর্চা থাকতে হবে। ভালবাসায় কিছুটা ছাড় দিতে হবে। অন্যথায় সেই ইংরেজি প্রবাদের মত হবে “Couples who can't make up will break up.”
৪.কোন একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অন্যকে সুযোগ দেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দম্পতির সম্পর্ক অব্যহত রাখার ক্ষেত্রে পৃথক স্বার্থ এবং অভ্যাসের বিকাশ একান্ত আবশ্যক।
৫. দম্পতিদের মধ্যে পরম বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকাটা অত্যাবশ্যক। প্রেমিক স্বত্ত্বার পাশাপাশি বন্ধুও হতে হবে।কারণ সম্পর্কের প্রথমে গভীর আসক্তি থাকলেও এটা একসময় কমে আসে। আর তখন পারস্পরিক গভীর বন্ধুত্বই দু’টো মানুষকে একসাথে রাখবে।দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন পার করা বেশিরভাগ বিবাহিত দম্পতিই এ কথার সাথে একমত হয়েছেন।
0 comments:
Post a Comment