দীর্ঘ সময়ের ক্লান্তি কাটাতে


সময়ের সাথে সাথে কাজের ধরণ বদলেছে। পেশাদারিত্বের চাপে দিনের অনেকটা সময় কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয়। দীর্ঘ সময় কাজের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়াটাও অবাস্তব কিছু নয়। দ্রুত ও নির্ভুল কাজের জন্য ক্লান্তি বেশ বড় বাধা। কাজে মন দিতে অবসন্নতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়:


অফিসে ঢুকে সারাদিনে কি করবেন তা ঠিক করে নিবেন। তারপর ঠিক করুন কাজগুলো কখন করবেন, মানে দিনের প্রথমে নাকি শেষে। এতে করে এই দু’ভাগের মধ্যে সময় বের করতে সুবিধে হবে।


সময় বের করে নিতে পারলে নিজেকে চাঙা করে নিন। এক নাগাড়ে কাজ না করে একটু-আধটু চলাফেরা করুন। ভাল লাগবে। অফিসের চেয়ারে বসে আঙুল, হাতের টুকটাক এক্সারসাইজ। আলসেমি কাটাতে স্ট্রেচিং করেই দেখুন, ক্লান্তি আর কাবু করতে পারবে না।


মাঝেমধ্যে এক কাপ চা-কফিও চলতে পারে। তবে চায়ের সাথে হালকা কিছু খান।


ভারী খাবার খেলে ঘুম আসতে পারে। তাই ভাত, নুডুলস, বিরিয়ানির মতো ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।


একা ও এক নাগাড়ে কাজ আমাদের একঘেয়ে করে তোলে। একঘেয়ে নিয়ে আসে অবসন্নতা। তাই সহকর্মীদের সাথে টুকটাক আলাপ করতেই পারেন। আলোচনার মধ্যে নিজেদের কাজ, সাম্প্রতিক সিনেমা, বই সবকিছুই থাকতে পারে।


কিছু পছন্দের ম্যাগাজিন, বই রাখতে পারেন ড্রয়ারে। খুব খারাপ লাগলে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। হারিয়ে যাওয়া মনযোগটা ঠিকঠিক ফেরত পাবেন।


আজকাল মাল্টিমিডিয়া সেট অথবা ট্যাব, আইপ্যাড যখন নিত্যসঙ্গী। তখন পছন্দনীয় কিছু গান ভরে নিলে মন্দ হয় না। কাজে ঝিম ধরলে গান শুনতে পারেন।


এছাড়াও ক্লান্তি কাটাতে নেট ঘাটতে পারেন। সামাজিক সাইটগুলোতে বন্ধুদের সাথেও সেরে নিতে পারেন আলাপ। এতে করে পুরোনো মুডটা ফিরে আসবে।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!