তবে এজন্য সচেতন হয়ে পা বাড়াতে হবে। যুক্তিকে আবেগের ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। আমরা নিজেদের কোন ভুল সম্পর্কের জালে জড়িয়ে ফেললাম কিনা, সেটা যদি বুঝতে বেশি দেরি হয়ে যায় তার পরিণতিটা খুব সুখকর হয় না। এ বিষয়ের ওপর অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সেখানে সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনাকে ব্যবহার করছে কিনা, এ নিয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেরকম ৩টি নিচে তুলে ধরা হলো:
বাইরে গেলে শুধু আপনিই খরচ করেন: হয়তো আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীটি বেশ স্বচ্ছল। কিন্তু, প্রতিবার ডেটিংয়ে যাওয়ার পর খরচের ভারটা শুধু আপনাকেই বহন করতে হয়। সাবধানে পা বাড়ানোর জন্য এটা একটা ভালো ইঙ্গিত। তবে, বিল পরিশোধের সময় যদি দুই জন ভাগাভাগি করে টাকা দেন, তাতে অসুবিধা নেই। আর প্রতিবার ডেটিংয়ে গিয়ে খাওয়ার পর বিল পরিশোধের জন্য নিজে জোর করে পুরো টাকাটা দেয়ার অভ্যাস করবেন না।
আপনাকে তার প্রয়োজন হলেই সাক্ষাৎ পান: আপনার কোন প্রয়োজনে আপনি হয়তো আপনার প্রিয় মানুষটিকে অনুরোধ করেও কাছে পাচ্ছেন না। তার বিশেষ কোন ব্যস্ততা হয়তো নেই। তারপরও ফোন করলে কল রিসিভ করছে না। কিন্তু, আপনি সেটা বেশ বুঝতে পারছেন। যখনই আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কোন আপনাকে প্রয়োজন হলো, সে আপনার সঙ্গে দেখা করলো। সে প্রয়োজনটা যে কোন কিছু হতে পারে। সেটা শুধু তার স্বার্থকেই প্রতিফলিত করবে। কোন একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর তরুণ বা তরুণীটি এ বিষয়টাকে অনেক সময়ই এড়িয়ে যান। নিজেকে বোঝান এতোটুকু স্পেস বা জায়গা ছেড়ে দেয়াই তার কর্তব্য। ভুলটা কিন্তু সেখানেই। আবেগ থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তি দিয়ে যাচাই করুন।
আপনার ওপর সে আর্থিকভাবে নির্ভরশীল: শুধু আপনি যে ডেটিংয়েই টাকা খরচ করছেন তা নয়, মাঝে-মাঝে তার অন্যান্য বিলও হয়তো পরিশোধ করছেন। মনে রাখবেন সে কিন্তু স্বচ্ছল। বিলগুলো সে নিজেই পরিশোধ করতে পারতো। সতর্ক ঘণ্টাটা মনোযোগ দিয়ে শুনে বোঝার চেষ্টা করুন। সে আপনাকে তার নিজের স্বার্থেই কেবল ব্যবহার করে চলেছে। তাই এ সম্পর্কের ইতি টানাটা আপনারই হাতে।