সুন্দর দম্পতিদের মেয়ে হয় বেশি



প্রথম বাচ্চাটি কী চান, ছেলে নাকি মেয়ে? কেউবা ছেলে আবার কেউবা মেয়ে চান৷ তবে সুন্দর দম্পতিদের জন্য মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনাই নাকি বেশি৷ সম্প্রতি এক ব্রিটিশ গবেষক এমন তথ্য জানিয়েছেন৷


গত বছরের মিসেস জার্মানি ক্যাথরিন ডুরাকোভিচ ও তার মেয়ে শিওনা


লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এর মনোবিজ্ঞানী ড. শাতোশি কানাজাওয়া দীর্ঘদিন গবেষণার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে যেসব দম্পতি দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় তাদের সন্তান ছেলের চেয়ে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি৷ তিনি তাঁর এই গবেষণার জন্য ১৭ হাজার ব্রিটিশ শিশুর ওপর নজর রেখেছেন যাদের কারো কারো জন্ম ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত৷ এসব শিশুর সৌন্দর্য ও আকর্ষণের ওপর তিনি তাদের বাছাই করেছেন৷ এসব শিশুরা যখন পূর্ণবয়স্ক হয়েছে তখন দেখা গেছে যারা বেশি আকর্ষণীয় তাদের বেশিরভাগ সন্তানই মেয়ে৷ এই থেকে ড. শাতোশি কানাজাওয়া মনে করছেন যে সুন্দর দম্পতিদের মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷

এর বাইরে আরও একটি বিষয় তিনি লক্ষ্য করেছেন৷ তা হলো, যেসব নারী দেখতে সুন্দর তাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকে থাকে৷ কারণ পুরুষরা সুন্দর নারীদের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী৷ অন্যদিকে আকর্ষণীয় পুরুষদের সঙ্গে নারীরা স্থায়ীর বদলে অস্থায়ী এবং স্বল্প মেয়াদে সম্পর্ক গড়ে তুলতেই বেশি আগ্রহী৷ সেই হিসেবে বলতে হয় তুলনামুলক কম সুন্দর পুরুষরাই ভাগ্যবান৷ তবে কেবল পুরুষের চেহারা নয়, যোগ্যতা এবং সামাজিক অবস্থান অবশ্যই একটা বড় ভূমিকা রাখে দাম্পত্য সম্পর্কের বেলায়৷


এদিকে, সুন্দর নারীরা দাম্পত্য সম্পর্কের বেলায় সুবিধা পায়, এবং এই সৌন্দর্য প্রভাব ফেলে তাদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর৷ যার ফলে দেখা যায় তারা মেয়ে সন্তান জন্ম দেয় বেশি, এমনটিই মতামত মনোবিজ্ঞানী ড. শাতোশি কানাজাওয়া৷


তবে তাঁর এই মতকে এখনই স্বতসিদ্ধ হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি নন অন্যান্য বিজ্ঞানীরা৷ কারণ দেখা যায় অনেক সুন্দর দম্পতির শুধুই ছেলে সন্তান৷ উদাহরণ হিসেবে ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহামের কথা বলতে হয়৷ তবে এই নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে সেটা বলা যায়৷

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!