বিএসসিআই এর ট্রেনিং ।

জীবনে কিছু কিছু দিনের স্মৃতি সত্যিই ভোলা যায়না ।

Firmgate

Badhon

শুভ জন্মদিন

তোমার জীবনের ছোট্ট ছোট্ট সময়গুলোকে আনন্দের রং লাগিয়ে স্বরনীয় করে রাখতে চেষ্টা করছি । যা সেদিন তোমাকে মনে করিয়ে দেবে যে, এই আমি তোমাকে কতটা গুরুত্ব দিতাম । যেইদিন আমি তোমার জায়গায়..আর তুমি আমার জায়গায় থাকবে।

সোনার গাঁও

কোন কোন মানুষ জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ন হয়ে যায় । কোন কোন দিনও সারাজীবন মনে থেকে যায় । সেরকম একটি দিন ছিল যেদিন এই ছবিটা তুলেছিলাম ।

পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে, তুমি সেলফি নিয়েই থাকো ।


২০১৫ সাল পর্যন্ত ৭৬ টির বেশি প্রজাতির প্রাণী এবং কয়েকশ প্রজাতির গাছপালা আমাদের পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এর বিনিময়ে আমাদের অথনৈতিক উন্নতি হয়েছে। আর এই উন্নতির এর পরিনামে বাতাসে প্রতিবছর ২০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন মনোক্সাইড সঞ্চিত হচ্ছে। বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিবছর ৬০ হেক্ট্রর জমি মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। প্রতি মিনিটে বালুকাকীর্ণ হয়ে পড়ছে ৪ হেক্ট্রর উর্বর ভূমি। আর এই জন্যই স্টিফেন হকিংস বলেছেন, “প্রযুক্তির উন্নয়েনের কারণেই এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আর তুমি এখনও মুখে রং মেখে সেলফিই তুলে যাচ্ছো?

বিশ্বাস করো, বিশ্বের সর্বাধিক বায়ু দূষিত ১৫টি শহরের ১৩টি হলো এশিয়ায়। এই দূষণ এশিয়ায় বছরে ১০ লাখ লোকের মৃত্যুর কারণ। অথচ আমরা সর্বদাই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবদ্ধির জন্য নিবেদিত। কিন্তু উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দু পরিবেশকে পাশ কাটিয়ে পরিবেশের উপর একছত্রভাবে জুলুম করে পক্ষান্তরে উন্নয়নের চাকাটির চলার পথই রুদ্ধ করছি। এ ভুলের মাসুল একদিন এই পৃথিবীর মানুষগুলোকে দিতে হবে ।

পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির পিছনে বহুলাংশে দায়ী কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ প্রাক্-শিল্পযুগ সময়ের (১৭৫০ সাল) থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত ১০০ ppmv (parts per million by volume) বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মধ্যে বিগত ৩০-৪০ বছরেই প্রায় ৫০ppmv বৃদ্ধি পেয়েছে। সভ্যতা বিকাশের জন্য আমরা বহুলাংশে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর, যা প্রচুর পরিমাণেকার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। আবার দ্রুতহারে বন-ধ্বংস ও ভূমিবিন্যাসের পরিবর্তন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণকে বাড়িয়ে দিচ্ছে, কারণ উদ্ভিদ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সঞ্চয় ভান্ডার হিসেবে কাজ করে। কিন্তু বন ধ্বংসের ফলে সেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডলে মুক্ত অবস্থায় থাকে। তাই আপনার সন্তানকে একটা নির্মল সুন্দর আগামী উপহার দিতে, গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই ।

বিজ্ঞান বলে, একটি দেশে ২৫% বনভূমি থাকা দরকার । কিন্তু সেখানে বাংলাদেশে বনভূমি রয়েছে মাত্র ১৬%। তাই এখনই সময়, অফিস থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আরো কিছু গাছ লাগান । কিংবা হোক সেটা ভাড়া বাসা, সুযোগ থাকলে বাসার ছাদে, বেলকুনীতে গাছ লাগান, যা আপনাকে নির্মল বাতাস, মন খারাপের সঙ্গী এবং আপনার সঙ্গীর সাথে কাটানো সময়গুলোতে বাড়তি রোমান্টিকতা জোগাবে ।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক মনে করছে, “ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ১০০ বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধান উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে । বাতাসে বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে ফল ও ফুলের রেণু, মাছের ডিম ও পোনা নষ্ট হচ্ছে। এতে শস্য ও ফল আগের চেয়ে অনেক কম হচ্ছে। অনেক ফলবতী বৃক্ষ পুরোপুরি বন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গতিতে বাড়ছে বাড়ছে বড় বড় রোগের ভয়ংকর জীবনাগুলো ।

ভাবলে শরীরে কাটা দিয়ে ওঠে, শুধু আমাদের দেশেই গত ২৮ বছরে শনাক্ত হয়েছে এই ভয়াবহ সাতটি রোগ- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা, এইচআইভি/এইডস, নিপাহ, বার্ড ফ্লু ও সোয়াইন ফ্লু। যদিও বহুকাল আগ থেকেই এসব রোগ ছিল, তবে কখনোই মানুষের মধ্যে ছিল না । অত্যাধিক পরিবেশ দুষন আর এডিস মশার বংশ বিস্তারের কারণে এসব রোগ দ্রুতই মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে । আর আপনি আছেন, এবছর কত ইনক্রিমেন্ট হবে তাই নিয়ে?

যে শিশু আগুনের ভয়াবহতা জানেনা, তাকেও যেমন আগুন ক্ষমা করেনা, তেমনি তুমি যদি মুচকি হেসে বলো, আমি এসব বুঝিনা, তবুও এই বিপর্যয় আমাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দিবেনা । যদিও এটা কোন বিশেষ জাতি কিংবা কোন দেশের একার নয়। তাই আমাদের সবারই এব্যপারে ভাবা উচিত, এগিয়ে আসা উচিত, এবং যাদের কাজ করার সুযোগ আছে, তাদের অনুপ্রানীত করা উচিত ।

আজ তাসনিয়া আপুর কথাটা খুব মনে পড়ছে , “শোন ভাই! আমাদের পরের প্রজন্মের জন্যে খুব খারাপ লাগে, চিন্তা হয় | পরিবেশ একেবারেই আর বাসযোগ্য নয় | পলিথিন আর ময়লা দিয়ে আমরা পৃথিবাটাকে নষ্ট করে ফেলছি | বিশুদ্ধ বাতাসের বড়ই অভাব | ওজোন স্তর ভেঙে পড়ছে | আর আমরা আছি , পেয়াঁজ দিয়ে তরকারি খেতে পারছিনা এই শোকে |” সত্যিই আপু দারুন বলেছো ।

সবকিছু আইন করে হয়না, তাই আসুন আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে এই পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি, আর এটা আপনার দায়িত্ব (বিশ্বাস না হলে, চ্যালেঞ্চ করতে চাইলে আমাকে ফোন দিন, কিংবা আসুন একবার কোন চায়ের দোকানে বসি) । আপনি কি আপনার সন্তানের জন্য অর্থ জমাচ্ছেন না? তাহলে কি তার জন্য সুন্দর একটা পৃথিবী, একটা বিশুদ্ধ বায়ুমন্ডল দরকার নেই? নাকি টাকা চিবিয়ে চিবিয়েই বেঁচে থাকতে পারবে? আসুন বন্ধুদের নিয়ে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে পার্টি না দিয়ে, গাছ লাগানোর পার্টি দেই, নিজেদের জায়গা না থাকলে সরকারী রাস্তায় গাছ লাগাই? কারণ আমাদেরতো গাছের মালিকানা দরকরা নেই, নির্মল একটা বায়ুমন্ডল দরকার ।

আসুন দশজন মিলে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটা গ্রামের সবাইকে সচেতন করি, তারা যেনো আরো বেশী বেশী গাছ লাগায়, তারা যেনো তাদের ব্যবহ্রত ময়লা বাইরে যত্রতত্র না ফেলেন, একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলবেন, রান্নার পরে যেন চুলা বন্ধ রাখেন । কিংবা বন্ধুরা মিলে বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গাছের চাড়া বিতরন করি, বিভিন্ন স্কুলের জমিতে ফ্রি’তে গাছের চাড়া রোপন করে দেই । আসুন চুলে রং করা আর জেল লাগানো বাদ দিয়ে, আমাদের সন্তানদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী তৈরি করি ।

[বিশেষ ধন্যবাদঃ আমি পরিবেশ সম্পর্কে ভাল বুঝিনা, আমার এটার সার্টিফিকেট নেই । তাই এই পোষ্টটি লিখতে যেসব মাধ্যম থেকে আমি রেফারেন্স কিংবা সাহায্য নিয়েছি, তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ । অনেকের হয়ত নামও জানা নেই, তবে কোনদিন যদি আমার এই লেখাটি তোমার নজরে পড়ে, সেদিন ভেবে নিও, আমি কৃতজ্ঞতা ভরে তোমাকে স্মরণ করেছি। এই লেখাটি পড়ার পর যদি কেউ একটা গাছও এই পৃথিবীতে রোপন করে, কিংবা একটা ময়লাও কম ফেলে, এই পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য করতে কেউ একটুও অবদান রাখে, তাতে তোমার অংশও থাকবে ।]

এক ঘন্টায়, দু’বছরের অভিজ্ঞতা ।

অভিজ্ঞতার অভাবে, যারা চাকরি পাচ্ছেন না। ফ্রেস, অনেক ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে চাকরী পাচ্ছেন না, তাই হতাশ । তাদের জন্য আমার আজকের পোষ্ট ।

আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, যদি সত্যিকারের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন মানুষ, একজন ফ্রেসারকে এক ঘন্টা সময় দেন, তাহলে সে একজন ফ্রেসারের বাস্তবে দু’বছরের কাজের সমান অভিজ্ঞ করে তৈরি করে দিতে পারেন । কিন্তু আজকের দিনে, সেই চেষ্টা করা মানুষটির বড্ড অভাব । যাদের মন আছে, তাদের অভিজ্ঞতা নেই, যাদের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের সময় নেই ।

যারা সদ্য লেখাপড়া শেষ করেছেন, গার্মেন্টসের এইচ.আর, কমপ্লায়েন্স কিংবা ওয়েলফেয়ার অফিসার এ চাকরীর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিংবা বার বার ইন্টারভিউ দিয়ে হতাশ, কিংবা সিভি দিচ্ছেন, ডাক পাচ্ছেন না, তাদের জন্য একটা সস্তা পরামর্শ, কোন ফিস/ঘুষ দিতে হবেনা । (আজকালতো নিজের অধিকারের জন্য ঘুষ দিতে হয়) । আগামীতে কোথাও চাকরীর জন্য সিভি জমা দেওয়ার আগে, সিভিতে দু’বছরের অভিজ্ঞতা আর আপনার পরিচিত কোন কোম্পানীর নাম লিখে, আমাদের ম্যাসেঞ্চারে নক করবেন । আমি আপনার জন্য একটা ঘন্টা সময় ব্যয় করবো, তারপর ডাক পেলে, ইন্টারভিউ দিতে যাবেন ।

আমি আশাকরি প্রাথমিক লেভেলে দু’বছর চাকরী করার সমান অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বা টিপস আমি আপনাকে একঘন্টায় দিতে পারবো, যেটা আপনাকে চাকরী জীবনের ফ্রেসারের অভিসাপ থেকে মুক্ত করবে । এটা এমন কোন রকেট সাইন্স নয়, যেটা আপনাকে বললে আপনি বোঝবেন না । কিন্তু সবাই বোঝার মতো করে বলেনা, তাই আমরা বুঝিনা ।

অনেকে বোধহয় এখন মিচকি মিচকি হাসছেন, যে এটা ফ্রট, নয়ত যতসব ফালতু পোষ্ট । কিন্তু আমি কিছু মনে করছিনা, কারণ ভাল কিছু করতে হলে, একটু অপমান আর অপদস্ততো হতেই হয় । তবে একটা কথা বলতে পারি, আপনিওতো পরীক্ষার আগে প্রাইভেট পড়েছেন, ধরে নিন আমি একজনকে ফ্রিতে প্রাইভেট পড়াবো । হয়ত আপনার মাস্টার ব্যবসায়িক মানসিকতার ছিল, তাই এক চাপ্টার দিয়ে পুরো মাস পার করেছেন, আর আমি সব চাপ্টারগুলো মিলিয়ে একটা নোট বানিয়ে, তা একঘন্টায় আলোচনা করব । যাতে সে একটা স্বচ্ছ ধারণা পায় । যদি সমুদ্রের সমান বিষয় একদিনের ট্রেনিং আমাদের খাইয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আমি পুকুরের সমান বিষয় একঘন্টায় কেন একজন শিক্ষিত মানুষকে শেখাতে পারবনা? এটা কি খুব বেশি কঠিন হবে?

সুখ!

একটি অদ্ভুত শব্দ । কেউ কেউ সারা জীবন চেষ্টা করেও এর অর্থ খুঁজে পায়না । আবার যাদের কাছে জীবনেরই কোন অর্থ বহন করেনা, তারা এ শব্দটার অর্থ খোঁজার চেষ্টাও করেনা । বরং এ শব্দটা তখন অসহনীয় আর অসহ্যকর হয়ে দাঁড়ায় ।

কারন, জীবনে এমন কিছু কিছু মুহূর্ত আসে, যখন দুজনের যুক্তিতর্ক সঠিক হওয়া সত্বেও, সন্ধিটা ভেঙে দিয়ে সারাজীবনের মতো আলাদা হয়ে যেতে হয় । আর বাকিটা জীবন অসহনীয় দগ্ধ ক্ষত আর যন্ত্রণাকে বুকের মধ্যে চাপা দিয়ে, হাসিমুখে সুখে থাকার অভিনয় করে বেঁচে থাকতে হয় । তাদের কাছে সুখের কি ব্যাখ্যা হতে পারে? শত চেষ্টা করেও এর কি মানে তারা খুঁজে পাবেন?

প্রত্যেক মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যখন কিছু কিছু শব্দ বড্ড অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়, আর কিছু শব্দ অসহনীয় । সুখ তার মধ্যে সর্বাধিক উপরে । তাই অনেকেই এর অর্থ খোঁজার চেষ্টাও করেনা, আর পায়ওনা ।

ভয়ংকর চল্লিশ ।

প্রতিটা মানুষের জীবনে চল্লিশ একটা অতি গুরুত্বপূর্ন সংখ্যা । আমরা সবাই জানি শিক্ষার কোন বয়স নেই, কিন্তু জীবনে উন্নতি করতে হলে, নিজেকে মূল্যবান হিসাবে তৈরি করতে হলে, তোমাকে চল্লিশের আগেই করতে হবে ।

বিশ্বাস হচ্ছেনা, এতক্ষনে তোমার মনে হাজার প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে । একটা কথা চিন্তা করে দেখো, পৃথিবীর কত শতাংশ মানুষ চল্লিশের কম বয়সে সফলতা পেয়েছেন, আর কত শতাংশ চল্লিশের বেশী বয়সে । টমাস আলভা এডিসনের নামতো শুনেছো, মাত্র বাইশ বছর বয়সে প্রথম আবিষ্কার করলেন ভোল্ট গননা করার যন্ত্র । ভাবা যায়, যে ছেলে তের বছর বয়সে খবরের কাগজ বিক্রি করতো, আর উনত্রিশ বছর বয়সে কোম্পানী ও গবেষণাগারের মালিক ।

যার মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল মানুষের ইতিহাসে এডিসনের মাথার দাম সবচেয়ে বেশি। কারণ এমন সৃজনীশক্তি অন্য কোনো মানুষের মধ্যে দেখা যায় নি। তাই তার শেষ নিঃশ্বাসটুকু একটি টেস্টটিউবে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে হেনরি ফোর্ড জাদুঘরে।

ভাবুন একবার, মাত্র ২৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের পাশে জায়গা করে নিল, স্যার আইজাক নিউটন। মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় মহান বিজ্ঞানী স্যার আলবার্ট আইনস্টাইন, চারটি বিখ্যাত রচনা-প্রথমটি আলোর গঠন ও শক্তি সম্পর্কে।

তাই অপেক্ষা করার মতো আপনার হাতে আর বেশী সময় নেই । এটা ভাববেন না যে, মানুষের এক জীবন অভাবে কাটলে, অন্যজীবন ধনী হতে পারবেন, সেই আশায় বসে থাকলে ভুল করবেন । কারণ চেষ্টা আর লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী পরিশ্রম করার সাহস না থাকলে রুটির দোকানে কাজ করে কেউ জাতীয় কবি হতে পারেনা, অনেকেতো সারাজীবন রুটি বানিয়েই কাটিয়ে দেয় । আপনাকে নিজেকে নিয়ে একটা লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করতে হবে, তারপর কঠোর পরিশ্রম ও ঝুঁকি নিয়ে, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে, সফলতা আসবেই ।

আজই শুরু করে দাও, এখনই । মাইকেল ব্লুমবার্গের এই কথাটা পড়োনি, “সাফল্যের সূত্র হলো কখনোই শেখা বন্ধ না করা। সব সময়েই নিত্যনতুন বিষয় শিখতে হবে এবং শেখার এ আগ্রহ কখনোই বাদ দেওয়া যাবে না ।” কারণ শিক্ষাই পারে, আমাদের ভেতরের শক্তিটাকে আরো মজবুত করে গড়ে তোলতে, যা বাস্তবতার মুখোমুখি দাড়াতে তোমাকে সাহায্য করবে । আর একবার যদি সাহস করে সমস্যার মুখোমুখি দাড়াতে পারো, তুমি সফল হবেই । কার্লোস স্লিম হেলু বলেছেন, “‘আমরা যখন সমস্যার মুখোমুখি হই, তারা চলে যায়। এ কারণে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন এবং সাফল্যকে গোপনে ডেকে আনুন।”

জব করছো? কে তোমার বস?

জীবনে মানুষ হয়ে তৈরি হওয়ার জন্য একজন ভাল শিক্ষকের আশ্রয়ে থাকা যেমন জুরুরী, তেমনি কর্মজীবনে সাফল্য, যোগ্যতার সীলমোহর অংকনের জন্য একজন ভাল বসের অধীনে চাকরী করা খুবই জরুরী । যার সমাজে অন্তত মানুষ হিসাবে বলার মতো একটা পরিচিতি আছে, যার গুনাবলী আমাদের এক্সট্রা ওভার টাইমের খাতার মতো, দুটো রেজিষ্টারে লেখা নাই ।

তাই চাকরী পরিবর্তন করতে চাইলে, বেতন আর পদবীর চেয়ে যে বিষয়গুলোতে আমাদের বেশী নজর দেওয়া উচিত, তা হলো, কে হবে আমার বস, শ্রমিক/কর্মচারী কতজন, আর মার্কেটে উক্ত কোম্পানীর অবস্থা (সুনাম) কেমন? শুধু বেতন আর পদবী দিয়ে এই প্রতিযোগিতার মার্কেটে সুনামের সাথে টিকে থাকতে পারবেন না । বেতনের কথাই যখন উঠলো, একটা কথা বলি বেতন দিয়ে মানুষের যোগ্যতা বিচার করা যায়না, কারণ কিছু কিছু স্পেশাল গাড়ীর ড্রাইভারের বেতন কিংবা প্লেনের ড্রাইভারের বেতন আপনার চেয়ে অনেক বেশী, তাহলে? আর পদবী? সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীর জি.এম, আর দেশের প্রথম শ্রেণীর দশ হাজার শ্রমিক/কর্মচারীর একটা কোম্পানীর একজন ম্যানেজার বোধহয়, বেশী সাহসী আর ট্যালেন্ট হয় । কারণ পুকুরের রাঘব-বোয়ালের চেয়ে সমুদ্রের চুনোপুটিও বেশী দুরন্ত আর সাহসী হয় ।

কেন তোমার মনে নেই, কে যেন বলেছিল, গ্রামের কলেজ থেকে বিয়ে পাস করার চেয়ে, ঢাকা শহরে চিকা (দেয়াল লিখন) মারলেও বেশী শেখা যায় । আমার আজকের লেখা এ বিষয় নিয়ে নয়, তাই মুল প্রসঙ্গে আসি ।

নিচের প্যারাটা একটু বেশী মনোযোগ দিয়ে পড়ো-
যদি তোমার বসের পরিচিতি, সুনাম, চরিত্র, কন্ট্রোল করার ক্ষমতা, তোমার অভিজ্ঞতা আর যোগ্যতার উপরে কোন প্রভাব ফেলতে না পারে, যদি তোমার কাছে পদটাই একমাত্র অবলম্বন কিংবা যোগ্যতার মাপকাঠী হয়, তাহলে আমরা ভাল স্কুল/কলেজ থেকে কেন পাস করার চেষ্টা করি, বই’তো সব একই? নর্থ সাউথ থেকে কেন মানুষ এমবিএ করে, কেন ইস্ট-ওয়েষ্ট কিংবা অতীশ দিপঙ্কর থেকে করেনা? কারণ সনদপত্রটাই বড় কথা নয়, বরং সেটা কার কাছ থেকে পেয়েছো, কার তত্বাবধানে থেকে পেয়েছো, এটাই বড় আর মুল বিষয় । তাই জীবনে উন্নতি কিংবা যোগ্যতার ওজনটা বাড়ানোর জন্য একজন ভালো বসের অধীনে কাজ করা খুবই জরুরী ।

একটা কথা ভেবে দেখুন, ছাত্র জীবনে একজন শিক্ষক যেমন, কর্মক্ষেত্রে একজন বস তার চেয়েও বেশী । পিএইচডি করার পর, যেমন জানতে চাওয়া হয়, কার তত্বাবধানে করেছো, ঠিক আজকাল ভাইভাতেও জানতে চাওয়া হয়, তুমি কার অধীনে জব করছো? কারণ একজন ধান চাষী কখনও আপেল চাষ করার শিক্ষা দিতে পারেনা । তোমাকে যদি জানতে চাওয়া হয়, তুমি আপেল চাষ করা কার কাছে শিখেছো? তুমি যদি বলো, আমাদের গ্রামের ধান চাষী করিম চাচার কাছে । তখন বোঝা যাবে, তুমি কতটুকু শিখেছো ।
তাই চাকরী পরিবর্তনের সময়, অবশ্যই বসের সম্পর্কেও খোঁজখবর নিন । এটাই আপনার পরবর্তী জীবনের বেশী প্রভাব ফেলবে । আপনার যোগ্যতার ওজন নির্ভর করবে, আপনার বসের যোগ্যতা, সুনাম আর সেক্টরে পরিচিতির উপরে । কথাটা ভেবে দেখবেন…..।
" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!