আমাদের অনেকের কাছে বিষয়টি খুবই পরিষ্কার যে, নিজের বাসার মাংস থেকে পাশার বাসার ভাবীর কচু তরকারীও মজা । কারণ মানুষের একটা জন্মগত সভাব হচ্ছে অজানাকে জানার আগ্রহ কিংবা নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি দুর্বলতা । আর এই থেকেই মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের রাস্তা পরিহার করে, ভিন্ন, ভুল, নিষিদ্ধ রাস্তায় পা-বাড়ায় ।
আজকাল কার মডার্ন যুগে পুরুষ মানুষগুলো এতটাই পাল্টে যাচ্ছে যে, প্রতিদিন স্বামী বাহিরে যাবার পর স্ত্রীদের অজানা একটা ভয়ে থাকতে হয় । আবার বাসায় ফেরার পর শরীরে লম্বা চুল, শার্টে লিপিস্টিক এর দাগ, শরীর থেকে মেয়েদের পারফউমের গন্ধ, মুখ থেকে মদ বা সিগারেটেরে গন্ধ, বউয়ের প্রতি আগ্রহ, পেটে ক্ষুদা এগুলো আছে কিনা ? কারন আমাদের বিন্দু মাত্র বিশ্বাস নেই । কারন হয়ত পৃথিবীটা অনেক বদলে গেছে তাই । না তা নয় ...........!
আমাদের অনেক পুরুষের রুচী এতটাই জগন্য হয়ে যায় যে, ঘরে সুন্দরী স্ত্রী রেখে বাইরে সস্তা মেয়ে মানুষের বুকে সুখ খোজে । নীজের স্ত্রীকে ভাবে ব্যাংকের টাকা, যা হারানোর ভয় নেই। ফিক্স ডিপোজিট করে রেখেছে। শেষ বয়সে খরচ করবে যখন শরীরে কোন শক্তি থাকবেনা। অথচ ঐ সুন্দরী স্ত্রীদের কথা একবারও ভাবেনা । যে তাদেরও একটা জীবন আছে, আছে শারীরিক চাওয়া-পাওয়া, আছে আত্ন সম্মানবোধ ।
ভরা যৌবন নিয়ে প্রতিটি স্ত্রী’ই প্রতিদিন স্বামীর ঘরে ফেরার অপেক্ষা করে । আর সেখানে প্রথম স্ত্রী বর্তমান থাকা সত্বেও যদি কোন পুরুষ আবার বিয়ে করে কিংবা পরকীয়ায় আবদ্ধ হয়, তাহলে ঐ স্ত্রীর কষ্ট রাখবার জায়গা মনে হয় এই পৃথিবীতে হয়না । কারন তার সবকিছু বর্তমান থাকা সত্বেও, ঐ এক্ই জিনিসের জন্য তাকে অবহেলা করে অন্য নারীর শরীরের ভাজে তারই প্রিয় মানুষটি সুখ খোজে, এটা তার নারীত্বের চরম অপমান । হয়ত এই অপমান সইতে না পেরে কেউ কেউ আত্নহত্তাও করে, আবার কেউ কেউ মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে অন্তরের কষ্টগুলোকে অন্তরের গভীরেই মাটি চাঁপা দিয়ে দেয় ।
আমাদের ভাব উচিত যে, প্রতিটি ফুলই ফোটে একটা অসীম প্রত্যাশা নিয়ে । একদিন একটা কালো ভোমর এসে তার সকল পাপড়িগুলো চুষে চুষে নির্জাস নেবে, মধু খাবে । জীবন বির্সজন দিয়ে সে মধুগুলো জন্মিয়েছে । প্রতিটি ফুলই চায় ভোমরের বুকের আঘাতে তার সকল পাপড়িগুলো ছিন্নবিছ্ন্ন হয়ে যাক, একাকার করে দিক এতদিনের অপেক্ষার কষ্টে জমে থাকা জমাট বাধা বরফগুলো। তবেইতো তার ফোটা স্বার্থক । আর মেয়েরাতো ফুলের মতই। কিন্তু আমরা কিছু কিছু মানুষ সেই ফুলকে প্রথমে ছিড়ি, তারপর পায়ের নিচে ফেলে “সব ফুল দিয়েতো দেবতার পুজা হয়না, কিছু কিছু ফুল শশানেরও যায়” এ্ই গান ধরতে ধরতে মারিয়ে চলে যাই । তখন আমার নিজেকে দেবতা ভাবতে শুরু করি। হায়রে মানুষ .......!
আমরা কখনোই ভাবতে চাইনা বা রাজী না যে, আমাদের স্ত্রীদেরও একটা জীবন আছে । আছে চাওয়া-পাওয়া, ভাললাগা, আবেগ-অনুভুতি । দীর্গ বিশটি বছর ধরে মনের বাগানের ফুলগুলোকে সযতনে সাজিয়ে রাখে আমার এসে সুগন্ধ নেব, অনুভব করব তার স্নিগ্ন মাদকতা । ভালবাসা আর আদর দিয়ে কানায় কানায় ভড়িয়ে দেব তাদের শুন্য হ্নদয়গুলি । আমরা একবারের জন্যও বুঝতে চাইনা যে, প্রতিটি স্ত্রীই জন্মায় তার স্বামীর ভোগের সামগ্রী হিসাবে । স্বামী দেবতাটি যখন পরম আনন্দে তাকে ভোগ করবে, ছিড়ে টুকরো টুকরো করে দেবে তার শরীরের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা, তখনই তার বেচে থাকা, বেড়ে ওঠা, সৌন্দর্য্য সবই স্বার্থক । আমরা কি করি ? নিজের ভাল মানুষিটাকে লোকচক্ষুর সামনে উম্মোচন করে, তাদেরকে নীজের করে গ্রহণ করি ঠিকই, কিন্তু পরিতৃপ্তির সাথে ভোগ করিনা, যর্থাত মুল্য দেইনা । বরং অনাদরে নেষ্ট করে ফেলে, বাসী করে দেই তাদের সুন্দর ফুলের মত জীবনটাকে । আর মনে মনে ভাবী, বাসায় ফিরলেইতো সেই বাসী বউ, পয়সার বিনিময়ে যদি সুন্দরী কোন টাটকা মেয়ে মানুষের সঙ্গ পাওয়া যায় মন্দ কি ?
মাঝে মাঝে ভাবী, দিনের তপ্ত আলোতে যার চোখের ইশারায় ধুলির ধরা কপ্তি হয়, যার ক্ষমতার কাছে মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়না, যাকে দেখলে বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষের নাম ভুলে যেতে বাধ্য, যার হুংকারে কত মানুষ ঘরছাড়া হল অথচ এরা ঐ এক জায়গায় এক সময় সবাই দুর্বল, নির্বাক । রাত্রীর কোন এক প্রহরেে ঐ সস্তা মেয়েদের বিবস্ত্র করার উদ্দেশ্যে কতনা অনুনয়-বিনয়, কতনা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি । ঐ সস্তা পোষাকের নীচের অগ্নি ধারার উত্তাপ গ্রহণ করার জন্য কতজনকে যে তাদের পায়ের কাছে পরে থাকতে দেখা যায়, তা দিনের বেলায় বলার সাহস ঐ যুবতীর নেই। অথচ একবার চিন্তা করে দেখ, ঐ সস্তা মেয়ে মানুষটির জায়গায় তার স্ত্রী হলে রাতটা কত রোমান্টিক, কত মধুময় হতে পারত ! থাকতনা কোন ভয়, লজ্জা । কারন মাতৃভুমি আর স্ত্রী এই দুয়ের মত সুখ ও শান্তী পৃথিবীর অন্য কেউ কি দিতে পারে, পারা সম্ভব ?
একবার ভেবে দেখ, পাশের বস্তীর সেই গরীব মেয়েটি কিংবা হোটেলের সেই ডাকবালিকাটি আর তোমার সুন্দরী স্ত্রীটি উভয়ই কিন্তু রাতের বিশেষ এক মুহুর্তে, একই ধরনের সুখ দেয় । অথচ দিনের আলোতে ঐ ডাকবালিকাটি কত ঘৃনিত আর তোমার সন্দরী স্ত্রী কত সম্মানিত । পরের পৃথিবীতে চোরের মত বেচে থাকার চেয়ে নিজের স্বাধীন পৃথিবীতে সুখে, সাচ্ছন্দে বেচে থাকা কি আনন্দের নয় ?
আমরা কি পারিনা, আমাদের সঙ্গীনীকে যে যার অবস্থান থেকে সেই কিশোরের মত ভালবাসতে, যে তার শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু তার প্রেয়সীকে রক্ষা করবে ? সেই মধ্যবিত্তের মত ভালবাসতে যে সমস্ত সঞ্চয় বিকিয়ে দিয়ে, কিনে আনবে প্রেয়সীর জন্য এক গুচ্ছ গোলাপফুল । কেন পারিনা ? সে যদি নীল শাড়ী পরে পরন্ত বিকেলে তোমার ফিরে আসার প্রতিক্ষায় হাতে কফি নিয়ে দড়জার কাছে দাড়িয়ে থাকতে পারে, আমরা কেন পারিনা সন্ধার আগে একগুচ্ছ ফুল নিয়ে বাসায় ফিরতে । অফিস ছুটির পরে পুরানো বান্দবীদের নিয়ে মোড়ের বাসু কাকার দোকানের চা না খেয়ে, দক্ষিনের বেলকুনীতে বসে প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে চা খেতে খেতে সন্ধ্যে পার করা কি খুব বেশী কষ্টের ?
আপনার বিয়ের তারিখটি হয়ত এতদিনেও ভুলে যাননি । বুকে হাত দিয়ে আমরা বলতে পারব কি, আজ পর্যন্তি একদিনও আমাদের স্ত্রীর স্বপ্ন বা চাওয়া-পাওয়াগুলো জানার চেষ্টা করেছি ? কখনো কি বলেছি, তোমার মনের ইচ্ছাগুলো কি আমাকে বল, কিংবা তুমি আমাকে কেমন ভাবে পেতে চাও ? আপনার স্ত্রীরও ইচ্ছে থাকতে পারে “চাদনী রাতে গ্রামের নদীর পাড় ঘেষে আপনার হাত ধরে হাটার । “ ঢাকার বাইরে গাড়ীতে নয়, রিক্সায় বসে আপনার হাত ধরে অলস দুপুরে ঘুড়তে । “ “তারপর কিছু প্রিয় জিনিস তোমাকে সঙ্গে নিয়ে কিনতে ।” “ মুষল ধারে বৃষ্টি হলে তার প্রিয় বৃষ্টির গানগুলো শুনতে আর তোমাকে ভুনা খিচুড়ী রান্না করে খাওয়াতে ।” “তার অসুস্থ্যতায় তুমি ঘাবড়ে যাবে, মাথায় হাত রেখে বলবে সব ঠিক হয়ে যাবে ।” “তার প্রিয় শাড়ীগুলো তুমি পছন্দ করে দেবে, বলবে এ শাড়ীতে তোমাকে মানায়না, এটাতে বেশ লাগে ।” “পুর্নিমারাতে বাড়ান্দায় হাসনাহেনা গাছটার পাশে চাদের আলোতে দুজন এলোমেলো কথা বলতে।” “শীতের রাতে কম্পলের নীচে তোমাকে জড়িয়ে ধরে ‘বোঝেনা না সে বোঝেনা’ মেঘাসিরিয়াল টা দেখতে।” আর এধরনের ইচ্ছে থাকা কি খুব বেশী বিলাসিতা, এগুলো কি আমাদের পক্ষে পালন করা খুবই কষ্ট সাধ্য । আমার মনে হয়না । বরং এই ইচ্ছাগুলো পুরণের মাধ্যমে আমাদের ফিরে আসবে অনাবিল আনন্দ আর সুখের সমীরন । যা আমাদের বান্দবীর কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব নয় । অনেকেই বলবেন দূর এগুল ফালতু বিষয় । সারাদিন অফিসের কাজ, বসের ধমক, ব্যাংকের ঋন এগুলো নিয়েই পারিনা, বউ নিয়ে ভাববার সময় কোথায় ।
আপনি হয়ত জানেন না, প্রতিটি স্ত্রীরই স্বপ্ন থাকে, “তার স্বামী অন্য সব স্বামীদের মত হবেনা, শুধু যে গভীর রাতে শরীরের তাপ কমানোর জন্য আদর করবে, কাছে আসবে । সে চায় রাতের খাবার দুজনে একসাথে গল্প করতে করতে খাবে । তারপর বেলকুনীতে বসে দুজন গরম কফির সাথে, ঠোট দুটো একটু মিলিয়ে নিতে । হাজার রকম কথা আপনি বলবেন সে শুনবে, সে বলবে আপনি শুনবেন । তারপর একসময় বিছানায় যাবে ............। তার মন, প্রান, আত্না ভরে আদর করেবন। তার ইচ্ছাগুলোকে একে একে প্রকাশ করবে আপনার কাছে। আপনি তাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মাথা ও পিঠে হাত দিয়ে বলবেন সব ঠিক হয়ে যাবে, আমিতো আছি । “
প্রতিটি স্ত্রীরই স্বপ্ন থাকে, “বালু চড় । ঠান্ডার মাঝে ঝিড়ি ঝিড়ি বাতাস । বাতাসে তার চুল উরছে। উরে উরে আপনার মুখের উপর পড়ছে, আর আপনি তার চুলের গন্ধে বিভোর হয়ে থাকেন। নৌকায় করে ঘুড়ে বেড়ানো । তার হাতের উপর হাত রেখে আলত করে স্পর্শ করা, হাতে হাত রেখে বালিতে হাটা, চটপটি ও ফুসকা খাওয়া এবং সুর্যাস্তের সাথে ছবি তোলা, দুজন বৃষ্টিতে ভেজা, রাত জেগে জোৎস্না দেখা, আর গল্প করা । “ সব নারী এভাবেই স্বৃতিতে ঘেথে রাখতে চায় প্রতিদিনের শেষ বিকেলগুলো।
বোরিং লাগছে, নাকি উপরের স্বপ্নগুলোর সাথে আপনার স্ত্রীর স্বপ্ন মিলছেনা, ঠিক আছে পরের প্যারাগুলো পড়ুন, আর সেখান থেকে বেছে নিন কোনটি আপনার স্ত্রীর স্বপ্ন, আর সেটি মিটিয়ে ফেলুন, দেখবেন সংসারে আগের চেয়ে আপনার বোঝাপড়া আরো বেশী মধুর হবে । জীবনে আরো নতুনত্ব আসবে।
হতে পারে উপরের কোনটিই আপনার স্ত্রীর স্বপ্ন নয় । আপনার স্ত্রী স্বপ্ন “ সে যখন বাইরে যাবার জন্য শাড়ী পরবে, আপনি তার পায়ের কাছের শাড়ী ধরে ঠিক করে দেবেন । সে যখন একা একা সেপটিপিন লাগাতে ব্যর্থ হবে, আপনি লাগিয়ে দেবেন । সে ব্লাউজের বোতাম লাগাতে না পারলে, আপনি সাহায্য করবেন। আলত করে পিঠে হাত দিয়ে আপনার নরম হাতে বোতামগুলি লাগিয়ে দেবেন । কারণ এইসব কাজ মেয়েরা একা করতে পারেনা । তারপর তার পিঠে ও বুকে সুন্দর করে সেন্ট স্প্রে করে দেবেন । কারণ পুরুষদের এসব কাজে মেয়েরা খুশী হয় । বেড়ুবার সময় তাকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমো খাবেন। কারন সুন্দরী স্ত্রী সেজেগুজে বাইরে যাবার সময় বিদায় দেবার লগ্নে চুমো পেতে ইচ্ছে করে। “
আপনার হয়ত এক কোটি টাকার মার্সিডিজ গাড়ী নেই বা গুলশান বাড়ীধারায় ফুল এসি ডুপলেক্স বাড়িও নেই। নেই আশি হাজার টাকা দামের আইফোন বা আইপ্যাড । হয়ত আপনি ডাক দিলেই কেহ সাথে সাথে কফি নিয়ে আসেনা। হয়ত আপনি আপনার স্ত্রীকে রেডিসন বা অন্য কোন পাচতারা হোটেলে খাওয়াতে পারেননা । কিংবা আপনার ওরকম দামী ব্রান্ডের জামাকাপড়ও বা পারফউমও নেই । তাতে কি হয়েছে ? আপনার ভিতরে যে সুন্দর একটা মন আছে, সেটা বিশুদ্ধ করে আজই আপনার প্রিয়তমা স্ত্রীকে কাছে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে হাত বলুন, আমার এই মনটা ছাড়া আমি আর তোমাকে কিছুই দিতে পারবনা, আজ এটাই সম্পুর্ন রুপে তোমার কাছে নিয়ে এসেছি, তুমি অমুল্য সম্পদ হিসাবে গ্রহণ কর। .........এভাবে চেষ্টা করে দেখুননা ।
কি হয়েছে বেশী দেরী হয়ে গেছে, এখন পারবেননা, লজ্জা করবে ? না করবেনা । একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম, প্রথবার স্ত্রীর সাথে রাত কাটাতে লজ্জা করে, পরে তা হারিয়ে যায় । আজ থেকে শুরু করুন কি এমন বয়স হয়েছে আপনার ! প্রথম জীবনে ছেলেরা একটু আদটু এরকম বাইরে কাটায়, অগোছালো জীবন থাকে। আজ থেকে নিজেকে সংশোধন করে নিন । থাকব সত্য ও ন্যায়ের পথে । স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে চোখের উপরে কালো পর্দা দিয়ে দিন, যা কিছু খারাপ, অবৈধ, নিষিদ্ধ তা যেন চোখে না পড়ে । দেখবেন জীবনটা শীতের সকালের শিশিরের মত সজিব ও রোমাঞ্চিত হবে ।
আর যদি কোনটাই না পারেন, নিজেকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে । তবে মনে মনে ভাবুন, আপনার স্ত্রী, সন্তান বর্তমান থাকা সত্ত্বেও যে আপনাকে ভালবাসে কিংবা কিছু সময়ের জন্য আপনার কাছে আসে, সে হয়ত অন্য কারো কাছেও যায় ! কিংবা আপনি যার কাছে গিয়ে শরীরের খেলায় মেতে ওঠেন, তখন কি মনে পড়েনা, এই দেহ কত পুরুষ ভোগ করেছে, এখানে সেখানে কামড়ের দাগ আছে, কেউ ছোবল মেরেছে, কেউ দংশন । সেখানে আপনি আবার ...............। নিজেকে ঘৃনা করতে শুরু করুন এই কাজের জন্য । দেখবেন ফিরতে পারবেন । ফেরা যায় । ফেরা সম্ভব ।
মনে মনে ভাবতে শুরু করুন, আমাকে ফিরতেই হবে, নয়ত জাতি শিক্ষিত, বিবেকবান বাবা-মা কোথায় পাবে ?
0 comments:
Post a Comment