ঢাকা : অধিকারের প্রশ্নে কারও বৈধ বা অবৈধ স্ত্রীর মধ্যে আদালত কোনো রকম বৈষম্য করতে পারে না। এখন থেকে রক্ষিতাও আইনের চোখে স্ত্রীর সমমর্যাদার অধিকারী। স্বামীর চাকরি এবং তার অবসরকালীন প্রাপ্য নিয়ে বিরোধে তার বৈধ এবং অবৈধ স্ত্রীকে সমান সুবিধা দিলেন ভারতের কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী গতকাল বুধবার এই রায় দেন।
সাধনচন্দ্র দেব নামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পরিষদের এক কর্মীর মৃত্যু হয় কর্মরত অবস্থায়। পরিষদের নথিতে দেখা যাচ্ছে তিনি তার অবসরকালীন যা কিছু প্রাপ্য, তার প্রাপক (নমিনি) করে গিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী কল্যাণী দেবকে। এদিকে, সাধনচন্দ্র দেবের প্রথম স্ত্রী জয়ন্তী দেবও একজন দাবিদার।
বিচারপতির নির্দেশ, দ্বিতীয় স্ত্রীর বয়স যেহেতু কম তাই সাধনচন্দ্রের চাকরি তিনি পাবেন। প্রথমা স্ত্রী পাবে পেনশন এবং গ্রুপ ইনসিওরেন্সের টাকা। আর গ্র্যাচুইটির টাকা আধাআধি ভাগ হবে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, স্বামীর সম্পত্তির অধিকারে বৈধ-অবৈধ ভেদ হয় না। কোনো নারীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। তিনি সংসার করেছেন, সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। অথচ পরিচয়হীনভাবে গোটা জীবন কাটাবেন, এটা আইনসঙ্গত নয়।