স্বামীকে খুশি করতে স্ত্রী যা যা করতে পারেন...


সংসার করতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার পাশাপাশি শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা থাকাটা অপরিহার্য। দাম্পত্য জীবনে সুখ-দুঃখ সমানভাবে ভাগ করে নেয়ার মধ্যেই প্রকৃত আনন্দ নিহিত।

স্ত্রী কিভাবে স্বামীর সুসময়-দুঃসময়ে পাশে থাকতে পারেন ও তার কি করণীয় সে সম্পর্কে এখানে ৫টি টিপস দেয়া হলো:

১) মন ভালো করতে চকলেট বার: 

পুরুষরা নিজেদের আবেগকে লুকানোর ক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী। আপনার স্বামী যদি কোন কারণে খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হন বা হালকা কান্নাকাটি করেন, আপনি হয়তো তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারবেন না। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। এ সময়টা স্বামীকে সঙ্গ দিন, তার পাশে থাকুন। যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকে, তবে একটি চকলেট বার আপনার স্বামীর খারাপ মুডটাকে ভালো করে দিতে পারে। চকলেট যে মুড ভালো রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে, তাতো এরই মধ্যে গবেষকরা প্রমাণ করেছেন। ভালো ব্র্যান্ডের চকলেট মাঝে-মধ্যে একটু-আধটু খাওয়া যেতে পারে।

২) পুরুষরাও একটু অন্তরঙ্গতা চায়: 

পুরুষরাও চান তার স্ত্রী তাকে কিছুটা একান্ত সময় উপহার দেবেন। সেটা হতে পারে হাত ধরে পাশাপাশি কিছুক্ষণ বসে মনের কথাগুলো শেয়ার করা বা আরও বেশি অন্তরঙ্গতা।

৩) আবদারের মাত্রায় রাশ টানুন: 

স্বামীর কাছ থেকে যতোটুকু আশা করতে পারেন, তার বেশি না করাটাই সমীচীন। বহু আবদার থাকতেই পারে। তাই বলে সবসময় তাকে আপনার মনের কথাটা বুঝতে হবে, আপনাকে খুশি করার জন্য নতুন নতুন সারপ্রাইজ দিতে হবে এ ধরনের আবদার মাত্রাতিরিক্ততার পর্যায়ে পড়ে। স্বামীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার আবেগ, অনুভূতি বা মেজাজে পরিবর্তন এলেই স্বামী তা ধরতে পারবেন, এমনটা মনে করা উচিত নয়। তাই সহধর্মীনির পাশাপাশি উত্তম সহযোগী হয়ে ওঠাটাও বাঞ্ছণীয়।

৪) পুরুষরাও রোমান্স ভালোবাসেন: 

স্বামীরা হয়তো অনেক সময় বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু, তারাও আসলে রোমান্স পছন্দ করেন। সমুদ্র সৈকতে একসঙ্গে হাত ধরে হাঁটা, রেস্টুরেন্টে ক্যান্ডেল-লাইট ডিনার, ঘরে একান্তে মন খুলে গল্প করা, একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া- এ বিষয়গুলো কিন্তু পুরুষরাও ভালোবাসেন। আর আপনি যদি আপনার স্বামীকে খুশি করতে নিজে থেকে চিন্তা করে তাকে কোন সারপ্রাইজ দেন, তাতে নিঃসন্দেহে তিনি ভীষণ খুশি হবেন। সেটা তিনি মুখে যদি নাও বলেন, অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট তা ফুটে উঠবে।

৫) নিজেও দায়িত্ব নিন: 

 নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে মাঝে-মধ্যে ঘরোয়া সিদ্ধান্তগুলো নিন। তাতে আপনার স্বামীর ওপর মানসিক চাপটা কমবে। স্বামীর পাশে থাকার অর্থ, তার সুখ-দুঃখকে সমানভাবে ভাগ করে নেয়া। তিনি কোন সমস্যায় পড়লে বা কঠিন সময় অতিক্রম করলে, অন্তত বুদ্ধি দিয়ে তাকে সহযোগিতা করুন।

Related Posts:

  • পর্নোগ্রাফি   পর্নোগ্রাফি শব্দটা শুনেই আমরা সাধারনত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। যদিও নিয়মিত, না হলেও কালেভদ্রে পর্ন দেখেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। আসলে পর… Read More
  • সহবাসের দশটি উপকারিতা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে ভালবাসার একান্ত সময় কাটাতে চাইছেন? এগিয়ে যান। কারণ নিয়মিত যৌনমিলন বা সহবাস মানসিক শান্তির সঙ্গেই আপনার ক্লান্তি কাটি… Read More
  • মারাত্মক ক্ষতি হয় আপনার সন্তানের আদরের সন্তান যেন ভালো মানুষ হয় যে জন্য কত কিছুই না করেন বাবা মা। শাসন আর আদরের মাধ্যমে সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে তৈরি করার স্বপ্নই দেখ… Read More
  • ভালো স্ত্রী হওয়ার সাতটি উপায় বিয়ে করার পর আপনি অন্য একটি পরিবারের অংশ হয়ে গিয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও এ পরিবারের রয়েছে আরও অনেক সদস্য। আর এসব মিলে সবার মন যোগানোর কথা চিন… Read More
  • নারীদের জন্য ভালো! প্রেম বলুন কিংবা ভালোবাসা, এমন স্পর্শকাতর সম্পর্কগুলোতে অবশ্যই চাই বিশেষ চর্চা। বিশেষ করে প্রেম যখন বিয়েতে গড়ায়, তখন তো আরও বেশী। কিন্তু একবার… Read More

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!