ঈদ মোবারক - ২০১৪
প্রথম পাতা |
ফটো স্টুডিও |
আমার প্রতিদিন |
অনুভুতি |
উপদেশ |
স্বাস্থ্য |
তোমাদের ছবি |
শাড়ীতেই নারী |
আজকের বার্ত |
তোমার রুপ |
বাবা তোমায় ছালাম |
কবিতা |
সাহিত্য |
ঈদ মোবারক - ২০১৪
ঈদ মোবারক - ২০১৪
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ২০১৪ ইং উপলক্ষে
কাছে-দুরে, পুরানো-নতুন, আপন-পর, ছেলে-মেয়ে, যুবক-যুবতী সবাইকে
ঈদ মোবারক !
পরকীয়া
প্রায় প্রতিটি দেশেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নারী
বা পুরুষ । গোটা বিশ্বে দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে এর সংখ্যা । তবে পরকীয়া বেড়ে
যাওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে অনলাইন সাইটগুলোকে । বা বলা ভালো ডেটিং
সাইটগুলোকে! অবশ্য এসব সাইটগুলো বেশ ঘটা করেই নিজেদেরকে 'চিটিং' সাইট বলে
থাকে ।
এই সাইটের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষকে পরকীয়া করার সঙ্গী খুঁজে দেয়া।
একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকার বিনিময়ে আপনি তাদের সদস্য হতে পারবেন আর তারপর
এই ডেটিং সাইট থেকে খুঁজে নিতে পারবেন মনের মত পরকীয়ার সঙ্গী।
আসলে অ্যাশলে
ম্যাডিসন ডটকমের স্লোগানই সঠিক - 'জীবন ছোট, একটি প্রেম করুন' ! আমার ধারণা "অন্তত একটি প্রেম না করলেই হয়না ! "
এ ধরনের ওয়েবসাইটের
সাহায্যে অনেক নারী তার অবিশ্বস্ত স্বামীর প্রতি প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন। ছেলে বন্ধু খুঁজে নিতে পেরেছে ! একটি সফল ওয়েব সাইটের নির্মাতা নোয়েল
বাইডারম্যান বলেন, "কেউ আমাকে এমন কোনো সমাজ দেখাতে পারবে
না, যেখানে বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনা ঘটে না । " তাহলে আমরা সবাই যখন এটা চাই, তাহলে এটা দোষের কিছু বলে আমার মনে হয়না ! তাই এটার জন্য একটা নির্দিস্ট খোঁজার মাধ্যম থাকা অবস্যই ভালো !
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর পিপার
স্কুয়ার্জ বলেন, "আমার ধারণা, কিছু মানুষ তাদের সম্পর্কের বাইরে যৌনতা
কামনা করে কিন্তু কীভাবে তা করবে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারে না ।
তাদেরকে কেবল রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে এসব সাইট ।
পিপার
স্কুয়ার্জ এর সাথে আমিও একমত , আমার ধারণা সমাজের ১০০ জন বিবাহিত পুরুষের মধ্যে ৯৯ জনই মনে মনে কামনা করে যে, তাদের বর্তমান পুরানো বৌ'কে বাদ দিয়ে একটা ১৬ বছরের অবিবাহিত মেয়েদের সঙ্গ পেতে চায়, হয়ত সমাজের ভয়ে, লজ্জায়, আবার কারো কারো টাকা নেই বলে মুখ খুলতে পারছেনা ! আমার মতো এসব লোকদের জন্য এই সাইটগুলো কাজে দেয় !
কিন্তু আমি এই সাইটগুলো দিয়ে কোনো কাজ করতে পারলামনা ! ভুয়া কিছু সাইটের মাঝে সত্যিকার সাইটগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যায় !
মোবাইল রিচার্জ
বন্ধুরা / বান্ধবীরা,
সুখবর এবার ঘরে বসেই অনলাইন এর মাধমে রিচার্জ করতে পারবেন !
দোকানে লাইন দিতে হবেনা !
দোকান থেকে তোমার বা তোমার প্রিয়জনের মোবাইল নম্বর নিয়ে কেউ বিরক্ত করতে পারবেনা !
প্রতিবার নম্বর ভুল হওয়ার সুযোগ নেই !
ধন্যবাদ
easy.com.bd
আমাদের এ সম্পর্ক আর নয়
আমাদের জীবনের প্রতিটি সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত সুন্দর ভাবে টিকে নাও থাকতে পারে। কোনো কোনো সম্পর্ক অনেক কারণে বা অকারণেও ভেঙে যেতে পারে। প্রিয়জনের সঙ্গে যদি কখনো এমন সিদ্ধান্তে আসতে হয় যে সম্পর্কটা আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়, তবে সবচেয়ে ভালো হয় সম্পর্ক খুব জঘন্য অবস্থানে যাওয়ার আগেই তার সুরাহা করা।
ধরুন আপনি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ভাববেন না কাজটা খুব সহজ। সম্পর্ক শেষ হলেও প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা আগের মতোই থাকতে পারে। তাই চেষ্টা করতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনাদের সুন্দর সম্পর্কটি একটি বিশ্রী সংঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ না হয়। আমরা এখানে বলব কীভাবে আপনি বিচ্ছেদের সময় খারাপ দৃশ্য তৈরি হওয়া এড়িয়ে চলতে পারেন।
ভাঙনটি হতে পারে চিঠি, এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে
এটি কারও জন্য ভালো কাজ হতে পারে, আবার কারও জন্য কালবৈশাখি ঝড়ের মতো হতে পারে। তবে সম্পর্ক ভাঙার অবস্থায় যিনি নিজের মনের কথা বলতে পারেন না বা ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন না তার জন্য চিঠি লেখা, এসএমএস বা ই-মেইল করার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। কারণ এর মাধ্যমে তিনি তার অনুভূতির বিশদ বর্ণনা দিতে পারবেন। আবার যিনি বাগ-বিতণ্ডা বা সংঘাত এড়িয়ে চলতে চান, তার জন্যও এটি সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। কিছু লিখিত শব্দ যদিও সম্পর্ক ভেঙে ফেলার জন্য যথেষ্ঠ নয়, তবু অনেকের জন্য এটি খুব ভালো কাজ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সম্পর্কচ্ছেদ এড়িয়ে চলতে হবে
ফেইসবুক, টুইটার বা এমন সামাজিক যোগাযোগর বিভিন্ন সাইটে আপনি যখন আপনার স্টেটাস, ছবি বা কোনো ধরনের কমেন্ট পোস্ট করেন; তখন ভাববেন না এসব শুধু আপনারা দুজনে দেখছেন। আগে যেমন সবাই দেখত, এখনো সবাই দেখছে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনাদের সম্পর্কচ্ছেদ নিয়ে পরিচিত, কম-পরিচিত, ছোট-বড় সবাই হাসাহাসি করুক। সেজন্য এসব বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এসব সাইট এড়িয়ে চলুন।
ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে এগোতে হবে
সম্পর্ক ভাঙার সবচেয়ে ভালো পথ হলো ধীরে এবং দৃঢ়ভাবে এগোনো। এর অর্থ হলো সঙ্গীকে বোঝানো যে, আমাদের সম্পর্কটি আর আগের মতো কাজ করছে না। তবে এ ধারণার প্রতি অভ্যস্ত হওয়ার জন্য আপনার সঙ্গীকেও কিছু সময় দিতে হবে। তাহলে সম্পর্কচ্ছেদটি কারও জন্যই বড় ধরনের বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।
সব অপরাধের দায় সঙ্গীর কাঁধে চাপাবেন না
যখন আপনি পুরোপুরিভাবে সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন একতরফাভাবে সঙ্গীর ওপর দোষ চাপাবেন না। কথা বলা এবং চিন্তায় বাস্তববাদী হোন। তাকে বলুন এ সম্পর্কচ্ছেদটি আমাদের দুজনের জন্যই ভালো হবে। এর জন্য আপনারা দুজনই কমবেশি দায়ী।
বিচ্ছেদের কাজটি জনসম্মুখে করবেন না
আপনি যখন ধারণা করেছেন সম্পর্ক ভাঙবেন, তাহলে এ চিন্তাও করেছেন কীভাবে তা করবেন! তবে যাই ভাবুন না কেনো এটা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে, কাজটি যেন আপনাদের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট না করে বা তা যেন জনসম্মুখে না হয়। কারণ আপনি নিশ্চই চাইবেন না আপনাদের বাগ-বিতণ্ডা, বিশ্রী ঝগড়া অন্যরা উপভোগ করুক বা তারা এতে যুক্ত হোক। যে জায়গাটিতে আপনি নিয়মিত যাতায়াত করেন সেরকম জায়গায় এ কাজটি করা যাবে না। কারণ এ ঘটনাটি পড়ে আপনার জন্য লজ্জার কারণ হবে।
আকস্মিক বা খামখেয়ালিভাবে কাজটি করবেন না
সম্পর্ক ভাঙ্গার কাজটি অফিসে যাওয়া বা বাজার করার মতো গতানুগতিক কাজের মতো করবেন না। আপনার সঙ্গী এবং আপনাদের সম্পর্ককে সম্মান করুন। পরিকল্পনা করুন কীভাবে আরো সামনে আগানো যায়।
মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করবেন না
যদি আপনার সঙ্গী খুব আবেগপ্রবণও হয়ে থাকেন, তবু আপনি তার সঙ্গে কোনো মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করবেন না। ‘আমি এ বিষয়ে আবার চিন্তা করব’; ‘আমরা হয়তো আবার কোনো একদিন আগের সম্পর্কে ফিরে যাব’- এ ধরনের কথা আপনি নিজে বিশ্বাস না করলে তাকে বলবেন না। বুঝতে চেষ্টা করুন বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য কী।
অধিকাংশ সম্পর্কই মানুষ কিছু গড়ার জন্য করেন, ভাঙার জন্য নয়। তারপরও কখনো কখনো আমাদের জীবনে ভাঙন আসে। এটি অনেক সময়ই অনাকাঙ্ক্ষিত। কিন্তু অনেক সময়ই বিচ্ছেদ মানেই সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। তাই এটি যত ভালোভাবে করা যায়, ততই কল্যাণকর।
" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!