বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতে বা অন্য কোথাও কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেমের ওপর কোন অ্যাকাডেমিক কোর্স রয়েছে কী না তা জানা নেই।
এই অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মালবিকা সরকার জানিয়েছেন, সেক্সপিয়ার থেকে শুরু করে বলিউড সিনেমা পর্যত্ম থেকে এ কনসেপ্টটা নেয়া হয়েছে। ভক্তি, দর্শন ও চিত্রকলার অনেক ব্যাপার এর মধ্যে অর্ত্মভূক্ত থাকবে। এছাড়া সমাজ বিজ্ঞান ও দর্শনের বিভিন্ন উদাহরণ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া জাতীয়তা ও আবেগের দিক থেকে অবজেকটিভ এবং সাবজেকটিভ বাইনারি কোড গুলো সাধারণ ভাবে মানুষ বিশ্বাস করে কী-না তাও অর্ত্মভূক্ত হবে।
এসব বিষয় মনোবিজ্ঞান বা দর্শনের মধ্যে থাকলেও নতুন বিষয় কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অনেক বিষয় অšর্ত্মভূক্ত করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বিষয়টি অর্থনৈতিক দিক সহ বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় তাই এই প্রচেষ্টা। মিউজিক বা সাহিত্য দিয়ে হয়তো ভালোবাসার সাথে পরিচিত হওয়া যায় কিন্তু এটা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করার অনেক দিক রয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা মানসিক প্রশিক্ষণ নিতে পারবে বলে তিনি মনে করছেন।
ক্লাস রুমে এমন শিক্ষার দরকার কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাহিত্য কিংবা মিউজিক অথবা সেক্সপিয়ার কিংবা অন্যকিছু ভালোবাসায় এসবের জন্য একটা সেন্ট্রাল পয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু একাডেমিক্যাল ভাবে একে বিশ্লেষণ করলে অন্য কিছু রয়েছে। যা সাধারণ ভাবে ধরা পরে না।
একটি ছেলে বা মেয়ে এ বিষয়ে পড়পশুনা শেষ করার পর তার ভিতরে কি পরিবর্তন আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাতো পুরো বিষয় নয় একটা বিষয়ের অংশ মাত্র। এর ফলে তার একাডেমিক ও বাত্মবিক জ্ঞানটা বৃদ্ধি পাবে।