প্রায় প্রতিদিনই একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন। ঠিক। কিন্তু উঠেই শুরু করে দেন ছোটা… সময়ে পাশ কাটিয়ে আও খানিকটা এগিয়ে যাওয়া নিরন্তর প্রচেষ্টা। যাতে বাড়ি এবং অফিসের কাজগুলো সময় মতো করে ফেলতে পারেন। কিন্তু দিন যত এগোতে থাকে আপনার শরীর অসহযোগিতা করতে শুরু করে! ক্লান্ত লাগে, ফলে কথায় কথায় বিরক্ত হয়ে যান। যে কাজটা শেষ করবেন বলে ভেবেছিলেন সেটাও হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই সব কিছুই হতে পারে। যদি সকালের শুরুটা ঠিক হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল
প্রায় সাত-আট ঘন্টা জল না খেয়ে থাকার ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল খান। সব থেকে ভালো হয় এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চা-চামচ মধু আর একটা লেবুর রস মিশিয়ে খান। টক্সিন ফ্লাশ আউট হওয়ার পাশাপাশি শরীরও ঝরঝরে থাকে।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠুন
রোজ অ্যালার্ম সেট করে ঘুমোতে যান। কিন্তু অ্যালার্ম বাজলেই তা বন্ধ করে আরও খানিকটা গড়িয়ে নেন। আর এখানেই হয়ে যায় সমস্যা। মাইন্ড সেটটা পাল্টান। অ্যালার্ম তখনই দিন যখন একবারে উঠতে পারবেন। এতে সারাদিন অনেক বেশি ফ্রেশ লাগবে।
কালার থেরাপি
উজ্জ্বল রঙ আপনাকে চনমনে রাখে। তাই ঘরের আপহোলস্ট্রিতে উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া রাখুন যাতে ঘুম থেকে উঠেই চোখ পড়ে মন ভালো করা সেই সব রং।
রোদ পোহানো
রোদ আমাদের শরীরের বায়োলজিকাল ক্লককে সজাগ করে তোলে। এ ছাড়াও শরীর চনমনে রাখার জন্যেও সূর্যের আলোর কোনও জুড়ি নেই। তাই সকালের চা-টা বারান্দা বসে, নিদেন পক্ষে জানলার পাশে বসে খান। দেখবেন বেশ ফুরফুরে লাগবে।
এক্সারসাইজ শরীর, মন এবং দিন চনমনে ও তরতাজা রাখতে হলে ঘুম থেকে উঠে অন্তত ১৫ মিনিট ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ ইজ আ মাস্ট। যোগা করতে পারলে অথবা জিমে ওয়র্কআউট করতে পারলে আরও ভালো হয়। আর কিছুই করতে ভালো না লাগলে ঘরের মধ্যেই খানিকটা হেঁটে নিন। শরীর তরতাজা থাকলে তবেই সারা দিন অন্যান্য কাজ করার এনার্জি পাবেন।
0 comments:
Post a Comment