প্রতিটা মানুষের জীবনে চল্লিশ একটা অতি
গুরুত্বপূর্ন সংখ্যা । আমরা সবাই জানি শিক্ষার কোন বয়স নেই, কিন্তু জীবনে
উন্নতি করতে হলে, নিজেকে মূল্যবান হিসাবে তৈরি করতে হলে, তোমাকে চল্লিশের
আগেই করতে হবে ।
বিশ্বাস হচ্ছেনা, এতক্ষনে তোমার মনে হাজার
প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে । একটা কথা চিন্তা করে দেখো, পৃথিবীর কত শতাংশ মানুষ
চল্লিশের কম বয়সে সফলতা পেয়েছেন, আর কত শতাংশ চল্লিশের বেশী বয়সে । টমাস
আলভা এডিসনের নামতো শুনেছো, মাত্র বাইশ বছর বয়সে প্রথম আবিষ্কার করলেন
ভোল্ট গননা করার যন্ত্র । ভাবা যায়, যে ছেলে তের বছর বয়সে খবরের কাগজ বিক্রি করতো, আর উনত্রিশ বছর বয়সে কোম্পানী ও গবেষণাগারের মালিক ।
যার মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল মানুষের ইতিহাসে এডিসনের মাথার দাম সবচেয়ে বেশি। কারণ এমন সৃজনীশক্তি অন্য কোনো মানুষের মধ্যে দেখা যায় নি। তাই তার শেষ নিঃশ্বাসটুকু একটি টেস্টটিউবে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে হেনরি ফোর্ড জাদুঘরে।
ভাবুন একবার, মাত্র ২৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের পাশে জায়গা করে নিল, স্যার আইজাক নিউটন। মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় মহান বিজ্ঞানী স্যার আলবার্ট আইনস্টাইন, চারটি বিখ্যাত রচনা-প্রথমটি আলোর গঠন ও শক্তি সম্পর্কে।
তাই অপেক্ষা করার মতো আপনার হাতে আর বেশী সময় নেই । এটা ভাববেন না যে, মানুষের এক জীবন অভাবে কাটলে, অন্যজীবন ধনী হতে পারবেন, সেই আশায় বসে থাকলে ভুল করবেন । কারণ চেষ্টা আর লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী পরিশ্রম করার সাহস না থাকলে রুটির দোকানে কাজ করে কেউ জাতীয় কবি হতে পারেনা, অনেকেতো সারাজীবন রুটি বানিয়েই কাটিয়ে দেয় । আপনাকে নিজেকে নিয়ে একটা লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করতে হবে, তারপর কঠোর পরিশ্রম ও ঝুঁকি নিয়ে, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে, সফলতা আসবেই ।
আজই শুরু করে দাও, এখনই । মাইকেল ব্লুমবার্গের এই কথাটা পড়োনি, “সাফল্যের সূত্র হলো কখনোই শেখা বন্ধ না করা। সব সময়েই নিত্যনতুন বিষয় শিখতে হবে এবং শেখার এ আগ্রহ কখনোই বাদ দেওয়া যাবে না ।” কারণ শিক্ষাই পারে, আমাদের ভেতরের শক্তিটাকে আরো মজবুত করে গড়ে তোলতে, যা বাস্তবতার মুখোমুখি দাড়াতে তোমাকে সাহায্য করবে । আর একবার যদি সাহস করে সমস্যার মুখোমুখি দাড়াতে পারো, তুমি সফল হবেই । কার্লোস স্লিম হেলু বলেছেন, “‘আমরা যখন সমস্যার মুখোমুখি হই, তারা চলে যায়। এ কারণে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন এবং সাফল্যকে গোপনে ডেকে আনুন।”
0 comments:
Post a Comment