বিএসসিআই এর ট্রেনিং ।

জীবনে কিছু কিছু দিনের স্মৃতি সত্যিই ভোলা যায়না ।

Firmgate

Badhon

শুভ জন্মদিন

তোমার জীবনের ছোট্ট ছোট্ট সময়গুলোকে আনন্দের রং লাগিয়ে স্বরনীয় করে রাখতে চেষ্টা করছি । যা সেদিন তোমাকে মনে করিয়ে দেবে যে, এই আমি তোমাকে কতটা গুরুত্ব দিতাম । যেইদিন আমি তোমার জায়গায়..আর তুমি আমার জায়গায় থাকবে।

সোনার গাঁও

কোন কোন মানুষ জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ন হয়ে যায় । কোন কোন দিনও সারাজীবন মনে থেকে যায় । সেরকম একটি দিন ছিল যেদিন এই ছবিটা তুলেছিলাম ।

কখন মেয়েরা যৌন মিলনের জন্য পাগল হয়ে উঠে !

প্রশ্নটা শুনে প্রশ্নকর্তার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক। যৌনক্রিয়ার যে কারণগুলো স্বাভাবিক বলে পরিগণিত হয় সেগুলোহচ্ছে ভালবাসা/রোমান্সের প্রভাবে আবেগতাড়িত হয়ে, আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে, সন্তানলাভেরআশায় ইত্যাদি।

কিন্তু এগুলো ছাড়াও আরো অনেক বিচিত্র্য উদ্দেশ্যে মানুষ যৌনক্রিয়ায়লিপ্ত হয়।লক্ষ্যণীয়ভাবে, নারীদের যৌনক্রিয়ারকারণগুলো পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশিবৈচিত্র্যময়।ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সিন্ডি মেস্টন এবং ইভোল্যুশনারি সাইকোলজিস্টডেভিড বাস পৃথিবীরবিভিন্ন প্রান্তের ১০০৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাদের যৌন প্রেষণার বিষয়ে।
আর মাত্র ১০০৬ জন নারীর কাছ থেকেই বেরিয়ে এসেছে যৌনতার ২৩৭ টি আলাদা আলাদা কারণ। যদিওঅনেকগুলো কারণের ব্যাপারেপ্রায় সবাই একমত, আবার অনেকগুলো কারণ কয়েকজনের মধ্যেইসীমাবদ্ধ। তো দেখা যাক, কারণ গুলো কী কী? মেস্টন ও বাস নারীদেরযৌন-প্রেষণাগুলোকেস্বাভাবিকভাবেই তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছেন: শারিরীক, আবেগীয়এবংবস্তুবাদী কারণ।

প্রেষণার মধ্যে যেমন রয়েছে, নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সেল্ফ এস্টিম বৃদ্ধিকরা, প্রেমিককে ধরে রাখা, তেমনি রয়েছে জোর-জবরদস্তির শিকার হওয়া পর্যন্ত।বাস এবং মেস্টনকে প্রেষণার বিচিত্রতা অবাক করেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছেসম্পূর্ণ পরোপকারীউদ্দেশ্য, তেমনি সম্পূর্ণ বদ মতলব। যেমন, কাউকে এস. টি.ডি তে আক্রান্ত করা।

১. আনন্দলাভের জন্য: অবভিয়াস! কিন্তু গবেষণার ফলাফল “মেয়েদের যৌনতাভালবাসাতাড়িত, আর ছেলেদের যৌনতা ইন্দ্রিয়সুখ তাড়িত”, পশ্চিমা সমাজেপ্রচলিত এই মিথকে উড়িয়েদেয়। অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক নারীর কোন ধরণেররোমান্টিক রিলেশনশিপ না থাকা অবস্থায় শুধুইন্দ্রিয় সুখের জন্য সেক্স করতে আপত্তি নেই, বরং আগ্রহী।


তবে কারো সাথে রোমান্টিক রিলেশনথাকা অবস্থায় ইন্দ্রিয় সুখের জন্য অন্য কারো সাথে সেক্স করার ব্যাপারে প্রায় ৮০ শতাংস নারীরঘোরতর আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গেল অবস্থায় রোমান্স বিহীন সেক্সে অনেকেই আগ্রহী হলেওপার্টনারের সাথে চিটিং কে তারা সমর্থন করেন না।
২. রোমান্স: এটাও অবভিয়াস। প্রেমে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে প্রেমলীলায় মত্ত হয়নি এরকমজুটি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

৩. পার্টনারকে ধরে রাখার জন্য: অনেক সময়ই নিজের আবেগের চেয়ে বড় হয়েদাড়ায়পার্টনারকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। পার্টনারের আবেদনে সাড়া না দিলে সে ছেড়ে চলে যেতে পারে, এইধারণা থেকে অনেক সময়ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সাড়া দেয় (আমরা পুরুষেরাও কি তা করি না?)

৪. অন্যের প্রেমিককে ছিনিয়ে আনার জন্য: অনেকে অন্য নারীর সাথে প্রকাশ্যরোমান্টিক সম্পর্কথাকা সত্ত্বেও পুরুষদের আবেদনে সাড়া দেয় এই উদ্দেশ্যে যে পুরুষটি তার ‘পারফরমেন্সে সন্তুষ্টহয়ে’ বা অন্য কোন কারণে তার রোমান্টিক পার্টনারকে ত্যাগ করে নতুন নারীকে স্বীকৃতি দিবে।

৫. দায়িত্ববোধ হতে: অনেক নারীই তাদের সঙ্গীদের সকল ধরণের যৌন চাহিদামেটানো দায়িত্ববলে মনে করে। সেক্ষেত্রে আবেগতাড়িত না হয়েও বা পার্টনার চলে যাওয়ার সম্ভাবণা না থাকাসত্ত্বেও সে দায়িত্ববোধ থেকে সাড়া দেয়। (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এইটা ছেলেরাওকরে থাকে)

৬. গৃহস্থলি কাজের বিনিময়ে: অনেক বদ টাইপের পুরুষরা নাকি সেক্স না করলেবাজার করুমনা, ঘর রং করুম না, গৃহস্থালী আবর্জনা ফেলুম না এইসব বলেপার্টনারদের ব্লাকমেইল করে।

৭. করুণা করে: মানসিকভাবে ভেঙে পড়া কোন পরিচিতজনকে সান্তনা দেয়ার জন্যও নাকিমহীয়সীরা সেক্স করে থাকে।

৮. বদ মতলবে: পদোন্নতির জন্য, টাকার জন্য, উপহার পাওয়ার লোভে,পার্টনারের ওপর কোনকারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গোপন প্রতিশোধ হিসেবে, কোন শত্রুতার কারণে এস. টি. ডি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে।

৯. ব্রেক-আপের জন্য: অনেকে পার্টনারের ক্লান্তি থাকা সত্ত্বেও জোড়-জবরদস্তি করে সেক্স করারজন্য, যেন পার্টনার বিরক্ত হয়ে ব্রেক-আপ করে

১০. মেডিক্যাল সেক্স: মাথা ব্যাথা সহ আরো অনেক শারিরীক সমস্যার চিকিৎসা হিসেবেও নাকিঅনেকে সেক্স করে থাকে।

শান্তিতে আরামের ঘুম


সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম সবারই দরকার আর এটা আমরা সবাই জানি বটে, কিন্তু ভালো ঘুম সবার কপালে জোটে না। কারণ যাই হোক, দেখা যায় রাতের পর রাত দু-চোখের পাতা এক করতে পারেন না অনেকেই। প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকার পরেও ঘুমের খোঁজ পাওয়া যায় না। অনেকের ঘুম হয় ছাড়া ছাড়া, রাতভর ঘুমালেও শরীরে অবসাদ থেকেই যায়। শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক দিয়ে প্রশান্তি এলে তবেই মানুষের ভালো ঘুম হয়। দেখে নিন শান্তির ঘুম হবার জন্য এক গুচ্ছ কৌশল।
১) ঘুমাতে যাবার জন্য অ্যালার্ম সেট করুন, ঘুম থেকে ওঠার জন্য নয়। নিয়মিত ঠিক সময় না ঘুমানোর জন্যই পরে ঘুমের সমস্যা হয়। অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন আর সেই অ্যালার্ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান প্রতিদিন। নির্দিষ্ট সময়ে উঠুন, ছুটির দিনেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম করবেন না।
২) অ্যালার্মের স্নুজ বাটন বারবার চেপে ধরবেন না। অনেকেই এই স্নুজ বাটন চেপে ধরে আরও ১০ মিনিট বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করেন। এতে যেমন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় তেমনি শরীরটাও ম্যাজম্যাজ করে। কারণ এমন ছাড়া ছাড়া ৫-১০ মিনিটের ঘুম শরীরের কাজে লাগে না, বরং মাথাব্যাথা তৈরি হবার আশঙ্কা থাকে। ভোরে অ্যালার্ম দিয়ে বারবার স্নুজ চাপার চাইতে একটু দেরিতেই অ্যালার্ম সেট করুন। ঘুম ভালো হবে।
৩) বেডরুম রাখুন অন্ধকার। বেডরুমে একটা ডিজিটাল ঘড়ি বা অন্য কোনো আলোর উৎস থাকলে তা ঘুমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত করে।
৪) বেডরুম রাখুন ঠাণ্ডা। তাই বলে খুব বেশি ঠাণ্ডা না কিন্তু। ৬০-৬৭ ডিগ্রী ফারেনহাইটের মধ্যে থাকাটাই ঘুমের জন্য ভালো।
৫) ঘুমের এক ঘণ্টা আগে সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টিভি এ জাতীয় সবকিছু। চেষ্টা করুন এসব ডিভাইস বেডরুমের বাইরে রাখতে। এগুলো আমাদের ঘুমের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে।
৬) বিকালের পর চা-কফি জাতীয় পানীয় খাবেন না। এগুলো অনেকক্ষণ আমাদের রক্তে থেকে আমাদের ঘুম তাড়িয়ে দিতে থাকে।
৭) নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বেশি না, দিনে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যায়াম করলেই দেখবেন আপনার কতো ভালো ঘুম হচ্ছে। তবে ঘুমানোর ঠিক আগে ব্যায়াম করবেন না। চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাবার কয়েক ঘণ্টা আগেই সব ব্যায়াম সেরে ফেলতে।
৮) রাত বেশি হয়ে গেলে ভারী খাবার খাবেন না। বিকালের পর থেকে আমাদের হজমের ক্ষমতা কমতে থাকে। এ কারণে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খেলে শরীর ঘুমাতে চায় না। বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি রাত করে খাওয়া উচিৎ নয়। কিছু যদি খেতেই হয় তবে হালকা খাবার খান।
৯) বেডরুমের রঙ রাখুন হালকা, এমন রঙ যা চোখকে শান্তি দেয়। কটকটে উজ্জ্বল, চকচকে এবং গাড় রঙের দেয়ালের ঘরে ঘুমাতে আপনার সমস্যা হতেই পারে।
১০) বিছানায় এমন কাজ করবেন না যা অন্য কোথাও করা যায়। অফিসের কাজ, পড়াশোনা, গল্পের বই পড়া, খাওয়া এসব কাজ বিছানায় করলে সহজে ঘুম আসতে চাইবে না।
১১) বেডরুম রাখুন নিরিবিলি। সেই ঘরে কোনো ঘড়ির টিকটিক শব্দ যদি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় তবে তা ঘরের বাইরে রেখে আসুন। রাতে ফোন বাজলে ঘুম ভেঙে যাবে, তাই তাকেও বাইরে রেখে আসতে পারেন। তবে একেবারে নীরব ঘরে ঘুম নাও হতে পারে। তাই ফ্যান চালিয়ে রাখতে পারে। এর একঘেয়ে শব্দে ঘুম ভালো হবে।
১২) পোষা প্রাণী নিয়ে ঘুমাবেন না। অনেকে বেড়াল, কুকুর, খরগোশ এসব পোষেন এবং এদের কোলে নিয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন। কিন্তু এরা নড়াচড়া করলে বা শব্দ করলে আপনার ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। শুধু তাই নয়, এদের থেকে হতে পারে অ্যালার্জি।
১৩) বিছানার দিকে লক্ষ্য করুন। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আপনি কিসের অপর ঘুমাচ্ছেন তার ওপরে ঘুম অনেকটাই নির্ভর করে। বিছানার তোষক যথেষ্ট নরম না, অথবা বেশি নরম, উচুনিচু- এসব কারণে আপনার ঘুম হারাম হয়ে যেতে পারে। প্রতি ৫-১০ বছর পর পর তোষক পরিবর্তন করুন। নিজের বালিশটাকেও যত্নে রাখুন, এর মাঝে এক ধরণের অতিক্ষুদ্র পোকা হয় যার কারণে আপনার ঘুমে সমস্যা হতে পারে। বালিশ পরিষ্কার রাখুন, নিয়মিত রৌদ্রে দিন এবং বেশি পুরনো বালিশ পাল্টে ফেলুন।
১৪) দিনের বেলায় কম ঘুমান। ঘুমালেও সেই ঘুম যেন আধা ঘণ্টার বেশি না হয়। বিকেলের আগেই এই ঘুম সেরে ফেলুন।
১৫) শয্যাসঙ্গী থাকলে আলাদা কম্বল/কাঁথা ব্যবহার করুন। আপনার সঙ্গী রাতের বেলায় কাঁথা নিয়ে টানাটানি করলে আপনার ঘুম উবে যাবে।
১৬) শরীর এবং মন শান্ত করুন করুন ঘুমানোর আগে। এর জন্য অনেক উপায় আছে, যেমন-
- যোগব্যায়াম
- হালকা গরম পানিতে গোসল
- প্রার্থনা
- অ্যারোমাথেরাপি
- জার্নাল লেখা
১৭) ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপান হলো ক্যাফেইনের মতো, শরীর উত্তেজিত করে রাখে এবং ঘুম আসতে দেয় না।
১৮) ঘুম যদি না আসে তবে বিছানায় শুয়ে না থেকে উঠে পড়ুন। অন্য কোনো কাজ করুন যতক্ষণ না ঘুম আসে।
১৯) সকালে সূর্যের আলো শরীরে লাগতে দিন। এটা আপনার মস্তিষ্ককে সতেজ করে তুলবে এবং আপনার দেহঘড়িকে ঠিক রাখবে। ফলে ঘুম হবে নিয়মিত।
২০) এতো কিছুর পরেও যদি ঘুমে সমস্যা হতে থাকে, তবে শারীরিক কোনো জটিলতা আছে কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। ঘুম না হওয়ার মাত্রা যদি গুরুতর হয় তবে পেশাদার থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে হতে পারে আপনার।

দাম্পত্য সম্পর্কে যে ভুল ধারণাগুলো আপনার জীবনে অশান্তির কারণ! -

 
 দাম্পত্য সম্পর্ক খুবই নাজুক একটি সম্পর্ক। সামান্য কারণেই এই সম্পর্কে আসতে পারে টানাপোড়ন। সামান্যতেই শুরু হতে পারে ভুল বোঝাবুঝি। সে কারণে দাম্পত্য সম্পর্কের ব্যাপারে সকলের সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু আমাদের সমাজে এই দাম্পত্য সম্পর্ক বিষয়ে রয়েছে ভয়ংকর কিছু ভুল ধারণা। এই সকল ভুল ধারণাগুলো আমরা পোষণ করে আসছি যুগের পর যুগ। কিন্তু এই সকল ভুল ধারণাগুলোর কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে জীবনে অশান্তির, যা আমরা কেউই বুঝতে পারছি না। তাই আমাদের জানতে হবে কোন ভুল ধারণাগুলো আমরা পোষণ করে আসছি। এবং দাম্পত্য জীবনকে সুস্থ রাখতে চাইলে আমাদের দূর করতে হবে এই ধারণা গুলোকে।

‘যদি সত্যিকার ভালোবাসা হয়, তবে একে ওপরের চাওয়া-পাওয়া বুঝতে পারে’

অনেকেই মনে করেন ‘যে আমাকে ভালোবাসবে সে আমার মনের খবর পেয়ে যাবে আমার মুখের ভাব দেখেই। আর যদি বুঝতে না পারে তবে সে আমাকে কখনোই ভালোবাসেনি’।


এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কেউ কারো মনের কথা জানতে পারে না যদি না সে মনের ভাষা পড়ার ক্ষমতা রাখেন। এই ভুল ধারণাটি একটি সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্কে ভাঙন ধরিয়ে দিতে পারে। আপনার মনের কথা আপনার সঙ্গীর কাছে তুলে না ধরলে চলবে না। এতে আপনিই দুঃখ পেয়ে তার কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন এবং সম্পর্কে দূরত্বের সৃষ্টি হবে।

‘যে সত্যিকারের ভালোবাসে সে সব কিছু করতে পারবে’

গল্প-উপন্যাস, সিনেমা-নাটকে ভালোবাসার জন্য, একে অপরের জন্য সব কিছু করতে পারলেও বাস্তবের জীবন কিন্তু পুরোপুরি ভিন্ন। আপনার স্বামী/স্ত্রী যদি আপনাকে ভালোবাসেন তবে আপনার জন্য সব কিছু করতে পারবেন এই ধরণের ভুল ধারণা শুধুমাত্র প্রত্যাশা বাড়ায় এবং ভুল পথে চলার অনুপ্রেরণা দেয়। বাস্তব জীবনে এই ধরণের কাল্পনিক কিছু করা সম্ভব নয়। বাস্তব জীবনে সাধ্যের একটি নির্দিষ্ট গণ্ডি রয়েছে, যে কারণে কাল্পনিক কোনো কাহিনীর মত সব কিছু করে ফেলা সম্ভব নয় কারো পক্ষেই।

 
‘সন্তান হলে সম্পর্ক আরও গভীর হয়’

যেসব দম্পতিরা দাম্পত্য কলহে জড়িয়ে যান তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হয় সন্তান জন্মদানের। অনেকের মতে দম্পতির মাঝে সন্তানের আগমনে সম্পর্ক আরও গাঢ় এবং সুমধুর হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই কথাটি সত্যি হলেও সকল ক্ষেত্রে এটি সত্যি নয়। অনেক ক্ষেত্রে বরং উল্টোটি ঘটতে দেখা যায়। সন্তান হলে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে অনেক ক্ষেত্রে কম সময় দিতে পারেন যা মাঝে মাঝে সম্পর্কে আরও কঠিন মোড় নিয়ে আসে। সুতরাং সন্তান নেয়াই সকল সমস্যার সমাধান নয়।


‘ঈর্ষা ভালোবাসার লক্ষণ’

অনেককে বলতে দেখা যায়, ‘আমি যদি কাউকে ভালোবাসি তবে তাকে অন্য কারো সাথে দেখলে ঈর্ষা তো হবেই’। কিন্তু সত্যি কথা হলো ঈর্ষা বা হিংসা কখনোই ভালোবাসার লক্ষণ হতে পারে না।

ঈর্ষা বা হিংসা করলে সম্পর্কে ফাটল ধরে। আপনার স্বামী/স্ত্রীর অন্য কারো সাথে মেলামেশা আপনি ঈর্ষা বা হিংসার দৃষ্টিতে দেখলে আপনার মনের শান্তি নষ্ট হবে এবং খুব দ্রুত ঈর্ষা সন্দেহে পরিনত হবে। এবং সন্দেহ সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।


‘সম্পর্ক ভালো থাকলে আর কিছুই করার প্রয়োজন নেই’

যেসব দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক ভালো তারা অনেক সময় ভেবে থাকেন যেমন আছে চলতে থাকুক, এর বাড়তি কিছুই করার দরকার নেই। কিন্তু এটি অনেক বড় ভুল ধারণা। একটানা যেকোনো জিনিস খুব দ্রুত একঘেয়ে হয়ে যায়। এতে বিতৃষ্ণা চলে আসে সম্পর্কে। যত ভালো সম্পর্কই থাকুক না কেন নিত্য নতুন ভাবে কোনো কিছু না করে সম্পর্কে মধুরতা না আনলে সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে তৃতীয়জনের প্রবেশ ঘটে। তাই এই ভুল ধারণাটি দূর করুন।

তুমি আমকে এমন একটা নিসঙ্গ রাত কি দিতে পারনা !

তুমি আমকে এমন একটা নিসঙ্গ রাত কি দিতে পারনা ! 











 আমি এমনএকটা রাতের জন্য অপেক্ষা করছি !

Best Picture





বিনম্র শ্রদ্ধা তাদের প্রতি !



সবাই পথ চলে, কেউ কেউ পথ দেখায় 
যাদের দেখানো পথে এসেছে আমাদের ভাষা,
বিনম্র শ্রদ্ধা তাদের প্রতি !


 
 

আমার সর্বশেষ কিছু আলোকচিত্র

আমার সর্বশেষ কিছু আলোকচিত্র 
ছবি : এনামুল করিম / তারিখ : ২৫ মার্চ ২০১৪












পাপা ! শুভ সকাল !

পাপা,

পাপা তুমি কেমন আছ ? সপ্তাহের যে দিনগুলো তুমি আমাদের কাছে না থাকো, আমি ও আম্মু তোমাকে খুব মিস করি ! তুমিও কি...... ?

পাপা জানো ! কখন মনে হয় তুমি পৃথিবীর সব চেয়ে ভালো পাপা ? যখন আমি বাইরে যেতে চাই-আম্মু বলে এখন আমার সময় নেই ! যখন আমি কিছু কিনতে চাই-আম্মু বলে টাকা নেই ! যখন গেমস খেলতে বসি-আর আমার কম্পিউটার টা খুব বিরক্ত করে কিংবা গেমসটা চলেনা ! যখন আমি পুলিশ আর অন্য গাড়িগুলোকে মেরে ফার্স্ট হই-আর আম্মু যখন আমার পিঠে হাত রেখে আদর করে 'থ্যাঙ্ক ইউ' বলেনা ! যখন আমি আইসক্রিম খেতে চাই - আম্মু বলে ঠাণ্ডা লাগবে ! যখন রিমোট নিয়ে দুষ্টামি করার জন্য কাউকে পাশে না পাই কিংবা যখন রাতে ঘুমাতে গিয়ে-মাঝখানে ঘুমাতে পারিনা !

পাপা জানো ! শনিবাবের সকালটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়, যখন ঘুম থেকে উঠে দেখি তুমি নেই ! তখন আমার খুব মন খারাপ হয়, আমার বন্ধুদের পাপা'দের মতো সবসময় তুমি আমার পাশে কেন থাকনা ? আমি জানি তুমি বলবা ! আমি যেদিন তোমার মত বড় হব, সেদিন এ প্রশ্নের উত্তর পাবো ! 

পাপা জানো ! আজকাল আরো একটা বিষয় নিয়ে মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়-আমি যখন তোমাক ফোন করি, তুমি কেটে দিয়ে আর ফোন করনা ! তখন খুব রাগ করি -মনে মনে ভাবি আর কখনো তোমাকে ফোন করব না ! পাপা তুমি কি এতই ব্যস্ত থাকো যে আমাকে একটা ফোনও করতে পারনা ? 

পাপা জানো ! তুমি যে রং পেন্সিলগুলো কিনে দিয়াছ না, সেগুলো আম্মুর কিনে দেয়া  পেন্সিলগুলো চেয়ে অনেক সুন্দর, ভালো ছবি আক যায় ! আমি তোমার জন্য অনেকগুলো ছবি একে রেখেছি, তুমি এসে 'গুড' দিয়ে দিও ! 

পাপা জানো !  তুমি যখন আমাদের কাছে থাকতা না, তখন আমি একটা 'ক' 'খ' ও লিখতে পারতাম না ! আর আজ আমি সব লিখতে ও পড়তে পারি, অথচ তুমি নেই ! কাল যখন তুমি আসবা, আমি তোমাক সব পড়ে শোনাব !

পাপা জানো ! কালকের দিনটা আমার কাছে খুব আনন্দের ছিল, কারণ কাল'ই প্রথম আম্মুক ছাড়া তোমার সাথে এত দুরে বেড়াতে গিয়াছি ! যখন তোমার পাশে দাড়িয়ে সৃতিসৌধটাকে খুব কাছ থেকে দেখলাম, ছবি তুললাম, জীবনের প্রথম দোতলা বাসে চরলাম, তোমার বুকে মাথা রেখে দুরপাল্লার গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে থাকলাম, আমার খুব ভালো লাগছিল ! কিন্তু দুইটা কারণে আম্মুর জন্য মন খারাপ লাগছিল, কারণ আম্মু পাশে থাকলে আরো বেশী আনন্দ হত ! তাছাড়া আম্মু বার বার ফোন দিয়ে খবর নিতেছিল, কারণ আম্মুর আমার জন্য ভয় হইতেছিল ! আমি দুষ্টামি করি কিনা, পাপা ঠিক মত আমার দিকে খেয়াল রাখছে কিনা ইত্যাদি ! কিন্তু পাপা, আম্মু হয়ত জানেনা, এই পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে আমাকে তোমার চেয়ে বেশী নিরাপত্তা দিতে পারবে, আমাকে নিরাপদে আগলে রাখতে পারবে ! কারণ আমি যে তোমার প্রাণ,  তুমি যে আমার সেরা পাপা !

শোন পাপা ! তুমি আগামী সপ্তাহে আসলে 'নিউ মার্কেট' এর সেই গাড়ির দোকানটাতে নিয়া আমাকে  আরো একটা রিমোটওয়ালা গাড়ি ও একটা রংপেন্সিল কাটার কিনে দিবা, তারপর তোমাক নিয়ে আমার পছন্দের সেই রেস্টুরেন্ট এ  যাব ! ঠিক আছে ? আমি জানি তুমি দিবা ! কারণ আমি যা যা চাই তুমি তাই আমাকে কিনে দাও, কারণ তুমি যে আমার 'ভালো পাপা' !

ঠিক আছে এখন রাখি পাপা ! তুমি আমাদের জন্য চিন্তা করনা ! প্রতিদিন আমাকে একবার ফোন দিও !  আমি মাঝে মাঝে ফোন নিয়ে বসে থাকি, একটাও তোমার ফোন আসেনা ! বাই পাপা !


তোমার বাধন 

এমন ভাবে মরনেও সুখ.......


এমন ভাবে মরনেও সুখ.......
মরণে আমার ক্ষতি নেই, কিন্তু সে সময় যেন একটি স্নেহ্কর স্পর্শ আমার ললাটে পৌছে !
যেন একটি স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে অ জীবনের অন্ত হয় !
মরিবার সময় যেন কাহারও একফোটা চোখের জল দেখিয়া মরিতে পারি !

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!