বিএসসিআই এর ট্রেনিং ।

জীবনে কিছু কিছু দিনের স্মৃতি সত্যিই ভোলা যায়না ।

Firmgate

Badhon

শুভ জন্মদিন

তোমার জীবনের ছোট্ট ছোট্ট সময়গুলোকে আনন্দের রং লাগিয়ে স্বরনীয় করে রাখতে চেষ্টা করছি । যা সেদিন তোমাকে মনে করিয়ে দেবে যে, এই আমি তোমাকে কতটা গুরুত্ব দিতাম । যেইদিন আমি তোমার জায়গায়..আর তুমি আমার জায়গায় থাকবে।

সোনার গাঁও

কোন কোন মানুষ জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ন হয়ে যায় । কোন কোন দিনও সারাজীবন মনে থেকে যায় । সেরকম একটি দিন ছিল যেদিন এই ছবিটা তুলেছিলাম ।

যে ৭টি কথা সন্তানকে কখনোই বলা যাবে না


mother pic 30-11-13 










বাচ্চারা স্বভাবতই বড়দের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল। আপনি হয়তো সারাদিন বাচ্চার দুষ্টুমিতে অতি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন এবং একটা সময়ে যাচ্ছেতাই বলে বকা দিচ্ছেন তাকে। ভাবছেন সে তো বাচ্চাই, একটু বকাঝকা করলে ক্ষতি কি?

অথচ কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি যে হয়ে যাচ্ছে বাচ্চার মনস্তত্ত্বে তা আপনি ধারণাও করতে পারবেন না। তার ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সাথে সাথে আপনার সম্পর্কেও তার মনে ভয়, ঘৃণা বা রাগের শেকড় ছড়াচ্ছে যা থেকে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির অবতারণা হতে পারে।

এমন কিছু কথা আছে যেগুলো বাচ্চার সামনে কোনভাবেই বলা যাবে না অথচ একটু রাগ বা বিরক্তি হলেই আমরা চিন্তা না করেই সেগুলো বলে ফেলি। পরে আক্ষেপ হলেও কিছু করার থাকে না, যা ক্ষতি হবার তা হয়ে গেছে ততক্ষণে। দেখে নিন এই কথাগুলো কি হতে পারে।

১) তোমাকে রেখে চলে যাবো কিন্তু!

বাচ্চা খুব দুষ্টামি করছে। হাত পা ছুড়ছে। অকারণে জেদ করছে। বিরক্ত হয়ে বলেই ফেললেন এ কথাটা। সত্যি সত্যি তো আর নিজের বাচ্চাকে ফেলে রেখে যান না কেউ। কিন্তু বাচ্চার মনে অকারণেই একটা ভয় সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং আপনার ওপর থেকে তার আস্থা কমে যেতে শুরু করবে একদম কচি বয়স থেকেই।

২) তোমার ভাইয়া/আপুর মতো লক্ষ্মী হতে পারো না?

প্রত্যেকটি শিশুই স্বতন্ত্র। আপনি অবহেলা করে তাকে এবং তার ভাইবোন/কাজিন বা অন্য কোনও বাচ্চার সাথে তুলনা করতে পারেন। এতে তার স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব গঠনে ছেদ পড়বে। আর নিজেকে অন্যের চাইতে ছোট মনে করা শুরু করবে সে।

৩) তোমার লজ্জা হওয়া উচিত!

একটা ছোট বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। সে সব কাজই করে নিষ্পাপ উদ্দেশ্য নিয়ে। ভুল করে ফেললে তাকে বোঝাতে হবে যে কাজটা ঠিক নয়। কিন্তু সে যখন বুঝতে পারছে না ভুলটা কি করেছে, তখন এসব কথা বলে তাকে বিভ্রান্ত করার কোনও মানে হয় না।

৪) আমি যা বলবো সেটাই করতে হবে!

আবারো বলছি, বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। সে একটা কাজ করতে চাচ্ছে না। যেমন সবজি বা দুধ খেতে আপত্তি করছে। এমন সময়ে একটু ধৈর্য ধরে তাকে বোঝান কেন সেটা খেতে হবে, প্রয়োজনে গল্পের মতো করে উপকারিতা বর্ণনা করতে পারেন। কিন্তু জোর করে, বকা দিয়ে কাজ করাতে গেলে তার মাঝেও জেদ তৈরি হবে।

৫) দাও, আমি করে দিচ্ছি

বাচ্চা ছোটোখাটো কোনও কাজ করতে গিয়ে হয়ত বেশ ঝামেলা তৈরি করে ফেলছে। যেমন খাবার নিজ হাতে খেতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেলছে, গোসল করতে গিয়ে পানি ছিটিয়ে একাকার করছে, জুতো পরতে অনেক সময় নিচ্ছে। এ অবস্থায় ধৈর্য ধরে তাকে কাজটা শিখতে না দিয়ে অনেকেই বাচ্চার কাজটা নিজেই করে দেন। বাচ্চার উপকার করার বদলে এতে ক্ষতিই হয় কারণ এর ফলে বাচ্চার মাঝে পরনির্ভরশীলতা তৈরি হয়। আর আগ্রহ নিয়ে কোনও কাজ করতে গিয়ে বাচ্চা যখন দেখে মা অথবা বাবা সেটা করতে দিচ্ছে না তখন তার মাঝে বিরক্তি তৈরি হয়।

৬) তোমার জন্যই আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে!

এ ধরনের কথা বলাটি খুব বড় ভুল। বাবা মায়ের মাঝে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বাচ্চা নিজে থেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, নিজেকে অবহেলিত এবং বোঝা বলে মনে করতে থাকে। এর মাঝে যদি তাকে এমন একটা কথা বলা হয় তবে প্রচণ্ড কষ্ট পাবে সে। বাবা মায়ের দোষের বোঝা তাকে কখনোই বহন করতে দেবেন না।

৭) তুমি না জন্মালেই ভালো হত!

নিজের সন্তানকে ভালবাসলে এমন হৃদয়হীনের মতো কথা বলা সম্ভবই না। বাচ্চার মনে কেমন কষ্ট লাগবে সেটা বলে দেবার প্রয়োজন নেই। আপনি নিজেই ভাবুন তো, আপনার বাবা মায়ের কাছ থেকে এমন কথা শুনলে কী রকমের আঘাত পাবেন আপনি?

যে ৫ ধরনের পুরুষকে পছন্দ করেন নারীরা!

বলা হয়ে থেকে যে স্বয়ং বিধাতাও নারীর মন বোঝেন না। সেখানে পুরুষের বোঝার তো প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু অনেক পুরুষেরই হয়তো জানার ইচ্ছা হতে পারে যে কেমন পুরুষদেরকে পছন্দ করে নারীরা। কিংবা হয়তো এটাও জানতে ইচ্ছে হতে পারে যে নারীরা আসলে কী খোঁজেন পুরুষের মধ্যে। আসুন জেনে নেয়া যাক ৫ ধরনের পুরুষ ব্যক্তিত্বের কথা, যাদেরকে নারীরা পছন্দ করেন সব চাইতে বেশি।

হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত

নারীরা সবসময়েই হাসিখুশি পুরুষদেরকে পছন্দ করেন। খুব বেশি গম্ভীর পুরুষ কিংবা বেশিরভাগ সময়েই রেগে থাকে এমন পুরুষদেরকে নারীরা পছন্দ করেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে সব পরিস্থিতেই হাসিখুশি থাকতে পারেন, অল্পতেই রেগে যান না, এমন পুরুষের প্রতিই নারীরা আকর্ষন বোধ করেন। হাসি যত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও সুন্দর হয় নারীর আকর্ষণের মাত্রাও তত বাড়ে। 

খোলা মনের উদার মানসিকতা সম্পন্ন

মন খুলে কথা বলে কিংবা মন খুলে মানুষের সাথে মিশতে পারেন,পৃথিবীর প্রতি উদার ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি আছে- এ ধরণের পুরুষদেরকে নারীরা পছন্দ করে থাকেন সর্বাধিক। সাধারণত যে ধরনের পুরুষরা কিছুটা চাপা স্বভাবের হয় তাদেরকে নারীরা কিছুটা এড়িয়ে চলতেই ভালোবাসেন। আর যেসব পুরুষেরা সহজেই মানুষের সাথে মিশে যান এবং সখ্যতা গড়ে তুলতে পারেন, তাদের প্রতি নারীরা বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকেন।

পড়ালেখায় ভালো

ভালো ছাত্রদের প্রতি নারীরা বরাবরই দূর্বল। পড়ালেখায় ভালো এমন পুরুষের ভবিষ্যত কর্মজীবনও উজ্জ্বল হবে, এমন ধারণা করেই নারীরা এ ধরণের পুরুষদের প্রতি আকর্ষন বোধ করে থাকেন। তাই বলে শুধু মাত্র পড়াশোনা নিয়ে ডুবে থাকে এমন পুরুষদেরকে নারীরা খুব একটা পছন্দ করেন না। একই সঙ্গে ভালো রেজাল্ট এবং চটপটে, এমন পুরুষদের প্রতিই আগ্রহবোধ করে থাকেন তারা।

বন্ধুবৎসল

যেসব পুরুষরা অনেক বন্ধুবৎসল তাদের প্রতি নারীদের দূর্বলতা থাকে। বন্ধুবৎসল পুরুষরা স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তায় অনেক প্রাণবন্ত ও উচ্ছল হয়। সেই সাথে উদার মানসিকতারও হয়ে থাকেন তারা। আর তাদের এই বৈশিষ্ট্যটিই নারীর মনোযোগ কেড়ে নেয়। এছাড়াও বন্ধুবৎসল পুরুষদের কথাবার্তাতে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় যা নারীরা পছন্দ করেন।

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ও বিপদ মোকাবেলায় পারদর্শী

একটা প্রচলিত ধারণা আছে যে নারীরা বিপদ আপদ এড়িয়ে চলতে ভালোবাসেন। কথাটা হয়তো খুব একটা ভুল নয়। কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে অ্যাডভেঞ্চার করতে ভালোবাসেন এমন পুরুষদেরকেই নারীরা পছন্দ করেন বেশি। এ ধরণের পুরুষদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনোই বিরক্তি বোধ করেন না নারীরা, তাদের সাথে জীবনের প্রতিটি ধাপই এক একটা অ্যাডভেঞ্চারের মত। একই সাথে এই ধরনের পুরুষদের সাথে নিজেকে অনেক বেশি নিরাপদ মনে করে থাকেন নারীরা। কেননা তারা নিশ্চিত জানেন যে পুরুষটি বিপদ মোকাবেলার সাহস ও ক্ষমতা রাখেন। প্রচন্ড সাহস ও বুদ্ধিমত্তার কারণে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পুরুষরা সবসময়েই নারীদের কাছে প্রিয়।

বোকা মেয়ের ডায়রি- ধর্ষক যখন নিজেরই পিতা!

বেশিদিন আগের কথা নয়, ইরানে এক ব্যক্তি নিজের পালক কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন বলে ছি ছি রব উঠেছিল পৃথিবী জুড়ে। যারা সংবাদটি পড়েছেন তাদের মাঝে গা শিউরে ওঠার অনুভব হয়নি একথা কেউ স্বীকার করতে পারবেন না। একজন মমতাবান পিতা হতে শুরু করে একজন কন্যা পর্যন্ত, সকলেই শিউরে উঠেছিলেন। শিউরে ওঠার মতন ঘটনা অবশ্যই। পিতা তো পিতাই, পিতৃ স্নেহে লালন করার পর একজন মানুষ কীভাবে একটি বালিকাকে দিয়ে নিজের যৌন ক্ষুধা মেটায়... কীভাবে পারে... অনেক চিন্তা করেও ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারিনি আমি। রাতের পর রাত তখন ঘুমাতে পারতাম না। একটি ছোট্ট মেয়ের কথা মনে হতো, পিচ্চি একটা এই টুকুন মেয়ে, যাকে রেপ করে যাচ্ছে নিজেরই পিতা। 

কিন্তু আজকে যা দেখলাম... আমি দুর্বল মানুষ নই, কিন্তু স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই যে আমার অন্তরাত্মা হিম হয়ে গিয়েছে সংবাদটি পড়ে। গত বৃহস্পতিবারের সংবাদ, ভারতের টাইমস ওফ ইনডিয়া সহ বেশিরভাগ প্রথম সারির পত্রিকায় এসেছে। দেখানো হয়েছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলোতেও। অনেকের ফেসবুকেই নানান রকম লিঙ্ক দেখতে পাচ্ছিলাম, এক পর্যায়ে যখন পড়তে গেলাম মনে হলো কেউ আমার মুখে কষে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিয়েছে। সংবাদটি কোন দেশের সেটি জরুরী না, কোন দেশে ঘটেছে সেটাও জরুরী না। তার চাইতে অনেক বেশি জরুরী এটাই যে সংবাদটি কি ভীষণ ভয়াবহ! পিতা তো পিতাই, দেশ-কাল-জীবনের সীমানা পেরিয়ে পিতা। সেই পিতা কি করে নিজের সন্তানকে ধর্ষণ করে? 

হ্যাঁ, নিজের কন্যাকে ধর্ষণ করে চলেছে এক ভারতীয় পিতা। না, পালক কিংবা সৎ পিতা নয়। নিজের আপন পিতা, আপন জন্মদাতা। তাও একবার দুবার নয়, একটানা ১১ বছর যাবত ক্রমাগত ধর্ষণ করে চলছে ৫০ বছর বয়সী এই পিতা তার নিজের কন্যাকে। (এই জানোয়ারকে আসলে পিতা বলা যায় কি?) মেয়েটির যখন ১৫ বছর বয়স তখন থেকে শুরু হয় এই পৈশাচিক ঘটনা, এবং পুলিশ ও মানবাধিকার কর্মীরা তাকে উদ্ধার করার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে টানা ১১ বছর যাবত। শুধু তাই নয়, ৮ বছর বয়সী একটি সন্তানও আছে কন্যার ঘরে এই পৈশাচিক লোকটার। এবং এই পিশাচ নিজের আপন কন্যাকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

এমন নয় যে লোকটার স্ত্রী বা মেয়েটার মা নেই। তিনিও জীবিত আছেন ও একই সাথে থাকেন। কিন্তু দুই অসহায় নারী কিছুতেই ঠেকাতে পারেনি এই দানব লোকটাকে। কিছু করতে গেলেই বীভৎস মারধোর ও নির্যাতন তো আছেই, পাশাপাশি আছে না খাইয়ে বন্দী করে রাখার মত পাশবিক নির্যাতন। ১৫ বছর বয়সে যে পাশবিকতার শুরু হয়, তার ফল সরূপ ১৮ বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে মেয়েটি। তখন স্বামী হওয়ার ভুয়া পরিচয় দিয়ে একটি হাসপাতালে তার সন্তান প্রসব করানো হয়... 

কাহিনী আরও অনেক লম্বা। লিখতে গেলে বিশাল মহাকাব্য লেখা যায়। ১১ বছরের পাশবিক নির্যাতন ও যন্ত্রনার ভয়াবহ বিবরণ দেয়া যায়। কিন্তু সত্যি বলি, আমার মতন ক্ষুদ্র মানুষের ক্ষমতা নেই এর বর্ণনা দিতে পারি। আমার কলমে এত শক্তি নেই যে এই ব্যাপারটির ভয়াবহতার বর্ণনা দিতে পারি। 

একজন বাবা... যাদের কাজ সন্তানকে বুকে আগলে রক্ষা করা। সে কি করে পারে এমন করতে? কি করে পারে নিজের কন্যার দেহকে নগ্ন করে প্রতিদিন ধর্ষণ করতে, তার ঘরে সন্তান জন্ম দিতে? কীভাবে? তাও টানা ১১ বছর? এই দীর্ঘ সময়ে একবারের জন্যেও কি লোকটা বিবেকের তাড়না বা দংশন অনুভব করেনি? নিজের শরীরের অংশ দিয়ে যে সন্তানকে জন্ম দিয়েছে, কি করে একটা মানুষ পারে তাকে ধর্ষণ করতে? কীভাবে? 

মানুষ হিসাবে আমি লজ্জিত হই প্রতিদিন। কারো কন্যা হিসাবে ভয়ে শিউরে উঠি। আর বিধাতার সামনে প্রশ্ন একটাই বারবার- নারীর কি শরীরটাই সব হে বিধাতা? নারীর কি শরীরটাই একমাত্র পরিচয়? তার কি আর কোন পরিচয় নেই? আর কোনই কি অস্তিত্ব নেই?

কেন যেন মাঝে মাঝেই মনে হয়, খুব ভালো হয়েছে বিধাতা আমাকে একটি কন্যা দেন নি। খুব ভালো হয়েছে... এই অন্ধকার অধর্ম দিয়ে ঠাসা পৃথিবীতে আমি একজন কন্যাকে আনতে চাইনা কেবল দুঃখ ভোগ করার জন্য।

(আমি তুচ্ছ অসহায় মানুষ। কিছু করার অক্ষমতায় যখন নিজের প্রতি ঘেন্না জন্মায়, মাথা হেঁট হয়ে যায়- তখন মনে যা আসে দু কলম লিখে ফেলি। পাঠকের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কাম্য)

বোকা মেয়ের ডায়রি

শেষ রাতের চিঠি



নীল্ পরি

এখন রাত ০৩.৪৫ মিনিট  ঘুম আসছে না  কি করবো তাই তোমার কাছে কিছু ফেলে আসা দিনের কথা লিখতে বসলাম

আগামী ২০ জানুয়ারী ২০১৪ তোমার পরীক্ষা, অথচ এত তারাতারি তুমি আমাক তোমার ডেইলি রুটিন থেকে বাদ দিয়া দিলা, এটা কি মানবতা বিরোধী নয় ? অন্তত এক মাস আগে নোটিশ করতে পারতা , আজই নোটিশ, আজই বরখাস্ত, তাও আবার ৯০ দিনের জন্য, সত্তিই একটু বেশি অমানবিক... 

এমন কি হতে পারেনা যে ৯০ দিন পর যখন তুমি ফিরলা, আমি ততদিনে কোনো ভুল পথে চলে গেছি, হবেই তা সিওর না, হতেও তো পারে, আমি জানি আমার প্রতি তোমার সে বিশ্বাস আছে যে বিশ্বাস এর  জয় নিশ্চিতথাক ও সব কথা

আজ তুমি পাসে নেই তাই হয়ত ফেলে আসা দিনের কথা বার বার মনে পরছে তোমার সাথে কাটানো এতগুলো দিনের সুখের মুহুর্তগুলো বিনা দরকারে ফোন করা, এস এম এস করা কিংবা অহেতুক তোমার সাথে বক বক করা মুহূর্তগুলো আমি সারাজীবনেও ভুলতে পারবনা

আমার খুব ইচ্হে, তুমি যেদিন ফিরে আসবে, নীল শাড়ি পড়া তোমাক নিয়া বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রিচ্ক্সায় ঘুরে বেড়াব আর বৃষ্টির সুগন্ধ অনুভব করব. কারণ খুব কম লোক আছে যারা বৃষ্টি অনুভব করে..বাকিরা সবাই ভিজে

আজ আর লিখতে ইচ্চা করেনা, সময় পেলে কাল আবার লিখব, ভালো থাকোআর মনে রেখো তোমার ফিরে আসার গুরুত্ব কারো কাছে না থাকলেও আমার কাছে অনেক, তাইত অপেক্ষায় থাকব


তোমার নীল

স্বামীকে খুশি করতে স্ত্রী যা যা করতে পারেন...


সংসার করতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার পাশাপাশি শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা থাকাটা অপরিহার্য। দাম্পত্য জীবনে সুখ-দুঃখ সমানভাবে ভাগ করে নেয়ার মধ্যেই প্রকৃত আনন্দ নিহিত।

স্ত্রী কিভাবে স্বামীর সুসময়-দুঃসময়ে পাশে থাকতে পারেন ও তার কি করণীয় সে সম্পর্কে এখানে ৫টি টিপস দেয়া হলো:

১) মন ভালো করতে চকলেট বার: 

পুরুষরা নিজেদের আবেগকে লুকানোর ক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী। আপনার স্বামী যদি কোন কারণে খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হন বা হালকা কান্নাকাটি করেন, আপনি হয়তো তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারবেন না। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। এ সময়টা স্বামীকে সঙ্গ দিন, তার পাশে থাকুন। যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকে, তবে একটি চকলেট বার আপনার স্বামীর খারাপ মুডটাকে ভালো করে দিতে পারে। চকলেট যে মুড ভালো রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, তাতো এরই মধ্যে গবেষকরা প্রমাণ করেছেন। ভালো ব্র্যান্ডের চকলেট মাঝে-মধ্যে একটু-আধটু খাওয়া যেতে পারে।

২) পুরুষরাও একটু অন্তরঙ্গতা চায়: 

পুরুষরাও চান তার স্ত্রী তাকে কিছুটা একান্ত সময় উপহার দেবেন। সেটা হতে পারে হাত ধরে পাশাপাশি কিছুক্ষণ বসে মনের কথাগুলো শেয়ার করা বা আরও বেশি অন্তরঙ্গতা।

৩) আবদারের মাত্রায় রাশ টানুন: 

স্বামীর কাছ থেকে যতোটুকু আশা করতে পারেন, তার বেশি না করাটাই সমীচীন। বহু আবদার থাকতেই পারে। তাই বলে সবসময় তাকে আপনার মনের কথাটা বুঝতে হবে, আপনাকে খুশি করার জন্য নতুন নতুন সারপ্রাইজ দিতে হবে এ ধরনের আবদার মাত্রাতিরিক্ততার পর্যায়ে পড়ে। স্বামীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার আবেগ, অনুভূতি বা মেজাজে পরিবর্তন এলেই স্বামী তা ধরতে পারবেন, এমনটা মনে করা উচিত নয়। তাই সহধর্মীনির পাশাপাশি উত্তম সহযোগী হয়ে ওঠাটাও বাঞ্ছণীয়।

৪) পুরুষরাও রোমান্স ভালোবাসেন: 

স্বামীরা হয়তো অনেক সময় বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু, তারাও আসলে রোমান্স পছন্দ করেন। সমুদ্র সৈকতে একসঙ্গে হাত ধরে হাঁটা, রেস্টুরেন্টে ক্যান্ডেল-লাইট ডিনার, ঘরে একান্তে মন খুলে গল্প করা, একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া- এ বিষয়গুলো কিন্তু পুরুষরাও ভালোবাসেন। আর আপনি যদি আপনার স্বামীকে খুশি করতে নিজে থেকে চিন্তা করে তাকে কোন সারপ্রাইজ দেন, তাতে নিঃসন্দেহে তিনি ভীষণ খুশি হবেন। সেটা তিনি মুখে যদি নাও বলেন, অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট তা ফুটে উঠবে।

৫) নিজেও দায়িত্ব নিন: 

 নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে মাঝে-মধ্যে ঘরোয়া সিদ্ধান্তগুলো নিন। তাতে আপনার স্বামীর ওপর মানসিক চাপটা কমবে। স্বামীর পাশে থাকার অর্থ, তার সুখ-দুঃখকে সমানভাবে ভাগ করে নেয়া। তিনি কোন সমস্যায় পড়লে বা কঠিন সময় অতিক্রম করলে, অন্তত বুদ্ধি দিয়ে তাকে সহযোগিতা করুন।

ভালোবাসার মানুষকে সুখী করার ১০ উপায়

 রোমান্টিক সম্পর্কের গবেষকরা ভালোবাসা টিকে থাকা আর টিকিয়ে রাখা নিয়ে গবেষণা করেছেন বহু।
গবেষক নাথানিয়েল ব্রান্ডেন ও রবার্ট স্টার্নবার্গের গবেষণায় এমন ১০টি উপায় বাতলানো হয়েছে যাতে ভালোবাসার মানুষ সুখী হয়।

১. যদিও এটা সত্য যে কাজ সব সময়ই বলার চেয়ে উচ্চ স্বরে কথা বলে। তবুও বলা মাঝে মাঝে কাজ এর চেয়ে স্পষ্টতা নিয়ে আসে। সঙ্গীর প্রতি আপনার অনুভূতিকে বলায় পর্যবসিত করার প্রতিটি সুযোগই কাজে লাগানো উচিত। আমি তোমায় ভালবাসি বা তুমিই আমার পৃথিবী এ ধরণের সাধারণ কথাবার্তাও আপনার সম্পর্ককে প্রত্যাশিত, আকাঙ্ক্ষিত এবং নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।

২. সঙ্গীর কোন গুণটিকে আপনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন, তা তাকে নিয়মিত জানতে দিন। এমন গুণ, যার প্রশংসা আপনি করেন, যা আপনাকে গর্বিত করে। আপনার দৃষ্টিতে এসবের শক্তি কোন জায়গায় তাও তাকে বলুন। একটি রোমান্টিক সম্পর্ক কেবল শুরুর সম্পর্ক নয়। এটি মানুষকে তাদের জীবনকালব্যাপী এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। তাই আপনার সঙ্গীর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দিকটি বিকাশে সহযোগিতা করে তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা দিন।

৩. সঙ্গীর পিঠে হাত বুলিয়ে দেওয়া, সোফায় বসলে কাঁধের উপর দিয়ে হাত দেওয়া, পাশাপাশি বসলে থাইতে হাত রাখা, হাঁটার সময় তার হাত ধরা ইত্যাদি আপনার সঙ্গীকে ভালবাসার উষ্ণ পরশ বুলিয়ে দেবে। এটা এমন ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে যা আপনি সত্যিই তার জন্য অনুভব করেন। এই ধরনের ছোট ছোট পরশগুলো দীর্ঘ রাতের যৌন সম্পর্কের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

৪. আপনার পছন্দ-অপছন্দ, স্বপ্ন-ভয়, অর্জন-ভুল বা অন্য যে কোন কিছুই কেবল আপনার নয়। এটা যদি আপনার নিকট কোন গুরুত্ব পায়, তাহলে তা অবশ্যই আপনার সঙ্গীকে বলুন। এটা নিশ্চিত করুন যেন, আপনার সঙ্গীর সঙ্গেই আপনার শেয়ারিংয়ের মাত্রাটি সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে এ কথাটিও মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে কাছের অন্তরঙ্গ সম্পর্কেও মানুষের ব্যক্তিগত স্পেসের প্রয়োজন হয়। এ কথাটি মনে রেখে আপনাকে এবং আপনার সময়ের সর্বাধিক পরিমাণ তার সঙ্গে শেয়ার করুন।

৫. চাকরি হারানো বা কোন প্রিয়জনের মৃত্যুর মতো মানুষের জীবনের বড় কোন চ্যালেঞ্জেতো আপনি অবশ্যই আপনার সঙ্গীর পাশে থাকবেন। তবে জীবনের ছোট ছোট প্রয়োজনেও তার পাশে থাকা প্রয়োজন। সম্পর্কটি যেন কোনভাবেই এমন না হয়ে যায় যে, আপনারা কেবল একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন। অবশ্যই কোন ধরনের শারীরিক নির্যাতন বা বকাঝকা করা যাবে না। ঝগড়া দেখা দিলে নিচু স্বরে কথা বলুন। কোন বিষয়ে সে বিরক্ত হয়, সেটি জানতে চেষ্টা করুন। তার প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। তাকে সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করুন। এমন কি সেটা যদি এমন হয় যে, আপনি তাকে দয়া করছেন, তাহলেও তাকে জিজ্ঞেস করুন, এটা তার প্রয়োজন কি-না।

৬. আপনার সঙ্গীকে উপহার দিন। সেটা সব সময় অনেক বড় কিছু হতে হবে এমন নয়। সেটা একটি বই, তার পছন্দসই কোন মিষ্টান্ন, কম দামের একটি গহনা বা পোশাকও দিয়েও এটা করা যেতে পারে। তুচ্ছ বা বড় যাই হোক, তাকে কেবল বুঝতে দিন যে, আপনি তার সম্পর্কে ভাবছেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ছোট একটি চিরকুটে জানিয়ে যেতে পারেন, আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। অফিসে ভীষণ ব্যস্ততার মাঝেও আমি তোমাকে ভালবাসি- এই এসএমএসই তাকে পাঠাতে পারেন নতুন করে। এ সবের মাধ্যমে আপনার সঙ্গী আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে তৃপ্তি ও নিরাপত্তার অনুভূতিতে থাকবে।

৭. আপনি যতই ব্যস্ত হোন না কেন, সপ্তাহে একটি বা দু’টি বিকেল তার সঙ্গেই কাটান। আপনার নতুন অভিজ্ঞতাগুলো, নতুন গল্পগুলো তাকে বলুন।

৮. বিশাল ও সীমাহীন চাহিদা হচ্ছে, যে কোন সম্পর্কের বড় হন্তারক। আপনার বিবাহিত সঙ্গী রোবট নয় যেন তিনি সকল মানবিক ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার সীমার ঊর্ধ্বে থাকবেন।

৯. সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন কিছু মেনে নিতে হচ্ছে এমনটা না হওয়া। আপনাদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে প্রাত্যহিক জীবনে ছোট ছোট অনেক কিছু আপনার সঙ্গী আপনার জন্য করে থাকে, সেই সব আশীর্বাদের কথা স্মরণ করুন।

১০. সম্পর্কে আপনারা সোনালি নীতি অনুসরণ করুন। সঙ্গীর জন্য সেসব বিষয়কে পছন্দ করুন, যা আপনি নিজের জন্য পছন্দ করেন। এমন কিছু প্রত্যাশা করবেন না, যার বিনিময় দিতে আপনি অনিচ্ছুক।

আগে ডাক্তার, পরে বিয়ে

doctor








বিয়ে শব্দটির সঙ্গে রোমাঞ্চকর সুখানুভূতি জড়িয়ে আছে। কিন্তু বিয়ে শুধু দুটি মানুষের মধ্যে মিলনই নয়; বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁদের পরিবার এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা এই আনন্দকে ম্লান করে দিতে পারে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে হবু স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের পরিবারের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্য যাচাই করে এমন একটি পরিবার তৈরি করার, যাতে তাঁরা উপভোগ করবেন নির্ভার-নিশ্চিন্ত জীবন, আবার তাঁদের ভবিষ্যৎ বংশধররাও হবে অনেক রোগ থেকে মুক্ত ও স্বাস্থ্যবান।

সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

ছেলেমেয়ের বয়স বেশি না কম, শারীরিক উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের কোনো সমস্যা, হেপাটাইটিসসহ সব টিকা দেওয়া আছে কি না, বিড়ি-সিগারেট, মদ-গাঁজা বা অন্য কোনো নেশা করে কি না, মানসিক অবস্থা ঠিক আছে কি না জেনে নিতে হবে।

বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব হতে পারে। বিদেশে পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বয়সী বাবাদের সন্তানদের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়, তিরিশের পরে প্রথম বাচ্চা নেওয়াটা খুবই ঝুঁকির ব্যাপার। তাই যাঁদের বেশি বয়সে বিয়ে হবে তাঁদের এই ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে। যেটা শুধু তাঁর নিজের নয়, সন্তানের জন্যও বিপদের কারণ হতে পারে।

আবার মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ খুব ঝুঁকির ব্যাপার। আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ অল্প বয়সে সন্তান ধারণ। তাই বিয়ের জন্য বয়স বিবেচনা করাটা খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের বয়সের পার্থক্যের দিকটিও লক্ষ রাখতে হবে। বিয়ে শারীরিক ও মানসিক সফলতার জন্য পাত্রপাত্রীর বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের মধ্যে থাকাটা ভালো।

বংশগত রোগ : 

সাধারণত যে ধরনের বংশগত রোগ বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশিতে একধরনের দুর্বলতা), নার্ভের বিশেষ কয়েকটি অসুখ, এপিলেপ্টিক ডিজঅর্ডার (মৃগী রোগ), মানসিক অসুস্থতা_যেমন সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার, যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক), ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ওবেসিটি, অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি।
সন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হয় এমন কিছু বংশগত রোগ রয়েছে, যা শারীরিকভাবে প্রকাশিত না-ও হতে পারে। মূলত শারীরিকভাবে প্রকাশিত হয় না এমন রোগের জন্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে হলে বা একই গোত্রভুক্ত হলে বিয়ের আগেই এ ধরনের পরীক্ষা করা জরুরি। বংশগত রোগের ক্ষেত্রে যেমন মা-বাবা দুজনের জিন থেকে অসুখ দেখা দেয়, আবার অনেক সময় মা-বাবা কোনো একজনের জিন থেকেও অসুখ হতে পারে।

ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বংশগত বা হেরিডিটারি ডিজিজের সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন হিমোফেলিয়ার (রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা) সমস্যা, কালার ব্লাইন্ডনেসের মতো সমস্যা অনেক সময় মায়ের থেকে ছেলের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়েসন্তানরা আক্রান্ত হয় না। এমন অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক রোগ মহিলাদের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় যেগুলো তারা বহন করে, কিন্তু রোগটি তার ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। এটা ছেলেসন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হলে ক্ষতিকর হতে পারে। শরীর থেকে রক্ত বা টিস্যু নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগগুলো নির্ণয় করা হয়।

বন্ধ্যত্ব :

যৌন অক্ষমতা বা ধ্বজভঙ্গ, অ্যাজোসপারমিয়া এবং সন্তান ধারণে অক্ষমতার মতো সমস্যা থাকলে দম্পতির ভবিষ্যৎ পরিণতি ভালো হয় না। হরমোন ও সিমেন (শুক্র-ধারক বীর্য) অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে এর একটি সমাধান পাওয়া সম্ভব। আশার কথা, ৯৮ শতাংশ তরুণেরই কোনো শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায় না।

মাত্র ২ শতাংশ তরুণের অ্যাজোসপারমিয়া বা সন্তান ধারণের অক্ষমতা ধরা পড়ে। বিয়ের মাধ্যমে মানুষ তার সন্তান কামনা করে এবং বংশগতি রক্ষা করে। বন্ধ্যত্ব হতে পারে পুরুষ-নারী উভয়ের। তেমনি বন্ধ্যত্ব হতে পারে পারিবারিক জীবনে চরম অশান্তির বড় কারণও। তাই আপাতদৃষ্টিতে এ-সংক্রান্ত পরীক্ষা নিষ্প্রয়োজন মনে হলেও চিকিৎসা দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

যৌন রোগ

বিয়ে বা শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে এমন কিছু রোগ ছড়ায়, যা সঙ্গীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ইদানীং সিফিলিস, গনোরিয়া, জেনিটাল হারপিস, স্যানক্রয়েডসহ নানা যৌন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করা যায়। তাই বিয়ের আগে সম্ভব হলে ভিডিআরএল, প্যাপস্মেয়ার ইত্যাদি পরীক্ষা করে (রোগ থাকলে) তার চিকিৎসা করে নিলে নিজের পরিবারটিই রোগমুক্ত থাকবে। তাই নিজ উদ্যোগে এ-জাতীয় পরীক্ষা করা দরকার।

এ ছাড়া এইডসের মতো রোগের ঝুঁকি তো আছেই। এখন আর চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়ার সময় নেই যে এ-জাতীয় রোগ থেকে একজন মানুষ মুক্ত। তা ছাড়া বিজ্ঞানের এই যুগে সেটা ভাবাও বোকামি। তাই পরীক্ষা করে নিন।

রক্তরোগ :

বিয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তের রোগ নির্ণয়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে পারিবারিক জীবনে কিছু জটিলতা হতে পারে। যাঁদের রক্তে আরএইচ ফ্যাক্টর নেই তাঁদের রক্তের গ্রুপ 'নেগেটিভ' বলা হয়, যেমন এ নেগেটিভ, বি নেগেটিভ ইত্যাদি। নেগেটিভ গ্রুপধারী কোনো নারীর সঙ্গে পজিটিভ গ্রুপধারী পুরুষের বিয়ে হলে তাঁদের সন্তান জন্মদানের সময় জটিলতা হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এর পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, রক্তের কোনো অসুখ আছে কি না পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে।

ওগো লক্ষ্মী গিন্নি

ওয়ারিশা তাহসিন স্বপ্ন    
গিন্নি 















বৃষ্টি পড়ে অঝর ধারায়, বৃষ্টি পড়ে নিঃশব্দ ভেঙ্গে মন পাড়ায়। আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নেমেছে। রোজ রাতে বোকার মত শহরটা আপনাকেই দেখত আজ মুখ ফিরিয়ে বৃষ্টি দেখছে। যেন আমি আজ অপরিচিতা কেউ। আপনার শহরটা আপনার গৃহকর্তা। যার চোখের মোটা চশমায় রোজ রাতে আপনি সত্যি শহরের সারাদিনের বায়োস্কোপ দেখেন। আপনি গিন্নি তাই দিন ভর সংসার বাঁচান আর তিনি গৃহকর্তা রোজ সন্ধ্যায় আপনার জন্য স্বপ্ন কিনে বাড়ি ফিরেন। এমনটায় আমাদের মধ্যবৃত্ত বাঙ্গালি পরিবারের দাম্পত্য গল্পগুলো। এই গল্পের মূলমন্ত্র সংসার সুখী হয় রমনীর গুনে। 

তাই মুখ ফিরিয়ে রাখা মানুষটিকে থাকতে দিন আরো কিছুক্ষণ ওভাবে আপনি গিন্নি বরং জেনে নিন নীচের ৩টি টিপস। নিশ্চয় চাইচ্ছেন সুবোধ বালকটির মত মোটা চশমার মানুষটির আবারো রাতভর শব্দ খুঁজুক আপনার চুলের খোঁপাতে। ওয়ান নিউজের জন্য লেখাটি লিখেছেন ওয়ারিশা তাহসিন স্বপ্ন।
news 2 417754 3885965441697 
ভাবুন
 
 








হুট হাট কিছু না কোন আচরণ না করে একটু সময় নিয়ে ভাবুন আপনার কোন ব্যাবহারে উনি হাট হয়েছেন কিনা। একবার পুরো বিষয়টার সঙ্গে মিলিয়ে নিন আপনার আচরণ কিংবা কাজগুলি কতটুকু সঠিক ছিল। এবার নিশ্চয় আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন কিভাবে গৃহকর্তার কাছে নিজের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করবেন। যদি এমন হয় গৃহকর্তা নিজে অসংযত তবে আপনার মত করে তাকেও একটু ভাবার অনুরোধ করুন। দাম্পত্য কলহ বাড়ে নিজেদের অসংযত আচরণের জন্য। আর খুব বেশি ভেবে করে না বলেই মানুষ অসংযত আচরণ করে। তাই বাড়ার আগে দূরত্বের গলা টিপে ধরুন যে কোন বিষয়ে আগে ভাবুন এরপর করুন।

আত্মবিশ্বাসী হোন
 
নারীরা নিজেদের পরাধীন ভাবে বলেই একটা হীন মনস্কতায় ভোগেন এটা একেবারে ফেলে দিবার মত কথা নয়। আর আমাদের গল্প গুলো বলে এই মানসিক টানপরনের প্রভাব অনেক জোরালো ভাবেই আমাদের দাম্পত্য জীবনে পড়ে। তাই নিজেকে একলা কিংবা অসহায় ভাবার আগে মিলিয়ে নিন তো এই সংসারের জন্য আপনার অবদান কতটুকু। এবার নিজেই পেয়ে যাবেন এই সংসারে কিংবা কর্তার জীবনে আপনার অবস্থান কতটুকু। যদি কমতি মনে হয় তবে পুশিয়ে নিতে পারবেন এমনটায় বিশ্বাস রাখুন। মিলিয়ে দেখুন দাম্পত্য জীবনে যে অবস্থায় যে ভাবেই আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন ততবারই আপনি সফল হয়েছেন। কথায় আছে , আত্মবিশ্বাসে মিলে সফলতা টার্গেট তা সে যাই হোক।

সন্দেহ কমান কথা বাড়ান
 
একেবারে ছেড়ে দিয়ে ভাববেন এমনটা বলছি না। তবে সব সময় গৃহকর্তাকে সন্দেহ করবার কিছু নেই। এতে করে হিতে বিপরীত হয়। তিনি যদি কিছু লুকিয়েও থাকেন তাহলে আরও বেশি সাবধানী হবেন। তাছাড়া অহেতুক সন্দেহ আপনার অবস্থানকে নিন্মমুখি করবে। নিজেকে জটিল করে তুলবে। আপনি এই অবস্থায় যে সিধান্তই নিন না কেন ভবিষ্যতে যে আপনাকে আফসোস করতে হবে সংসার জীবনে ইতিহাস এমনটাই বলে। তাই সন্দেহ না করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা বাড়ান। কথাই বলে যত বেশি কথা তত বেশি কাছে। তাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা বাড়ানোর কাজটিও আপনিই শুরু করুন ওগো লক্ষ্মী গিন্নি।

ভাবচ্ছেন সারাদিনের ঝগড়ার পাল্লা এতো ভারি মাত্র তিনটি টিপস দিয়ে কি আর হবে। শুরু থেকে আবারো মিলিয়ে নিন। ভাবুন, আত্মবিশ্বাসী হন এবং সন্দেহ কমান কথা বাড়ান। এই তিনটার চর্চা করতে পারলে বাকি টিপস গুলি আপনিই বের  করে নিতে পারবেন কথায় বলে বাঙ্গালির সংসারে প্রাণ হচ্ছেন গিন্নি । তাই এই সন্সারের নিঃশ্বাস তো আপনার হাতেই বন্ধী। তাই নিশ্চয় আপনি পারেন হতে লক্ষ্মী গিন্নি।

মডেল – তপস্যা হোসেন

আদর্শ পুরুষের ৩০টি বৈশিষ্ট্য!

persokn 






 

 মেয়েরা কেনাকাটা, ঘুরে বেড়ানো, সিনেমা দেখা ইত্যাদি কাজ করতে দারুণ ভালোবাসেন। এ কথা সবাই জানেন। আর এসব কাজে সঙ্গী হিসেবে যাকে পেতে চান অর্থাৎ প্রেমিক বা হবু জামাইবাবুটির মাঝেও কিন্তু বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখতে চান নারীরা।

মেয়েদের চোখে একেবারে 'আদর্শ পুরুষ' বলতে যা বোঝায়, তা হতে হলে ৩০টি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে আপনাকে। এ তালিকাটি তুলে ধরা হলো আপনাদের জন্য।

১. ঝাড়া ৬ ফুট উচ্চতা।
২. পেশীবহুল, একহারা এবং অ্যাথলেটিক দেহের অধিকারী।
৩. বাদামী চোখ।
৪. ছোট কাল চুল।
৫. রুচিশীল পোশাক সম্পর্কে ধারণা আছে।
৬. স্টাইলিশ।
৭. পানীয়ের ব্যাপারে সচেতন।
৮. অধূমপায়ী।
৯. রুচিশীল জিন্স, শার্ট এবং ভি গলার গেঞ্জি বাছাইয়ে পারদর্শী।
১০. মাত্র ১৭ মিনিটেই বাইরে যেতে প্রস্তুত হতে পারেন।
১১. সৌখিনভাবে জীবনধারণে উপার্জনক্ষম।
১২. পরিবারের বন্ধন চান।
১৩. কেনাকাটা পছন্দ করেন।
১৪. গোশত খেতে পছন্দ করেন।
১৫. গোসলে বাছাই করা সাবান ব্যবহার করেন।
১৬. ক্লিন শেভ করেন।
১৭. মসৃন চওড়া বুক।
১৮. ফুটবল খেলা দেখতে পছন্দ করেন।
১৯. স্টাইলিশ গাড়ি চালান।
২০. শিক্ষিত।
২১. অন্তত প্রেমিকা বা স্ত্রীর চেয়ে বেশি আয় করেন।
২২. কৌতুক করেন এবং নিজেও হাসেন।
২৩. সঙ্গিনীর মন খারাপে তারও মন খারাপ থাকে।
২৪. সত্যিকার অর্থেই সঙ্গীনিকে ভালোবাসেন।
২৫. অন্য নারীর দিকে তাকালে তা স্বীকার করেন।
২৬. ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে।
২৭. সাঁতার কাটতে পারেন।
২৮. বাইক চালাতে দক্ষ।
২৯. গাড়ি বা বাইকের চাকা বদলাতে পারেন।
৩০. প্রতিদিন নিজের মায়ের খোঁজ নেন।

সূত্র: ইন্টারনেট

পুরুষত্ব নষ্ট করে মোবাইল ফোন

confused man 







"পুরুষত্ব নষ্ট করে মোবাইল ফোন" দীর্ঘ গবেষণার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভরা ডেভিস ও তার দল।

গবেষকদের দাবি, সচল যেকোনো মোবাইল ফোনই পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং যেসব পুরুষ স্বভাবতই মোবাইল ফোনটি চালু অবস্থায় তাদের প্যান্টের পকেটে রাখেন তাদের শুক্রানুতে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশের আগে বিজ্ঞানী ডেভরা ডেভিস ও তার সহযোগীরা ৭টি দেশে গবেষণা পরিচালনা করেন যেন ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়া পুরুষদের সক্ষমতায় মোবাইল ফোন কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

এতে দেখা যায়, যেসব পুরুষ কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা সময় ধরে তাদের প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন নিয়ে ঘোরেন তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর শুক্রাণু জন্মানোর হার অর্ধেক হয়ে যায়।

শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোন যে ধরনের মাইক্রো ওয়েভ তরঙ্গ প্রেরণ বা গ্রহণ করে সে ধরনের বিকিরণ গবেষণাগারের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে শুক্রাণুর ওপর প্রয়োগ করে দেখা যায় যে এতে করে শুক্রাণুগুলো দুর্বল, চিকন এবং সাঁতারে অক্ষম হয়ে পড়ে।

একইভাবে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও চীনের পরিচালিত পৃথক গবেষণাতেও শুক্রাণু তৈরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়ায় মোবাইল ফোনের তরঙ্গের ভূমিকা খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। এ ছাড়া এসব গবেষণার অনুসিদ্ধান্ত হিসেবে মোবাইল তরঙ্গের অন্যন্য ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও সাবধান করে দিয়েছেন গবেষকরা।

মোবাইল ফোনকে একটি জরুরি ও কার্যকর যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে স্বীকার করে নিলেও দীর্ঘ সময় ধরে এর উপর নির্ভরশীল থাকা বা মোবাইল ফোন তরঙ্গের কাছাকাছি থাকা যে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে তা জানিয়ে দিয়েছেন এই গবেষকরা।

এমনকি অতি মাত্রায় মোবাইল ফোন নির্ভরশীলতা যে মানবশরীরে টিউমারও সৃষ্টি করতে পারে সেটিও উল্লেখ করেছেন আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকদল গবেষক।

সুখি হওয়া যায় কিসে? পারিবারিক বিয়ে নাকি প্রেমের বিয়ে ?

বিয়ে হলো সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দুটি বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিয়ের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করে। আর তাই বিয়ে যুগ যুগ ধরে মঙ্গলজনক ও ঐতিহ্যবাহী বন্ধন হিসেবে মনে করা হয়।

পারিবারিক ও প্রেমের দু’ভাবে বিয়ে হয়ে থাকে। অচেনা অজানা মানুষ নাকি পূর্ব পরিচিত ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধলে সুখী হওয়া যায়? এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক।

অনেকে মনে করে বাবা-মা বা অভিভাবকের মনোনীত পাত্র-পাত্রী বিয়ে করলে তাদের আশীর্বাদে সুখী হওয়া যায়। আবার অনেকে মনে করেন নিজেদের পছন্দে বিয়ে করলে দাম্পত্য সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো থাকে।

পারিবারিক বিয়ে

শুধু বর-কনে নয়, দুই পারিবারের সদস্যদের সম্মতি ও অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যে বিয়ে হয়ে থাকে সেটা পিারিবারিক বিয়ে হিসেবে পরিচিত। এই বিয়েতে আনুষ্ঠানিক আচার-আচরণের সমন্বয় ঘটে থাকে। বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবার মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে এই বিয়ে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই অচেনা, অজানা মানুষের দুটি মানুষ একসঙ্গে সংসার গড়ে তোলে।

পারিবারিক বিয়েতে বর-কনের আবেগ ভালোবাসা অনেকটা দূরে থাকে। দুজনের পূর্বপরিচয় না থাকায় নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া হতে সময় লাগে। তবে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পর্ক মজবুত হতে থাকে। আবার নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে তা অভিবাবকদের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। পারিবারিক বিয়েতে ছেলেদের অর্থনৈতিক অবস্থা আর মেয়েদের বংশমর্যাদাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। বর্তমানে পারিবারিকভাবে বিয়েতে বৈবাহিক জীবন অনেকটা সুখী হয়।

485558_10151406434290841_96270475_n 











প্রেমের বিয়ে

সাধারণত ভালোবাসার বিয়ে হয় সবার অলক্ষ্যে বা অপত্যাশিতভাবে গোপনে। নির্দিষ্ট সময় প্রেমের ভালোবাসার পর দুজনের মধ্যে মিলন ঘটাতে প্রেমিক যুগল বিয়ে করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেমের বিয়েতে আবেগ কাজ করে সবচেয়ে বেশি।

যখন নির্দিষ্ট সময় ভালোবাসার পর পারিবারিকভাবে বিয়ে করতে সমস্যা হয় কেবলমাত্র তখনই প্রেমিক যুগল একা একা বিয়ে করে। যখন কেউ তার মনের মানুষকে খুঁজে পায় কিছুদিন প্রেম করার পর তারা তাদের অভিবাবকের সরণাপন্ন হয়। অভিবাবকেরা যখন বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তখন কেবল দুজনের ভালোবাসা সার্থক ও পরিপূর্ণ করে তুলতে একা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

প্রেমের বিয়েতে নিজেদের মধ্যে পূর্ব জানাশোনা থাকায় বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক গড়তে সমস্যা হয় না। আবার ভালোবাসার বিয়ের খারাপ দিকও রয়েছে। প্রেমের বিয়েতে সাধারণত পারিবারিক সংযোগ কম থাকায় নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা কোনো কারণে সমস্যা হলে তা সমাধান করার কেউ থাকে না। ফলে ধীরে ধীরে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি এক সময় সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

বিয়ে পর্যন্ত নিজের ভার্জিনিটি রক্ষা করা কতটা জরুরী ?

সতীত্ব, বিভিন্ন দেশ এবং ধর্মে খুব স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আর আমাদের এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মূলত সতীত্ব বা ভার্জিনিটির ব্যাপারটা মেয়েদের ক্ষেত্রেই বেশী দেখা হয়। তবে ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, উদার বা রক্ষণশীল মনোভাবের মানুষ হোক, নিজের সতীত্ব নিয়ে মানুষের কিছুটা চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থাকেই। কোনও সম্পর্কে জড়ানোর সময়ে অথবা বিয়ের আগে এই ব্যাপারে মনটা বেশী খচখচ করতে থাকে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে একই রকমের চিন্তাভাবনা দেখা যায়।


মানসী, ২৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে যার কিছুদিন পরেই বিয়ে। স্বভাবতই মাথায় চলছে হাজারো রকমের মিশ্র চিন্তা। একদিকে যেমন বিবাহিত জীবন শুরু করার জন্য যে উন্মুখ, তেমনি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নিজের সতীত্ব নিয়ে। হবু স্বামী যদি জানতে পারে যে সে সতী নয়, তবে তার মনোভাব কেমন হবে? সে নিজেই যদি তাকে বলে দেয় তাহলে কি ব্যাপারটা ভালো হবে? নাকি তার উচিত এই ব্যাপারটা চেপে যাওয়া? ব্যাপারটা লুকানোর কোনও পথ আছে কী?

এসব দুশ্চিন্তার ক্ষেত্রে মানসির সঙ্গী আরও হাজারো নারী। যদিও তাদের অভিজ্ঞতা একেক ক্ষেত্রে একেক রকম।

দিল্লীর এক সাংবাদিক, কল্পনা শর্মা নিজের বর্তমান প্রেমিকের সাথে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করেন এ ব্যাপারটা নিয়ে। এর পরে অবনতি তো দূরের কথা, বরং উন্নতি ঘটে তাদের সম্পর্কে। “আমার প্রেমিক নিজেও ভার্জিন ছিলো না এবং সে এ ব্যাপারে আমাকে জানিয়ে দেয় সম্পর্কের প্রথম পর্যায়েই। এ থেকে আমি সাহস পাই তার সাথে আমার নিজের অতীত সম্পর্কে কথা বলতে। আর এ ব্যাপারে তার কোনও সমস্যা ছিলো না। আমি মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমার অতীত তোমার বর্তমানকে ক্ষতিগ্রস্ত না করছে ততক্ষন এতে কোনও সমস্যা নেই।”

২৬ বছর বয়সী চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট রাহুল রাস্তোগি মনে করেন, নিজের ভার্জিনিটির ব্যাপারে নিজের সঙ্গীকে জানানোর সিদ্ধান্তটি একজন মানুষের একান্তই নিজস্ব একটি ব্যাপার এবং তার এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করা উচিত। “আমি যদি বিবাহিত জীবনের শুরুতে আবিষ্কার করি আমার সঙ্গী ভার্জিন নয় তাহলে আমি তাকে ভালোভাবেই নেব, কারণ আমাদের দুজনের মাঝে অন্তত একজন বেশ অভিজ্ঞ হবে। ”

উজ্জ্বল শর্মা এ ব্যাপারে সামাজিক চলের দিকে দৃষ্টি দিতে বলেন। “এখনকার সময়টাই এমন, যে আমি আশা করি না আমার সঙ্গীর সতীত্ব অটুট থাকবে, কারণ প্রেম ছাড়াও সতীত্ব হারানোটাই এখন একটা ট্রেন্ড।”

নিজের অতীতকে ভুলে গিয়ে ফ্রেশ একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাটাই এখন মূলমন্ত্র হয়ে উঠছে অনেক আধুনিক দম্পতির কাছে। প্রেমিক-প্রেমিকারা মানসিকভাবে যথেষ্ট পরিপক্ক, অতীত নিয়ে টানাটানি করে তারা ভবিষ্যতকে নষ্ট করতে চায় না। “নিজের সঙ্গীর সাথে কেউ যখন নতুন জীবনের যাত্রা শুরু করে, তখন বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়েই চিন্তা করা উচিত,” বলেন আরশি উপল। “ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আপনার ওপরে। আমি নিজের স্ত্রীকে তার অতীত কর্মের জন্য ছেড়ে যাবো না, কিন্তু আমি এটা নিশ্চিত করবো যে সে আমার সাথে সারাজীবন বিশ্বস্ত থাকবে,” বলেন দিল্লীর ট্যাটু আরটিস্ট লোকেশ ভার্মা।

মনের সম্পর্কের সাথে সাথে শারীরিক সম্পর্কের ঝোঁকটাও চলে আসে, আর এখন সময়টাই এমন যে এই ইচ্ছাপূরণের বাসনা মানুষ দমিয়ে রাখার চেষ্টাও করে না। আর আধুনিক মানুষ নিজের সঙ্গীর পূর্ববর্তী প্রেম নিয়েও ঝগড়াঝাঁটিতে যেতে চায় না। কিন্তু এ সময়েও অনেক মানুষ আছে যারা ভালোবাসা এবং দাম্পত্যে কমিটমেন্টের চাইতে বড় করে দেখেন সঙ্গীর সতীত্বকে এবং তার জন্য সম্পর্কে চিড় ধরে যাবার আশঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু সতীত্বের চাইতে কি আপনার সঙ্গীকে একজন মানুষ হিসেবে গ্রহণ করাটা বড় করা নয়? বিবাহিত জীবনকে গ্রহণ করুন একটা নতুন যাত্রা হিসেবে আর সঙ্গীর অতীতের চাইতে আপনার সাথে তার ভবিষ্যতকেই গুরুত্ব দিন।

হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায়

হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায় 

নিয়মিত হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ভালো। তবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারে। এটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনে প্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য 

কিছু ব্যবস্থা করণীয় হতে পারে-

১. প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্তমৈথুন বা স্বমেহন কোন পাপ বা অপরাধ নয়। এটা প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা করে ফেলে কোন প্রকার অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধে ভুগবেন না। এমন হলে ব্যাপারটা সব সময় মাথার মধ্যে ঘুরবে এবং এ থেকে মুক্তি পেতে আবার এটা করে শরীর অবশ করে ফেলতে ইচ্ছে হবে।
 
মনে রাখবেন আপনি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। এটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন না। নিজেকে শাস্তি দেবেন না। বরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন।

২. যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।
যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন।
কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।
 
কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।
 
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন। তারপর একের পর এক কাজ করে যান। হস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না।
 
যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান।

৩. বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগান। জীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুন। সব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। এই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। নতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেন।
সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুন। লেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেন।
নিয়মিত খেলাধূলা করুন। ব্যায়াম করুন। এতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবে। নিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেন। বিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুন।
 
স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন। ফলমূল-শাকসবজি বেশি খাবেন।
 
নতুন কোন শখ বা হবি নিয়ে মেতে উঠুন। বাগান করতে পারেন, নিজের রান্না নিজে করতে পারেন, আরো কত কিছু আছে করার। আপনি যা করতে বেশি পছন্দ করেন, সেটাই করবেন। কিছুদিন পর আবার আরো নতুন কিছু করতে বা জানতে চেষ্টা করুন।
অফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুন। দেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন।

৪. ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে।
 
ভালো কাজ করলে নিজেকে নিজে নিজে পুরস্কৃত করবেন। ভালো কোন জায়গাত ঘুরতে যাবেন। ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবেন। নিজেকে ছোট ছোট গিফট কিনে দেবেন এবং সেগুলো চোখের সামনে রাখবেন এবং মনে করবেন যে অমুক ভালো কাজের জন্য এই জিনিসটা পেয়েছিলেন।

৫. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই।

কিছু টিপস:
 
১. ঘুমে সমস্যা হলে তখন সুগার ফ্রি মিন্টস্‌ বা ক্যাণ্ডি চিবাতে পারেন। হালকা কিছু খেলেও তখন উপকার হয়। তবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন।
২. কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন। আজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যান। অথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। নিজে মনে রাখবেন না।
৩. কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।
৪. হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়।
৫. যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
৬. যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন।
৭. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।
৮. ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।
৯. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।
১০. সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।
১১. ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
১২. যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।
১৩. বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।
১৪. যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
১৫. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।
১৬. হাতের কব্জিতে একটা রাবারের ব্যান্ড লাগিয়ে নেবেন। সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন, পা দোলাতে পারেন- এতে কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে।
১৭. যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
১৮. যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।
১৯. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।
২০. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
২১. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।
২২. বাড়িতে বা রুমে কখনো একা থাকবেন না।
২৩. কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
২৪. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
২৫. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।
২৬. গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না।
২৭. ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন।

স্ত্রীরা বিশেষ সময়ে স্বামীর কাছে যা চান

স্ত্রী'রা বিশেষ সময়ে, স্বামীর কাছে যা চান !

আপনি যাকে ভালোবাসেন- যে আপনার সুখ-দুঃখের ভাগীদার- তাঁর একান্ত সময়ে পাশে থাকাটা আপনার কর্তব্য। একটা ঝড়ের মুহূর্তে নাবিক যেমন সমুদ্রের ঢেউ আর ঝড় থেকে রক্ষার কৌশল অবলম্বন করে জাহাজকে ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে নিয়ে আসে, তেমনি আপনার স্ত্রীর এই সময়টা ঝড়ের সময়।

তার পাশে থেকে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা আপনার দায়িত্ব। যখন দেখবেন আপনার স্ত্রী ফ্রিজে গাদা করে চকলেট রাখছেন কিংবা রোমান্টিক টিভি সিরিয়ালের প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন, তখন আপনাকে বুঝতে হবে তাঁর মাসিক ঋতুচক্র হতে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে তার এই চকলেট সংরক্ষণ কিংবা টিভি সিরিয়ালের প্রতি ঝোঁক এটা মোটেও আনন্দদায়ক ব্যাপার নয়। আপনার স্ত্রী সামনের কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যই এই চেষ্টা করছেন।

কেউ কেউ এই সময়টাতে নিজেকে একেবারে আড়ালে নিয়ে যান। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.অংশু কুলকার্নি বলেন, এ সময়ে নারীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠেন, বিষণ্ন  হয়ে থাকেন কিংবা আকস্মিক খুশিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেন।

এড়িয়ে চলা নয় নিবিড় হোন:

যদি তিনি আবদার করেন বিছানায় অন্তরঙ্গ হয়ে রোমান্টিক মুভি দেখুন। তাকে নিয়ে ভালো কোনো রেস্টুরেন্টে ডিনারে যেতে পারেন। যদি তাঁর প্রিয় কোনো রেস্টুরেন্ট থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আপনার কোনো ইচ্ছা আবার তাঁর ওপর চাপিয়ে দিতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

প্রয়োজনে হতে হবে গিনিপিগ:

ক্লিনিক্যাল হিপনোথেরাপিস্ট এবং মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দীপালী এস আজিঙ্ক বলেন, মনে রাখতে হবে, এটা একটা মানসিক এবং হরমোন পরিবর্তনের সময়। এ সময়ে তিনি স্বাভাবিক অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসতে পারেন। এই সময়গুলোতে তাকে ভালো এবং নতুন প্লেটে খাবার দিন। তিনি আপনার যে শার্টটি পছন্দ করেন সেটাই পরুন। এমনকি তিনি যদি ড্রয়িং রুম থেকে অকারণেই আসবাবপত্র সরাতে চান তবে সমর্থন দিন।

কি এড়িয়ে চলবেন?

মাসিক ঋতুচক্রের সময় নারীরা খাদে পড়ে যাওয়া সিংহের মতো উন্মাদ আচরণ করতে পারে। এই দুঃসময়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবেন না মাসের সেই সময়টা এসেছে কি না। প্রশ্ন করার অর্থ আপনি এই প্রশ্নের মাধ্যমে তার সাথে একটা দূরত্ব তৈরি করলেন।

উপহার দিন চকলেট:

আপনি যদি কখনো এ ধরনের পরিস্থিতির সময়ে নিজেকে আবিষ্কার করেন, তাহলে দেখবেন-  আপনার সামনের নারীটির হাতে এক টুকরো চকলেট আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাসিক ঋতুচক্র চলাকালে চকলেট খাওয়া অনেক উপকারী। চকলেটের ট্রাইজেমিনাল গ্যাংলিওন ঋতুচক্রের সময় মাথাব্যাথা ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

হতে হবে সহানুভূতিশীল:

মাসের এই সময়টা স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। এ ব্যাপারে আপনার সতর্ক থাকা দরকার। কারণ তার মুড পরিবর্তনের জন্য আপনাকে সহানুভূতিশীল হতে হবে।

ঘরের কাজও করতে হবে:

এই সময়টাতে আপনাকে প্রয়োজনে কিছু ঘরের কাজও করতে হবে। এমনকি স্ত্রী যদি বলেন- আমার স্যানিটারি ন্যাপকিনটা ড্রয়ার থেকে দাও তো- সেটাও আপনাকে করতে হবে। শরীর খারাপ থাকলে রান্নার কাজও আপনাকে করতে হবে। এটা আপনার কর্তব্য।

ভুল ধরবেন না:

স্ত্রীর ভুল ধরাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই সময়টা ভুলত্রুটির উর্ধ্বে। কেননা, এ সময়ে ডায়েট ভুলে গিয়ে খাবার তালিকা এলোমেলো হতে পারে। এটা আপনার চোখে বড় দোষ হলেও এড়িয়ে চলুন। কেননা এটা অস্থায়ী একটা ব্যাপার। আপনি যদি তাকে চোখে চোখে রাখতে চান এবং ভুল ধরেন তাহলে এটা তাঁর মানসিক অবস্থার জন্য ক্ষতিকর হবে।

তর্ক করবেন না:

তর্ক এবং মারামারি এ দুটো ব্যাপার মাসিক ঋতুচক্র চলাকালে কঠিন ভাবে এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। কারণ, এটা নিমিষেই আপনার প্রিয় মানুষটিকে গভীর হতাশায় ফেলে দিতে পারে। সব সময়ই তাকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা যদি অক্ষুণ্ন থাকে, তাহলে আপনার কর্তব্য পালনে দ্বিধা হবে না। ভালোবাসা আর  কর্তব্যবোধ বজায় রাখুন- তাহলেই সুখী হবেন।

আজও বুঝিনা ভার্সিটি লাইফ এর মজা।



আমার নিজের একটা বন্ধু-মহল আর তৈরি হয়নি । ভার্সিটির শুরুটা আমার ভালো লাগেনি। ২০১২ এর স্প্রিং এ অ্যাডমিশন নেয়ার পর ক্লাস এ গিয়ে বুঝলাম নিজেদের সাথে মিশে যাচ্ছে । বিশেষ করে ছেলে এবং মেয়েরা। আমি নতুন কোথাউ গেলে বরাবরই একটু খুব কম কথা বলি। তবে কোথাউ মিশে যেতে পারলে আমার এইসব সমস্যা থাকেনা। তবে সেটার জন্য আমার অনেক সময় দরকার হয়। আমি ১ বছর আগে সেই সময় টুকু পাইনি। মোটামুটি সমবয়সী মানুষ গুলা থেকে ভালো রকমের ব্যবহার এর অভাবে আমি ক্লাস এ যেতে চাইতাম না। 

তখন ভর্তি হলাম কোচিং এ। ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার, মজার ব্যাপার হলো আমি পরীক্ষা টা আর দিতে পারিনি। একটা ভুলের কারনে আমি অ্যাডমিট কার্ড নিতে পারিনি। এর পর ব্যাক করলাম আমার সেই EWU তে। মাঝে দিয়ে EWU এর একটা ছেলের সাথেই সুন্দর করে প্রনয় এর সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেটা এক বিশাল কাহিনী। সেটা অন্য একদিন বলবো। তো যাই হোক, এই বছর ভার্সিটি তে ব্যাক করার পর দেখি মোটামুটি ক্লাসমেট গুলা ভালোই পেয়েছি। সবাই মিশুক প্রকৃতির। তবুও যেটা হয়, ওর সাথে থাকতাম ক্লাস শেষ হবার পর। এর ফলে আমার সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব কারো সাথে হয়ে উঠেনি। ওরা নিজেরা সেম ব্যাচের। আমি একটু পুরাতন পচা ছাত্রী।

যখন ওর সাথে আমার ব্রেক-আপ হয় তখন একদম একা হয়ে পড়ি। এখনও আমার ভার্সিটিতে ভালো বন্ধু-বান্ধব নাই। সেই যে বললাম, কোথাউ মিশতে গেলে আমার একটু সময় দরকার হয়, কিন্তু সেটা আজও হয়নি। সেই সুযোগ টাও পাইনি।

আমাকে অনেকে বলে তুমি তো কারো সাথে কথা-ই বলো না, আমার প্রশ্ন আমাকে কতটুকু বলার সুযোগ দিয়েছো ? আমি তোমাদের মতো হতে পাড়ি না, আমি এমনই। তবে তোমাদের মনে হয়তো কখনো আসে না যে আমার মতো মানুষ থাকতে পারে। যাই হোক এটা আমার একটা সমস্যা, তোমাদের না।

দেখতে দেখতে ভার্সিটির আইডি কার্ড এর বয়স ২ হয়ে এলো কিন্তু আমি ১ বছর মানে ৩ সেমিস্টার শেষ করার পথে। তবুও আজও বুঝিনা ভার্সিটি লাইফ এর মজা।

আমার কাছে মজা লাগেনা কারন কি আমার সেখানে ফ্রেন্ড নাই সেই জন্য?

যারা বলে ভার্সিটি লাইফ অনেক মজার তাদের কথা শুনতে বিরক্ত লাগে। ভার্সিটি মানে অনেক গুলা পচা আমার কাছে ভার্সিটি মানেই ক্লাস করা, পচা পচা অনেক বড় বড় লেকচার, অ্যাসাইন্মেন্ট, ল্যাব রিপোর্ট , পরীক্ষা আর ক্লাস আর ক্লাস অনেক অনেক বিরক্তিকর।

জান্নাত মিম /ফেইসবুক

ভালোবাসার সবকথা মুখে কেন?

 
সবকথা মুখে বলতে হবে কেন? ভালোবাসার কিছু কথা আপনার সঙ্গী এমনি বুঝবে যদি আপনি বুঝাতে চান। যদি কখনও দেখেন যে আপনার সঙ্গী নিজে থেকে আপনার সাথে মিলিত হচ্ছে না তার মানে তো এই নয় যে সে মিলিত হতে চাচ্ছে না।

সে হয়তো লজ্জা পাচ্ছে অথবা হয়তো এব্যাপারে এমনি কিছু বলছেনা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে আপনার ব্যাবহারে আপনার মনের গোপন ইচ্ছাগুলো প্রকাশ করা। এখানে খুব সাধারণ কিছু পরামর্শ রইলো এব্যাপারে।

আপনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন তবে আপনার সঙ্গীর কামভাব জাগাতে কোন বিশেষ অন্তর্বাস পরতে পারেন। যাতে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কাছে আসে।

একটা লম্বা গোসলের পর তোয়ালে পেঁচিয়ে আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনীর সামনে আসুন। তার মুখে বা শরীরের ভেজা চুলের ঝাপটা দিতে পারেন অথবা আপনার ভেজা শরীর দিয়ে তার শরীরকে স্পর্শ করুন।

বিছানায় লাল কালো সিল্কের চাদর বিছাতে পারেন। আপনার সঙ্গী বুঝিয়ে দিন আপনার মনের কামনা। কথার মাঝে অশ্লীল শব্দ বলুন। অশ্লীল শব্দগুলো বলার সময় একটু জোর দিয়ে উচ্চারণ করুন।

একে অপরকে অনুভব করুন। ভালোবেসে স্পর্শ করুন তার হাত। জড়িয়ে ধরে কোমরের নীচে হাত দিয়ে আদর করুন আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনীকে। এভাবেই ভালবাসায় ভরিয়ে তুলুন আপনাদের জীবন।

স্বামীকে সন্দেহ? আগে যা যা করবেন

 

‘সন্দেহ’ একটি সামাজিক ব্যাধী। সন্দেহের কারণে সংসার যেমন ভাঙ্গে ব্যক্তিও তেমন মানসিকভাবে অবসাদে ভুগতে থাকে। সন্দেহ নামক ঘুণপোকা যার মনের ঘরে আশ্রয় নেয়, তাকে একেবারে মানসিক যন্ত্রণার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায় এবং নিঃশেষ করে ফেলে।

পুরুষের চেয়ে নারীরা প্রকৃতিগতভাবে বেশি সন্দেহপ্রবণ হন। প্রথমত একজন নারীর সঙ্গীকে নিয়ে সন্দেহ হতে পারে, বিয়ের আগে প্রেমের সময় আবার বিবাহিত জীবনেও। বিয়ে-পরবর্তী যে সন্দেহ জন্ম নেয়, তা শুধু দুজনকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তা নয়, বরং সংসার জীবন, সন্তান (যদি থেকে থাকে), আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী- সবাই এর খারাপ ফলাফল ভোগ করেন।

নারীর সন্দেহের কারণ হতে পারে অনেক কিছু নিয়ে, যেমন: সঙ্গীর অন্য নারীর প্রতি দুর্বলতা, চরিত্রগত ত্রুটি, নেশার বস্তু (সিগারেট নিয়েও হতে পারে), বন্ধুদের আড্ডায় সময় দেওয়া, টাকা-পয়সা, সম্পদ, স্ত্রীকে বা সঙ্গীকে না জানিয়ে অন্যদের সাহায্য-সহযোগিতা বা সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া।

কী করণীয়

* প্রথম আপনার মনের সন্দেহ কী শুধু সন্দেহ (স্বাভাবিক পর্যায়ের), নাকি তা সন্দেহ বাতিক (অসুস্থতা) তা বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের সাহায্য নিন। লক্ষণীয়, স্বামীর প্রতি সন্দেহের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য কারোর সঙ্গে খুলে আলাপ করতে পারেন, এতে মন হালকা হবে, কিন্তু যাকে-তাকে বলে স্বামীর মানসম্মান নষ্ট করবেন না এবং নিজেকেও হাসির পাত্র বানাবেন না।

* সুনির্দিষ্ট বাস্তব কোনো প্রমাণ না থাকলে অকারণে সন্দেহ করবেন না এবং সন্দেহমূলক প্রশ্ন করে সম্পর্কের জটিলতা বাড়াবেন না। কেননা যাকে সন্দেহ করছেন তিনি যদি সত্যিই সন্দেহের কিছু না করে থাকেন, তবে তার জন্য বিষয়টি একই সঙ্গে অপমানজনক, কষ্টকর এবং রাগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

* যদি সুনির্দিষ্ট বাস্তব প্রমাণ থেকে থাকে, তার পরও আরেকটু সময় নিন, বিষয়টা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। এক-দুটি প্রমাণের ভিত্তিতেই গর্জে উঠবেন না।

* খুব ইতিবাচক পদ্ধতিতে সুন্দরভাবে স্বামী/সঙ্গীকে আপনার সন্দেহের বিষয়টি জিজ্ঞেস করুন। তিনি যেন এ রকম মনে না করেন যে তাঁর পেছনে টিকটিকি লেগেছে।

* যদি মনে হয় সঙ্গী আপনাকে ভুল বোঝাচ্ছেন, সব কিছু লুকাচ্ছেন, তবে দুজনের সম্মতিতে আলোচনায় বসুন। আপনি আপনার প্রমাণগুলো ইতিবাচক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করুন।

* এর পরও যদি আপনি সদুত্তর না পেয়ে থাকেন, তবে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিন (যাকে আপনার সঙ্গী মেনে নিতে রাজি হবেন), এই তৃতীয় পক্ষ হতে পারে পরিবারের কোনো নিরপেক্ষ সদস্য, কোনো মুরব্বী। আবার হতে পারেন কোনো কাউন্সিলর অথবা থেরাপিস্ট যার মধ্যবস্থায় কোনো একটা সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে।

* অসুস্থ পর্যায়ের সন্দেহ হলে অবশ্যই অবশ্যই সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসক দেখাতে হবে ও ওষুধ সেবন করতে হবে।

“গায়ে পড়া” বিবাহিত পুরুষ হতে সাবধান মেয়েরা!


প্রায় সব নারীই বেশ জোড় গলায় বলে থাকেন যে তাঁরা কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়াতে চান না। কিন্তু যে সব পুরুষ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তাদের সঙ্গী কারা? তারাও আপনার আর আমার মতোই একজন মানুষ, এবং একজন নারী। তাইনা?”সে অনেক ভালো, অনেক যত্নশীল, খুবই বন্ধুসূলভ আচরণ করে আমার সাথে। জানি সে বিবাহিত, কিন্তু আমরা তো অন্যায় কিছু করছি না। কয়েকদিন দেখা করেছি কেবল মাত্র!”- এভাবেই শুরু হয় এ ধরণের সম্পর্ক গুলো। সূত্রপাতটা বন্ধুত্ব দিয়ে হলেও ধীরে ধীরে আপনাকে সম্পর্কের জালে জড়িয়ে ফেলে ছেলেটি।

কিভাবে হয়?
ছেলেটি প্রথমে বলে আপনি তার ভালো বন্ধু, সে এতোদিনে মনের কথা বলার মত কাউকে পেয়েছে, সে আপনার কথাই ভাবছে, আপনাকে মিস করছে… এবং আরো নানান ধরণের মেকি কথা। এরপর হঠাৎ করেই তার আচরণে নাটকীয় পরিবর্তন আসে। আপনি বোঝার আগেই আপনাকে সে তার জালে জড়িয়ে ফেলতে চাইবে। আপনাকে একটু বেশিই গুরুত্ব দিবে সে। আপনাকে বোঝাতে চাইবে আপনি তার জন্য বিশেষ কেউ। সে বলবে, আপনি তাকে যতটা বোঝেন তার স্ত্রী তাকে এতোটা বোঝে না। আপনার মত একজনের সঙ্গী সে পছন্দ করে সবসময়। ধীরে ধীরে সে আপনার চোখ, চুল ও রূপের প্রশংসা করবে এবং দুই বন্ধুর আড্ডা থেকে পুরো ব্যাপারটা ডেটিং এ রূপ নিবে।

সে তার স্ত্রীর ও সন্তানের কাছে একই রকম থাকবে। কিন্তু সে অন্য সবাইকে বলে বেড়াবে তার একজন যৌনসঙ্গীর চাইতে বাচ্চাদের জন্য আদর্শ মা একজন সংসারী স্ত্রী প্রয়োজন। কারণ যৌন চাহিদা তো সারাজীবন থাকেনা। এভাবে এক পর্যায়ে সে নতুন এই অন্যায় সম্পর্ককে মনে মনে প্রশ্রয় দিয়ে ফেলে।
এধরনের একটি সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত কেউই সুখী হয় না। এক্ষেত্রে মেয়েটি, ছেলেটির মানসিক ও শারীরিক চাহিদা মেটানোর বস্তুতে পরিণত হয়। মেয়েটিকে ব্যবহার করা হয় সংসারের ঝামেলা থেকে পালানোর হাতিয়ার হিসেবে।


কি করে এ ধরণের পুরুষদের চিনবেন?

উত্তরটা হলো, দেখা হওয়ার সাথে সাথেই যারা বন্ধু হওয়ার জন্য বেশি অস্থির হয়ে যায়, তারাই এধরণের পুরুষ। কারণ এ ধরণের পুরুষরা সবার সাথে বন্ধু করে না বরং তাঁরা যে নারীর প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে কেবল তাদেরকেই বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে। তাঁরা সাধাণরত বন্ধুত্বের নাম দিয়ে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে গিয়ে ফ্লার্ট করা শুরু করে। সারাদিন বেশ অনেক বার আপনার মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠায় এবং জানাতে চায় যে সে আপনার কথা মনে করছে এবং আপনাকে মিস করছে। এভাবে বন্ধুত্বের নাম দিয়ে আপনার অজান্তেই আপনার মনে প্রেমের সম্পর্কের বীজ বুনে ফেলে এ ধরণের ব্যক্তি।

এ ধরণের ব্যক্তি তার স্ত্রীকেও আপনাদের বন্ধুত্বের ব্যাপারে জানায়। এসব বিষয়ে সে স্ত্রীর কাছে স্বচ্ছ থাকতে চায় কারণ নিজের মনকে সে বিশ্বাস করাতে পারে না যে সে প্রতারণা করছে। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা দোটানায় ভোগে এবং তাঁরা জীবনের কাছে কি চাইছে সেটা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে সবসময়।

সাবধান! এধরণের ফাঁদে কখনোই পা দেবেন না।

কারণ এ ধরণের বিবাহিত পুরুষরা কখনোই আপনার জন্য নিজের স্ত্রীকে ত্যাগ করবে না। বরং পুরুষটির দ্বারা আপনি মানসিক ও শারীরিক ভাবে ব্যবহৃত হবেন। তাই এ ধরণের সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়ে থাকলে নিজের মনকে প্রশ্ন করুন যে এই সম্পর্কের ভবিষ্যত কি এবং কেন এমন একজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন যে কোনোদিনও আপনার হবে না। প্রথমে অল্প কিছুদিন একাকীত্বে ভুগলেও এধরণের সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলাই ভালো।

তাই, কোনো বিবাহিত পুরুষকে যদি আপনার প্রতি একটু বেশিই বন্ধুভাবাপন্ন মনে হয় তাহলে তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকাই আপনার ভবিষ্যতের জন্য ভালো।

কর্মক্ষেত্রকে আনন্দময় করে তুলুন ৫টি চমৎকার কৌশলে

  কর্মক্ষেত্র নিয়ে অনেকেরই অনেক রকম অভিযোগ আছে। কারো কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ ভালো লাগে না, আবার কারো বস ভালো না। কেউ কেউ আবার নিজের সহকর্মীদেরকে নিয়ে খুশি নন। কারো অফিসের সাজসজ্জা পছন্দ হয় না বলে অফিস নিয়ে অসন্তুষ্ট। এই অসন্তুষ্টির যেন কোনো শেষ নেই। আর এই অসন্তুষ্টির কারণে কাজে আগ্রহ হারিয়ে যায় এবং কাজের চাপ সামলাতে কষ্ট হয়। ফলে চাকরী ছেড়ে দেয়ার মত পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক কর্মক্ষেত্রকে আনন্দময় করে তোলার ৫টি চমৎকার কৌশল। খাওয়া দাওয়া

অফিসের ফাঁকে ফাঁকে একটু খাওয়া দাওয়া করুন। মজাদার খাবার মানুষের মনের ওপর প্রভাব ফেলে, মন ভালো করতে সহায়তা করে। খাবারের বিরতি নিলে নিমিষেই মানসিক চাপ কিছুটা কমে যায়। হালকা নাস্তা কিংবা চা কফি খেয়ে নিন কাজের মাঝে। হাতের কাজ সেরে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন আশে পাশের কোনো খাবার দোকানের উদ্দেশ্যে। অফিসের ফাঁকে পেট পুজা করে ভালো করে ফেলুন মন। তাহলে কর্মক্ষেত্রের বিরক্তি চলে যাবে এবং মন ভালো থাকবে।
 ইতিবাচক চিন্তা

সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের ইতিবাচক চিন্তা করার অভ্যাস করা উচিত। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক চিন্তা করলে সুখী থাকা যায়। যে কোনো বিরূপ পরিস্থিতিতেই শান্ত থাকতে চেষ্টা করুন। মনে রাখুন যে খারাপ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারার মাঝেই সার্থকতা ও সফলতা।
 নিজেকে বদলে ফেলুন

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সুখী করতে চাইলে ব্যক্তিত্বকে কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে। সহজেই বিরক্তি হয়ে যাওয়া, সহকর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার কিংবা অতিরিক্ত চাহিদা কমাতে পারলে কর্মক্ষেত্রে সুখী হওয়া যায়। নিজের বাজে অভ্যাসগুলোর কারণে কর্মক্ষেত্রে বিরক্তি ও নানান রকম অশান্তির সৃষ্টি হয়। তাই এগুলো পরিহার করলে কর্মক্ষেত্রে আনন্দের সাথে কাজ করা যায়।
 সহকর্মীদেরকে বন্ধু ভাবুন

নিজের সহকর্মীদেরকে বন্ধু ভাবার চেষ্টা করুন। তাদেরকে প্রতিযোগী ভাবলে সারাক্ষণ মানসিক চাপ অনুভব করবেন। বরং বন্ধু ভেবে সাহায্য সহযোগীতা করলে আপনার নিজের মন প্রফুল্ল থাকবে এবং সেই সঙ্গে অফিসেও আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে কাজের ফাঁকে টুকটাক বিষয়ে হাসি ঠাট্টা করলে মানসিক চাপও কমে যাবে।
 মাঝে মাঝে বিরতি নিন

অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি দিন নিজেকে। কাজের চাপে নিজেকে হারিয়ে ফেললে ধীরে ধীরে অফিসের প্রতি বিরক্তি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে চাকরীও ছেড়ে দেয় কেউ কেউ। তাই অফিসের কাজের ফাঁকে নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। মাঝে মাঝে কাজের চাপ থেকে ১০/১৫ মিনিট বিরতি নিয়ে সহকর্মীদের সাথে গল্পগুজব করুন। এছাড়াও কাজের চাপে খুব বেশি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে গেলে অফিস থেকে দুয়েক দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন দূরের কোন সুন্দর জায়গা থেকে। তাহলেই কর্মক্ষেত্রে পুনরায় খুঁজে পাওয়া যাবে আনন্দ।

বিবাহপুর্ব এবং পরবর্তী কিছু যৌন ভয়ঃ

বিবাহপুর্ব এবং পরবর্তী কিছু যৌন ভয়ঃ

১. ভয় এবং সেক্স পরষ্পরের শত্রু। পুরুষ কিংবা নারীর মনে ভয় থাকলে তারাযৌন কাজ করার চিন্তা পর্যন্ত করবে না। আপনি কি রাস্তায় কাউকে সেক্স করতে দেখেছেন? না করার পেছনে প্রধান কারন লজ্জা নয় - ভয়। ভয়ে পুরুষের লিঙ্গ পর্যন্ত খাড়া হয়না। বিয়ের আগে যদি কোন কারনে স্বল্প সময়ে স্থলন সমস্যা দেখেন তা হয়তো আপনার ভয় জনিত কারন।


২. বউ এবং প্রেমিকা এক বিষয় নয়। কেউ একজন যখন আপনার ঘরে আসবে তখন আপনি প্রানপনে চেষ্টা করবেন তাকে সুখী করার, এবং সেই আত্মবিশ্বাস আপনাকে লম্বা সময় মিলন করা শিখাবে। যৌন কাজ একপ্রকার খেলা। এটা শিখতে হয় - এটার প্রেকটিস লাগে। আপনি যখন আপনার বউকে ঘরে আনবেন তখন তার শরীর তার চাওয়া আপনার অজানা থাকবে - কিন্তু যতই দিন যাবে, আপনি জানবেন কিভাবে সে সুখ পায় - কোন এ্যাঙ্গেলে তাকে কাবু করা যায়। এবং সেও আপনার টার্নিং পয়েন্ট বুঝবে এবং দুইজনের সমন্বয়ে লম্বা সময়ের সেক্স হবে। প্রথম দিকে আপনার দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে - কিন্তু এটা খুবই স্বাভাবিক। তাকেও এই বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলতে হবে।


৩. একজন নারী চাইলে স্বামীকে বাঘ বানাতে পারে - চাইলে ছাগল বানাতে পারে। তবে বাঘ বানালেই সে লাভাবান হবে।

স্বামীকে যদি বলে "এভাবে করো - তোমার এই স্টাইলটা ভালো লাগছে / তুমি খুব ভালো আনন্দ দিতে পারো / (এমনকি কোন কথা না বলে তৃপ্তির দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালেও সে বুঝবে তার কার্যক্রমআপনি উপভোগ করছেন)" তাহলে সে মৃত হলেও লাফিয়ে উঠবে। কারন স্ত্রীর দেয়াসামান্য আত্মবিশ্বাস তার কছে মহাশক্তি রূপে আবির্ভূত হবে।

আর সেই নারীই যদি পুরুষকে বলে "তুমি পারছো না" তবেই শেষ!!! যত্ত শক্তিশালীসুপুরুষ-ই হোক সে রনে ভঙ্গ দেবে।

অতএব মনে রাখবেন আপনি যদি ভাবেন স্বামীকে হারাবেন - তবে নিজেই ঠকবেন।
 
ডাক্তার আল-মামুন

পরকিয়া প্রেমের রোমান্স

rongdhonu007_1290097676_1-prova.jpg 
এ বিষয়ের ইতিবাচক দিক নিয়েই পরকিয়া প্রেমের রোমান্স জগতের কথা। আজকের সমাজে নানাবিধ সমস্যার ভীরে বিবাহ বহির্ভুত সেক্স একটি গুরুত্বপুর্ন সমস্যা। যে ছেলেটার হোমওয়ার্ক নিয়ে ভাবার কথা সে, ভাবছে তার না পাওয়া বান্ধবীটিকে নিয়ে। যে মেয়েটার জীবন গড়ার জন্য কাজ করার কথা, সে জড়িয়ে যাচ্ছে অযাচিত স্ক্যণ্ডালে। আবার যে পুরুষ কিংবা নারীটির সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, সে পড়ে থাকছে পরকিয়া নামক নিষিদ্ধ রোমান্সের জগতে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এসবের পেছনে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে নারী-পুরুষের শারীরিক সম্পর্কটি।

একটা গ্রাম্য প্রবাদ আছে ” পেট আর চেট (শিশ্ন) এর জন্যই দুনিয়ার যত কাজকারবার।” কিন্তু আমরা পেটের কথা ভুলে অধিকাংশ সময় ব্যয় করছি চেটের পেছনে। একটু কি ভাবনার বিষয় নয়? আমাদের সমাজে বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের দ্বারা বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ককে অবৈধ করা হয়ছে। এটি শুধুই সামান্য একটি ছোটখাট অপরাধ নয়, রীতিমত জঘন্য একটি পাপ। এমন কাজে কারো জড়িয়ে পরাকে তার জীবনের চরম অধপতন হিসেবে গন্য করা হয়। তদোপরি আছে ধর্মের বাধা ও নরকবাসের ভয়। এতকিছু দিয়ে এহেন অবৈধ কাজটিকে থামিয়ে রাখা যাচ্ছে কি? কে কি বলবেন জানি না, কিন্তু এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, সমাজের একটা বিরাট অংশ এ কাজে এখনো জড়িত আছে। পেপার পত্রিকায় আসা খবর, কিংবা মোবাইলে স্ক্যন্ডালগুলোকে রেফারেন্স ধরলেও সংখ্যাটা কম না। আর অপ্রকাশিত ও না জানা ঘটনাগুলোর কথা না হয় বাদই দেয়া গেলো।

যে বয়সে একটা ছেলের স্কুলের পড়া আর হোমওয়ার্ক নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকার কথা, তাকে আমর দেখতে পাই পাড়ার চায়ের স্টলে কোন মেয়ের অপেক্ষায় বসে আছে। এক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে ইভটিজিং নামক অপরাধে। এই ছেলেটি যার জন্য বসে আছে, সেই মেয়েটিকে যদি তার সাথে মিলিয়ে দেয়া যায়, দেয়া যায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ, তাহলে ছেলেটি কয়বার, কতদিন স্টলে আর পাড়ায় আড্ডায় জড়াবে? জড়াবে কি ইভটিজিং-এর মত সামাজিক অপরাধে? ধর্ষনের ক্ষেত্রেও কি এই কথাটা প্রয়োগ করা যায় না?

সেক্সকে এমন ফ্রি করে দিলে সতীত্বের প্রশ্নটা চলে আসে। সতীত্ব কি শারীরিক? না কি মানসিক? মানসিক না হলে ধর্ষিতাকে অসতী আখ্যা দেয়াটাও যুক্তিযুক্ত নয় কি? আবার, সতীত্ব যদি মানসিক ব্যপার হয়, তাহলেও প্রশ্ন থেকে যায়। সমাজে এমন কোন নারী কিংবা পুরুষ কি পাওয়া যাবে যারা জীবনে একবারো স্বপ্নদোষ নামক ব্যধিতে আক্রান্ত হননি? স্বপ্নদোষের সঙ্গমে কেউ কি তার বিবাহিত স্বামী কিংবা স্ত্রীর সাথেই মিলিত হন? স্বপ্নদোষে সতীত্ব নষ্ট না হলে মানসিক সতীত্বের ধারনা কতটুকু গ্রহনযোগ্য?

এবার আসা যাক বিভিন্ন বিধি নিষধের ব্যপারগুলোতে। বিভিন্ন ধর্ম ও শাস্ত্রে বিবাহ বহির্ভুত শারীরিক সম্পর্ককে মারাত্নক একটি পাপ বলে গন্য করা হয়েছে। কোন কোন ধর্মে এর শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে, তদোপরি নরকবাস তো আছেই। অন্যদিকে রাষ্ট্র এমন কাজকে অসামাজিক হিসেবে গন্য করেছে, শাস্তির বিধানও রেখেছে। কথা হলো এমন বিধি নিষেধ ও শাস্তির ভয় কি আদতেই মানুষকে এহেন অবৈধ কর্ম থেকে বিরত রাখতে পারছে? পারছে যে না তার ভুরি ভুরি উদাহরন আমাদের সমাজে বিদ্যমান। মানুষ যদি এসব নিয়ম বিধান না’ই মানে অথবা মানতে না পারে তাহলে এমন বিধি ঘাড়ে চাপিয়ে রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু? এতে বরং অপরাধবোধে ভোগার মাধ্যমে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুকিই বাড়ছে দিন দিন।

দেশের অধিকাংশ পরিবারই তো পরকিয়া সমস্যায় জড়িত। বিশেষ করে, প্রবাসী স্বামীর স্ত্রীদের প্রায় ৯০% পরকিয়ায় জড়িত। ধরাপরা পরিবারগুলো কি খুব শান্তিতে আছে? স্বামী বিদেশে থাকায় শশুরবাড়ির লোকজন স্ত্রীটিকে তেমন কিছু বলতেও পারেনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্ত্রী থাকেন বাবার বাড়িতে, অনেক পরিবারে বাবারা বাড়ির লোকেরা শারীরিক সম্পর্কের জন্য সাহায্যও করে থাকে। এমনও ঘটনা আছে যে, বাবা-মা নিজে মেয়েটিকে এমন সঙ্গমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বেচারা স্বামীর কানে এসব কথা গেলেও, স্ত্রীর কথাই বিশ্বাস করে, কিন্তু ভোগে অন্তর্দহনে।

‘থাকলে মনের জোর, সব কিছু তোর’

‘থাকলে মনের জোর, সব কিছু তোর’ 
যে কোনো কাজের সাফল্যের জন্য শারীরিক সামর্থ্য ও স্বাস্থ্যের মতো মানসিক দৃঢ়তাও জরুরি। মানসিক দৃঢ়তা থাকলে অনেক কঠিন বিষয়ও সহজে জয় করা সম্ভব। কেউ কেউ বলেন, মনে থাকলে জোর, সব কিছু তোর। গবেষকরাও এক কথার সত্যতা স্বীকার করেছেন

এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক মানসিক ভাবে কোন কোন ক্ষেত্র দৃঢ় থকলে সফলতা ধরা দেবে আপনার হাতে।

১) অযথা দুঃখবোধে সময় নষ্ট করবেন না

মানসিকভাবে দৃঢ়চেতা মানুষরা কখনো তাদের কাজের পরিবেশ বা অবাসন নিয়ে হা-হুতাস করেন না। তারা তাদের কাজ ও কাজের সাফল্য নিয়ে বেশি ভাবিত হয়ে থাকেন। আবাসন বা কাজের পরিবেশকে নিজেদের লব্ধ শিক্ষানুযায়ী নিজের অনুকুলে নিয়ে আসেন তারা।

২) অধ্স্তন মনোভাব ত্যাগ করুন

যেহেতু মানসিক দৃঢ়চেতা মানুষ তাদের কাজ ও আবেগকে গুলিয়ে ফেলেন না, সেহেতু অন্যের সৃষ্ট হীনমন্যতার পরিস্থিতি তাদের ঘায়েল করতে পারে না। তারা জানেন, তাদের শক্তি যে কোন পরিস্থিতি ম্যানেজ করার সামর্থ্যের মধ্যে, তাই কখনোই তারা অধস্তন মনোভাবে আক্রান্ত হন না।

৩) চ্যালেঞ্জ নিতে বিব্রতবোধ করবেন না

মানসিক দৃঢ়তার অধিকারীরা পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেন বলে চ্যালেঞ্জ নিতে দো-টানায় ভোগেন না । তাদের একমাত্র ভয় হলো নিজেকে প্রকাশ না করতে পারার ভয় । তাই অনিশ্চয়তা বা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে  তারা ভীত না হয়ে অধিকন্তু উদ্যমী হয়ে উঠেন।

৪) নিয়ন্ত্রণ বিহীন ব্যাপারে অযথা ইনার্জি ক্ষয় করবেন না

যে সব বিষয় নিয়ন্ত্রণের আওতায় নেই তা নিয়ে অযথা ইনার্জি ক্ষয় করেন না দৃঢ় মানসিকতার লোকজন । তারা তাদের বর্তমান কাজ সেবার মনোভাব নিয়ে সম্পদানে ব্যস্ত থাকেন বেশি। দেশের খারাপ ট্রাফিক ব্যবস্থা বা চুরি-চামারী বা অন্যের সমালেচনায় সময় ব্যয় করা তাদের ধাতে নেই ।

৫) পরচর্চা ত্যাগ করুন

অন্যের মনে আঘাত লাগতে পারে বা নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে এমন কোন কাজ বা কথা দৃঢ় মানসিকতার অধিকারীরা করেন বা বলেন না। অন্যের প্রশংসা করার মাধ্যমে আনন্দদানে তারা বেশি মনোযোগী হয়ে থাকেন।এতে কাজ উদ্ধারও সহজ হয়ে যায়।

৬) ঝুঁকি নিতে বিবেচনার পরিচয় দেন

অববেচনাপ্রসূত ঝুঁকি নেওয়াটা দৃঢ় মানসিকতার লোকজনের মধ্যে থাকে না। আগে-পিচে সাত-পাঁচ ভেবে তারা ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।

৭) অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগান

অতীত ব্যর্থতা নিয়ে পড়ে না থাকলেও শক্ত-সামর্থ্য মনের অধিকারীরা অতীত সাফল্য বা অভিজ্ঞতা থেকে বর্তমান কাজের প্রেষণা নিতে ভুলে যান না।

৮) অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নিন

বারবার ভুল করে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দূর্বল মনের মানুষেরা । কিন্তু মানসিকতায় দৃঢ় ব্যক্তিরা দ্বায়-দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার কারণে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। এতে পরেরবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হয় না।

৯) পরশ্রীকাতরতা ত্যাগ করুন

অন্যের সাফল্যে দৃঢ়চেতা মানুষদের মনোবল আরো চাঙ্গা হয়ে উঠে। তারা কখনোই অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হোন না।

১০) ব্যর্থতা মনে রাখতে নেই

ব্যর্থতা আকড়ে না ধরে ভবিষ্যত ব্যর্থতা পরিহারের ব্যাপারে মনোযোগী হোন । কাজ করতে গেলে ব্যর্থতা থাকেই,  কিন্তু মানসিকতায় দৃঢ় ব্যক্তিরা তা নিয়ে পড়ে থাকেন না।

১১) একাকিত্বকে উপভোগ করুন

দৃঢ় মনোবলের মানুষের কাছে একাকিত্ব সম্পদের মতো, নিজের একা সময়টাকে তারা উৎযাপনে ব্যয় করতে প্রয়াসী হয়ে থাকেন । অন্তত ফ্রি সময়টাতে তারা ছোট-খাটো ভুলগুলো খুজে বের করেন নাহয় ভবিষ্যত কাজের পরিকল্পনা আকেঁন ।

১২) সুচিন্তায় পৃথিবীকে সাজান

কোন কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা ছাড়া কেউ অলৌকিকভাবে শুন্য থেকে কিছু পেতে পারে না । তাই মাগনা লাভের আশা ত্যাগ করে নিজেকে প্রস্তুত করুন, পরিকল্পনা একেঁ কাজে নামুন, পৃথিবী আপনাকে শুন্য হাতে ফেরাবে না।

১৩) রেজাল্টের ব্যাপারে ধৈয্যহারা হবেন না

কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে রেজাল্টের আশায় হা করে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন, দৃঢ়চেতা মানুষেরা ভালো রেজাল্ট দেরিতে আসায় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন।
" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!