অনেক কবি-সাহিত্যিক বলে গেছেন এবং বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাসও করেন, মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন। এই বোঝাপড়ার সমস্যার কারণে সম্পর্কে নেমে আসে নানা সমস্যা। অনেক সময় ছিন্ন হয় সম্পর্ক। তবে কী এভাবেই চলবে আজীবন? শুধুমাত্র পাঁচটি কাজ করলেই একজন পুরুষ তার সঙ্গীনির মন জয় করতে পারবেন খুব সহজে, সম্পর্কে এনে দিতে পারে অনাবিল সুখ।
সৎ এবং বিশ্বাসী:
নারীর মন জয় করার ক্ষেত্রে সততার কোনো বিকল্প নেই। যদি সঙ্গীনি আপনার মিথ্যাকে ধরে ফেলেন, তাহলে তিনি আর সহজে আপনাকে ক্ষমা করতে পারবেন না। এমনটি মনে যে দাগ পড়বে, সে দাগও রয়ে যাবে অনেকদিন। অতএব যাই ঘটুক, সঙ্গীনির কাছে কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। তাহলে বিশ্বাসটাও রয়ে যাবে অটুট। আর যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস অত্যন্ত জরুরি একটা বিষয়।
তার কথা শুনুন:
আপনি যদি সত্যিই একটি নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক কামনা করে থাকেন তাহলে আপনাকে একজন ভালো শ্রোতা হতে হবে। সঙ্গীনির কথা শুনুন, তার সমস্যাকে জানুন। সে আপনার কাছে উত্তর আশা করে না, সে চায় কেউ একজন তাকে শুনুক। তার কথার বিচার করে কোনো প্রতিউত্তর পাওয়ার আশায় সে থাকে না। সে শুধু চায়, কেউ একজন থাকুক, যে তার সব কথা শুনবে বিরক্তিহীনভাবে।
বড় হতে হবে:
এই বড় হওয়া সেই বড় হওয়া নয়। মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই মানসিকভাবে ছেলেদের চেয়ে পরিণত হয়ে থাকেন। দ্রুত সঙ্গীনির মানসিকতা বুঝে নিয়ে তার সমপর্যায়ের মানসিকতাসম্পন্ন হওয়ার চেষ্টা করুন। মনের মিল যখন হবে, কে বলে সেই সম্পর্কে উষ্ণতা থাকবে না?
সঙ্গ দিন:
অনেকেই জীবনের উদ্দেশ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ভুলে যান সঙ্গীনির কথা। কিন্তু সঙ্গীনি জীবনের অর্ধেক একটি অধ্যায়। কাজেই তাকে ভুলে হয়তো উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবেন কিন্তু কখনোই আপনি সুখী হতে পারবেন না। কাজেই সঙ্গ দিন তাকে। নিজ ব্যস্ততার মাঝ থেকে কিছুটা হলেও সময় বের করুন।
তর্ক করবেন না:
আমাদের মানসিক অবস্থা সবসময়ই একরকম থাকে না। কখনো কখনো আমরা নীরবতাকে ভালোবাসি। এমন সময় যত প্রিয় মানুষই হোক না কেন, কথা বললেই মেজাজ চড়ে যেতে পারে। আবার কখনো কখনো একমত না হতে পারলেও আমাদের রাগ হতে পারে। এমন মুহূর্তে তর্ক না করে বা রাগ না দেখিয়ে শান্তভাবে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করুন। প্রয়োজনে সঙ্গীনির যুক্তি আগে শুনুন। এমনো হতে পারে, আপনি ভুল আর সে সঠিক। কাজেই তারটা শুনুন, নিজেরটা ব্যাখ্যা করুন। পারস্পরিক আলোচনা অনেক অপ্রীতিকর থেকেই আপনাকে বাঁচাতে পারে।
0 comments:
Post a Comment