প্রতিটি মানুষের জীবনেই একজন
ভালোবাসার মানুষ থাকে। আর সেই ভালোবাসার মানুষটির সাথে একান্ত সময় কাটাতে
যে কেউ ভালোবাসে। সারাদিন নানান ব্যস্ততা শেষে দুজন মিলে কিছু বিশেষ সময়
কাটাতে চান সবাই। প্রিয় মানুষের সাথে অন্তরঙ্গ মূহূর্তে একটু অসাবধানতার
কারণেই অনেক বড় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে সম্পর্কের
মধুরতা। কিছু বিশেষ কথা আছে যেগুলো দুজনের একান্ত মূহূর্তে ভুলেও আলোচনা
করা উচিত নয়। এসব কথা একবার বলে ফেললে সারা জীবনের জন্য নিজেদের দাম্পত্য
জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝির সৃষ্টি হয়।
আসুন জেনে নেয়া যাক একান্ত মূহূর্তে সঙ্গীকে কোন ৫টি কথা বলা উচিত নয়।
মা/বাবার কথা
স্বামী স্ত্রীর একান্ত মূহূর্তে বাবা-মায়ের কথা আলোচনা করা একেবারেই ঠিক
নয়। দুজনের একান্ত মূহূর্তে বাবা-মায়ের কথা আলোচনা করলে কিংবা তাদের কথা
মনে করলে দুজনের মধ্যে রোমান্টিক পরিবেশটা নষ্ট হয়, এমনকি মনোমালিন্য হতে
পারে। অনেক সময় সঙ্গীর বাবা-মায়ের উপর এক ধরণের বিরক্তি ও অশ্রদ্ধাও জাগে
মনের মাঝে। তাই দুজনের একান্ত মূহূর্তে কোনোক্রমেই বাবা মায়ের প্রসঙ্গ টেনে
আনা উচিত নয়।
অফিস কিংবা অন্য অপ্রাসঙ্গিক কথা
অনেকেই নিজেদের একান্ত মূহূর্তে অফিসের বিভিন্ন সমস্যা কিংবা অন্য কোনো
অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন। অফিসে ঝামেলা হয়েছে, কালকের বাজার নেই, চুলায় ভাত
বসানো আছে ইত্যাদি কথা গুলো একান্ত মূহূর্তে বলার মতো কোনো কথা না। এসব কথা
বলার জন্য আরো অনেক সময় পাওয়া যাবে সারাদিন। একান্ত মূহূর্তে এ ধরণের কথা
বললে সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অনেকে। ফলে শারীরিক ও মানসিক দূরত্ব
সৃষ্টি হয় ধীরে ধীরে।
ফোনটা ধরি!
দুজনের অন্তরঙ্গ মূহূর্তে একে অপরের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত। তাই এ সময়ে
নিজেদেরকে কম্পিউটার, ফোন, ফেসবুক ইত্যাদি থেকে দূরে রাখা উচিত। দুজনের
একান্ত সময়ে যদি ফোন আসে তাহলে সেটা খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়
সঙ্গীর জন্য। এক্ষেত্রে কোনো ক্রমেই ফোন রিসিভ করা উচিত নয়। এছাড়াও নিজেদের
একান্ত মূহূর্ত গুলোতে ফোন বন্ধ রাখুন অথবা রিং টোন বন্ধ রাখুন।
বিপরীত লিঙ্গের অন্য কারো কথা
স্বামী স্ত্রীর একান্ত মূহূর্তে কোনো ক্রমেই বিপরীত লিঙ্গের কারো কথা
বলা উচিত নয়। বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু, প্রাক্তন প্রেমিক কিংবা সহকর্মী কারো
কথাই নিজেদের অন্তরঙ্গ মূহূর্তে আলোচনা করা উচিত না। এ ধরণের কথা একবার বলে
ফেললে দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে সন্দেহ করার
প্রবণতা দেখা দেয়।
শরীরে/মুখে দূর্গন্ধ
নিজেদের একান্ত মূহূর্তে কখোনোই সঙ্গীর কোনো খুঁত ধরা উচিত নয়। সঙ্গীর
শরীরে কিংবা মুখে গন্ধ থাকলে সেটা তাকে পরে বুঝিয়ে বলুন। কিন্তু একান্ত
মূহূর্তে ভুলেও ধরণের কোনো কথা বলা উচিত নয়। কারণ এতে সঙ্গীর আত্মবিশ্বাস
হারিয়ে যায় এবং পরবর্তিতে দুজনের মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব বেড়ে যায়।
" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!
0 comments:
Post a Comment