প্রিয় নীল,
আমার ভাবনার খেয়া তরীটা ভাসতে ভাসতে তোমার কাছেই যেতে চেয়েছিল তোমারই নোঙ্গরে ভিড়বে বলে। বাধবো ছোট্ট একটা নীড়, তাতে থাকবে সুখ আর ভালবাসা। আমার সেই স্বপ্নের ঘরে আমি না ফুটবে, আর একটা নীলপদ্ধ।
তোমার সঙ্গে কথা বলেছি অনেক। তবে হয়ত আর সেভাবে বলা হবেনা। তাই সেই কথাটি বলছি, তুমি আমাকে ভালই যখন বাসলে, আরো একটু বেশী ভালবাসতে পারলেনা কেন ? তাহলে যেমন তোমাকে জয় করতে পারতাম, তেমনি তুমিও জয় করতে পারতে আমাকে। তোমাকে হারিয়ে সত্যিই কষ্ট পেয়েছি। তবে আমাদের দুজনের অতীত দিনগুলো ভেবে সুখও কম পাইনা।
তারপরও গত কয়েকদিনে মন হাজার বার এই প্রশ্নই করেছে। কেন তুমি এমন করলে ? কি মিলল তোমার এসব করে ? সবকিছুর পরে আমার সবচেয়ে বড় কষ্টটা কি জানো ? তুমিও অন্য দশটা ছেলের মতই, আলাদা কিছু না। অথচ আমার দেখা অন্য সব ছেলের চেয়ে তুমিই আমার কাছে আলাদা ছিলে। খাটি ছিলে। সরাসরি কথা বলতে। তোমার অনেক কথায় কষ্ট পেয়েছি, তবুও আমার ভাল লাগত, এই ভেবে তুমি অন্যদের মত না। তাই তোমার কথা অকপটে বিশ্বাস করতাম। আর তুমি ? সব শেষ করে দিচ্ছো.........! আমার মনের ভেতর যে কি চলছে, অন্যকারো মত বোঝাতেও পারিনা। কাঁদতেও পারিনা। শুধু ভেতরটা আমার পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তুমি আমাকে চিনতে না, আমিও না। মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের প্রথম পরিচয়। কিন্তু আমি কখনোই তোমার সাথে মিথ্যাচার করিনি। আমি যেমন যা আমার ফ্যামিলি কন্ডিশন ঠিক সেভাবেই নিজেকে তুলে ধরেছি। কখনো বাড়িয়ে কিছু বলিনি। কখনো পারতপক্ষে তোমার সাথে রাত দেখাইনি। রাগ হলেও না। তারপরও কেন করলে এমন ?
তুমি জানো না। তুমি আমার শেষ করেছো কতটুকু ? তুমি সেটা জাননা। জানবেও না। কিন্তু তুমি এটাতো জানতে কেমন ফ্যামিলির মেয়ে আমি। আমার গভীর একাকীত্ব, কষ্ট, সবই তো তুমি জানতে। তাহলে আমাকেই কেন বেছে নিলে খেলার উপকরন হিসাবে ? তোমার তো অনলাইন-অফ লাইন বন্ধুর অভাব নেই। তবে আমার সঙ্গেই কি খেলাটা খেলা জরুরী ছিল ?
তুমিইতো বলতে আমি খুব সেন্টিমেন্টাল। তাই দিলে এ কষ্টটা । তুমি আমার কাছে অনেক ছোট হয়ে গেলে। অনেক ছোট যেটা আমি কখনো চাইনি। তোমার মনে আছে তোমাকে একবার বলেছিলাম, আমি একটু সেকেলে টাইপ। তুমি বলেছিলে কেন তা হতে যাবে ? হ্যা আমি তাই। চার বছর ধরে একজনের সাথে দেখা করব যে বয়সে আমার বড়, যার কোন সম্পর্ক নেই, আমারও না, যাকে সব সময় ফোন করবো, এসএমএস করবো, ডেট ফিক্সড দেখা করবো। তারপর বলব জাস্ট ফ্রেন্ডশিপ, তোমার এই তথাকথিত স্মার্টনেস এখনো আমি আয়ত্ব করতে পারিনি।
তোমার কাছে শতভাগ সৎ থাকতে চেয়েছি। আমি কাউকে কখনো ভালবাসিনি ভয়ে। সেকথা তোমাকে বলেছি, তুমি বললে, সবাই আর তুমি কি এক ? তুমি সন্ধ্যায় বাইরে থাকা পছন্ধ করো বলে তাও শুরু করেছে। বোরখা পড়তে না করেছো তাও শুরু করেছেলাম। এসবের বিনিময়ে তুমি কি দিলে ?
ডায়রির প্রথম থেকে পড়লে বুঝি কিভাবে আস্তে আস্তে আমার ভুবন তুমিময় হয়ে গেছে। রাতে আমার প্রায়ই ঘুম ভঙ্গত। আমি ভাবতাম তোমার কথা। কি পরম নির্ভয়ে অনির্ভর সম্পর্ক গড়েছিলাম। কেমন শুন্য অনুভুতি আমার। এ শুন্যতার ভারেই মনে হচ্ছে মরে যাবো।
তোমার মন হয়ত ঠিক বুঝি নাই, তাই এত সাহস করিয়াছি। তাই যখন চুপ করিয়াছিলে তখনও মনের কথা বলিয়া ফেলিয়াছি। যখন ত্যাগ করিয়া গেলে, তখন নিজে অগ্রসর হইয়া তোমাকে সব জানাইয়াছি। কিন্তু তোমাকে যদি ভুল করিয়া থাকি, সেকি আমারই দোষ। একবার শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সব কথা মনে করিয়া দেখ, যাহা বুঝিয়াছিলাম, সেকি তুমিই বোঝাও নাই ।
কেন করলে এমন ? এখনকার শতকরা নিরানব্বই ভাগ ছেলেই ধোকাবাজ। বাকি এক ভাগের খোজ সবসময় করেছি। আমার নিজিস্ব কিছু নীতি আছে। বাঝে কিছু করিনা। বাজে কিছু দেখিনা। ইউনির্ভাসিটিতে ছেলেমেয়েরা কত আজেবাজে ফাজলামী করে। নিজেকে সযতনে এসব থেকে বাচিয়ে রেখেছি। আমার এসব নীতিবোধের বিনিময়ে একটা ভালো ছেলে কি আশা করতে পারিনা যাকে স্বাচ্ছন্দে বিশ্বাস করা যায়, ফ্যামিলির সঙ্গে পরিচয় করানো যায় । আমি তোমাকে সেই এক ভাগের মধ্যে ভেবে ছিলাম।
আমার হাজার কষ্ট হলেও তোমকে সাপোর্ট দিতে চেষ্টা করেছি। তোমার মন খারাপ থাকলে নিজের মনের কথা কখনো বলিনি। কারণ আমার মনে হয় না আমি অকৃতঞ্জ। আমার হাসপাতালের কঠিন দিনগুলোতে তুমি আমার সঙ্গে ছিলে। বিষন্নতা থেকে টেনে তুলেছ। এ আমি কিভাবে ভুলি। কিন্তু আমি খুব বেশী মহতৎ না। তাই তোমাকে মাফও করতে পারবনা। জীবনে যত সম্মানই তুমি পাও, মনে রেখ একজন সারাজীবন তোমাকে অবজ্ঞা চোখে দেখবে।
আমার সব ভাললাগা, ভালবাসা, স্বপ্ন শেষ করে আমার জীবনটা তুমি করে দিলে অন্ধকারময়। তারপরও চার বছরে তুমি আমার মাঝে যে আলো ছড়িয়েছো তা আমার মনের আলো হয়েই থাকবে সব সময়। এরপরও তুমি সুখে থেকো সব সময় আমি যেমন চাই।
নীলা।
আমার ভাবনার খেয়া তরীটা ভাসতে ভাসতে তোমার কাছেই যেতে চেয়েছিল তোমারই নোঙ্গরে ভিড়বে বলে। বাধবো ছোট্ট একটা নীড়, তাতে থাকবে সুখ আর ভালবাসা। আমার সেই স্বপ্নের ঘরে আমি না ফুটবে, আর একটা নীলপদ্ধ।
তোমার সঙ্গে কথা বলেছি অনেক। তবে হয়ত আর সেভাবে বলা হবেনা। তাই সেই কথাটি বলছি, তুমি আমাকে ভালই যখন বাসলে, আরো একটু বেশী ভালবাসতে পারলেনা কেন ? তাহলে যেমন তোমাকে জয় করতে পারতাম, তেমনি তুমিও জয় করতে পারতে আমাকে। তোমাকে হারিয়ে সত্যিই কষ্ট পেয়েছি। তবে আমাদের দুজনের অতীত দিনগুলো ভেবে সুখও কম পাইনা।
তারপরও গত কয়েকদিনে মন হাজার বার এই প্রশ্নই করেছে। কেন তুমি এমন করলে ? কি মিলল তোমার এসব করে ? সবকিছুর পরে আমার সবচেয়ে বড় কষ্টটা কি জানো ? তুমিও অন্য দশটা ছেলের মতই, আলাদা কিছু না। অথচ আমার দেখা অন্য সব ছেলের চেয়ে তুমিই আমার কাছে আলাদা ছিলে। খাটি ছিলে। সরাসরি কথা বলতে। তোমার অনেক কথায় কষ্ট পেয়েছি, তবুও আমার ভাল লাগত, এই ভেবে তুমি অন্যদের মত না। তাই তোমার কথা অকপটে বিশ্বাস করতাম। আর তুমি ? সব শেষ করে দিচ্ছো.........! আমার মনের ভেতর যে কি চলছে, অন্যকারো মত বোঝাতেও পারিনা। কাঁদতেও পারিনা। শুধু ভেতরটা আমার পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তুমি আমাকে চিনতে না, আমিও না। মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের প্রথম পরিচয়। কিন্তু আমি কখনোই তোমার সাথে মিথ্যাচার করিনি। আমি যেমন যা আমার ফ্যামিলি কন্ডিশন ঠিক সেভাবেই নিজেকে তুলে ধরেছি। কখনো বাড়িয়ে কিছু বলিনি। কখনো পারতপক্ষে তোমার সাথে রাত দেখাইনি। রাগ হলেও না। তারপরও কেন করলে এমন ?
তুমি জানো না। তুমি আমার শেষ করেছো কতটুকু ? তুমি সেটা জাননা। জানবেও না। কিন্তু তুমি এটাতো জানতে কেমন ফ্যামিলির মেয়ে আমি। আমার গভীর একাকীত্ব, কষ্ট, সবই তো তুমি জানতে। তাহলে আমাকেই কেন বেছে নিলে খেলার উপকরন হিসাবে ? তোমার তো অনলাইন-অফ লাইন বন্ধুর অভাব নেই। তবে আমার সঙ্গেই কি খেলাটা খেলা জরুরী ছিল ?
তুমিইতো বলতে আমি খুব সেন্টিমেন্টাল। তাই দিলে এ কষ্টটা । তুমি আমার কাছে অনেক ছোট হয়ে গেলে। অনেক ছোট যেটা আমি কখনো চাইনি। তোমার মনে আছে তোমাকে একবার বলেছিলাম, আমি একটু সেকেলে টাইপ। তুমি বলেছিলে কেন তা হতে যাবে ? হ্যা আমি তাই। চার বছর ধরে একজনের সাথে দেখা করব যে বয়সে আমার বড়, যার কোন সম্পর্ক নেই, আমারও না, যাকে সব সময় ফোন করবো, এসএমএস করবো, ডেট ফিক্সড দেখা করবো। তারপর বলব জাস্ট ফ্রেন্ডশিপ, তোমার এই তথাকথিত স্মার্টনেস এখনো আমি আয়ত্ব করতে পারিনি।
তোমার কাছে শতভাগ সৎ থাকতে চেয়েছি। আমি কাউকে কখনো ভালবাসিনি ভয়ে। সেকথা তোমাকে বলেছি, তুমি বললে, সবাই আর তুমি কি এক ? তুমি সন্ধ্যায় বাইরে থাকা পছন্ধ করো বলে তাও শুরু করেছে। বোরখা পড়তে না করেছো তাও শুরু করেছেলাম। এসবের বিনিময়ে তুমি কি দিলে ?
ডায়রির প্রথম থেকে পড়লে বুঝি কিভাবে আস্তে আস্তে আমার ভুবন তুমিময় হয়ে গেছে। রাতে আমার প্রায়ই ঘুম ভঙ্গত। আমি ভাবতাম তোমার কথা। কি পরম নির্ভয়ে অনির্ভর সম্পর্ক গড়েছিলাম। কেমন শুন্য অনুভুতি আমার। এ শুন্যতার ভারেই মনে হচ্ছে মরে যাবো।
তোমার মন হয়ত ঠিক বুঝি নাই, তাই এত সাহস করিয়াছি। তাই যখন চুপ করিয়াছিলে তখনও মনের কথা বলিয়া ফেলিয়াছি। যখন ত্যাগ করিয়া গেলে, তখন নিজে অগ্রসর হইয়া তোমাকে সব জানাইয়াছি। কিন্তু তোমাকে যদি ভুল করিয়া থাকি, সেকি আমারই দোষ। একবার শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সব কথা মনে করিয়া দেখ, যাহা বুঝিয়াছিলাম, সেকি তুমিই বোঝাও নাই ।
কেন করলে এমন ? এখনকার শতকরা নিরানব্বই ভাগ ছেলেই ধোকাবাজ। বাকি এক ভাগের খোজ সবসময় করেছি। আমার নিজিস্ব কিছু নীতি আছে। বাঝে কিছু করিনা। বাজে কিছু দেখিনা। ইউনির্ভাসিটিতে ছেলেমেয়েরা কত আজেবাজে ফাজলামী করে। নিজেকে সযতনে এসব থেকে বাচিয়ে রেখেছি। আমার এসব নীতিবোধের বিনিময়ে একটা ভালো ছেলে কি আশা করতে পারিনা যাকে স্বাচ্ছন্দে বিশ্বাস করা যায়, ফ্যামিলির সঙ্গে পরিচয় করানো যায় । আমি তোমাকে সেই এক ভাগের মধ্যে ভেবে ছিলাম।
আমার হাজার কষ্ট হলেও তোমকে সাপোর্ট দিতে চেষ্টা করেছি। তোমার মন খারাপ থাকলে নিজের মনের কথা কখনো বলিনি। কারণ আমার মনে হয় না আমি অকৃতঞ্জ। আমার হাসপাতালের কঠিন দিনগুলোতে তুমি আমার সঙ্গে ছিলে। বিষন্নতা থেকে টেনে তুলেছ। এ আমি কিভাবে ভুলি। কিন্তু আমি খুব বেশী মহতৎ না। তাই তোমাকে মাফও করতে পারবনা। জীবনে যত সম্মানই তুমি পাও, মনে রেখ একজন সারাজীবন তোমাকে অবজ্ঞা চোখে দেখবে।
আমার সব ভাললাগা, ভালবাসা, স্বপ্ন শেষ করে আমার জীবনটা তুমি করে দিলে অন্ধকারময়। তারপরও চার বছরে তুমি আমার মাঝে যে আলো ছড়িয়েছো তা আমার মনের আলো হয়েই থাকবে সব সময়। এরপরও তুমি সুখে থেকো সব সময় আমি যেমন চাই।
নীলা।
0 comments:
Post a Comment