আমার   খেলা যখন ছিল তোমার সনে
         তখন   কে তুমি তা কে জানত।
তখন   ছিল না ভয়, ছিল না লাজ মনে,
         জীবন   বহে যেত অশান্ত।
         তুমি   ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত
               যেন আমার আপন সখার মতো,
         হেসে   তোমার সাথে ফিরেছিলাম ছুটে
               সেদিন  কত-না বন-বনান্ত।
ওগো,   সেদিন তুমি গাইতে যে সব গান
         কোনো   অর্থ তাহার কে জানত।
শুধু   সঙ্গে তারি গাইত আমার প্রাণ,
         সদা   নাচত হৃদয় অশান্ত।
         হঠাৎ খেলার শেষে আজ কী দেখি ছবি -
               স্তব্ধ আকাশ, নীরব শশী রবি,
         তোমার   চরণপানে নয়ন করি নত
               ভুবন   দাঁড়িয়ে গেছে একান্ত।


১৭ জৈষ্ঠ ১৩১৭
কাব্যগ্রন্থঃ গীতাঞ্জলি
রচনা সংখ্যাঃ ৬৮