ভালো বউ হওয়ার জন্য কত চেষ্টা। নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন সবাই। কিন্তু বউও তো চাইবেন একজন ভালো স্বামী। নানা বয়সের বিবাহিত কয়েকজন নারী বলেছেন, ভালো স্বামী বলতে তাঁরা কী মনে করেন।
জেরিনা খানম
৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
আমার দীর্ঘ সংসারজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, স্বামী-স্ত্রী দুজনের বয়সটা বাড়লেও প্রেমটা যেন ফুরিয়ে না যায়। একটা সময় আসে, সন্তানেরা যার যার কাজে ঘরের বাইরে চলে যায়। বৃদ্ধ বয়সে এসে স্ত্রী যেন কখনোই নিজেকে একা না ভাবতে পারেন, এ জন্য স্বামীকে সব সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে হবে। একসঙ্গে খেতে পারেন। একসঙ্গে সকাল কিংবা বিকেলে দুজনে হাঁটতে যেতে পারেন। ছোটখাটো যেকোনো বিষয়ে প্রসংশা করতে পারেন। স্ত্রীকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে পারেন। স্ত্রীর বহু দিন আগের কোনো অপূরণীয় শখ পূরণ করতে পারেন।
ইসমাত আরা খানম
৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
স্বামীমাত্রই পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল একজন মানুষ হবেন। স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, ভরণপোষণ ও চিকিৎসা—সবকিছুর প্রতি লক্ষ রাখবেন। স্ত্রীর প্রতি কোনো কঠিন দায়িত্ব একা ছেড়ে দেবেন না। সংসারে ঝগড়া-বিবাদ হতে পারে। তবে কোনো কিছু মনে না রেখে স্ত্রীকে নিয়ে একটি শান্তির সংসার গড়বেন। স্বামী বন্ধুর মতো স্ত্রীর পাশে থাকবেন। সব সময় সংসারের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন।
ফাহমিদা ইয়াসমিন
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক
বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি। সংসারে তাই স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস থাকবে। বেশির ভাগ স্ত্রীই তাঁর স্বামীকে বিশ্বাস করেন। তাই স্বামীর দায়িত্ব হবে স্ত্রীর বিশ্বাস ধরে রাখা। স্ত্রীকে যেকোনো কিছুতে মানসিকভাবে সমর্থন দেবেন। সুখে-দুখে স্ত্রী যেন কখনোই নিজেকে একা ভাবতে না পারেন, স্বামীকে সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আয়েশা সিদ্দিকা
মনোবিজ্ঞানী
আমাকে যে বুঝবে, সে-ই তো আমার আপনজন। ভালো স্বামী তিনিই, যিনি আমাকে বুঝবেন। আমার ভালো দিকগুলোকে গ্রহণ করবেন। আর মন্দ দিক থাকলে আমাকে শুধরেও দেবেন। পাশাপাশি আমি তাঁকে শুধরে দিলেও তিনি ভালোভাবে নেবেন। সব সময় সব বিষয়ে আমার সঙ্গে মন খুলে কথা বলবেন।
জেসমিন আরা খানম
সংগীত শিক্ষক
স্ত্রীই সব সময় স্বামী-সন্তান-সংসারকে আগলে রাখেন। স্ত্রী ছাড়া সংসার অচল। একজন ভালো স্বামী তাই স্ত্রীর শরীর-মন ভালো আছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। স্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হবেন। কেবল অসুস্থতায় নয়, অন্য সময়েও স্ত্রীর পছন্দ-অপছন্দের কথা বিবেচনা করবেন। স্ত্রীর ছোটখাটো শখগুলোকে পূরণের সুযোগ করে দেবেন।
নাজমা আক্তার
গৃহিণী
সংসারের শুরুর দিকের সময়টা যত মধুর হয়, পরবর্তী সময়ে ততটা মধুর থাকে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দায়িত্ব, বাড়ে সম্পর্কের জটিলতাও। দিনে দিনে জমা ছোট ছোট অভিমান মনে না রেখে স্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। স্ত্রীকেও আলোচনার সুযোগ করে দিতে হবে। কোনো বিষয়ে দুজন একমত না হলে সন্তানদের সামনে রাগারাগি না করা। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে নিজেরা আলোচনা করা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভয়ের না হয়ে যেন বন্ধুত্বপূর্ণ হয়। আমার মতে, ভালো স্বামীরা এমনটিই করবেন।
রোমানা আকতার
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দুই বছর হল আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর মেয়েদেরকে আপনজনদের ছেড়ে স্বামীর সংসারে আসে। ছেলেদের এটি করতে হয় না। তাই একজন ভালো স্বামী অবশ্যই এ সময়ে স্ত্রীর পাশে থাকবেন। স্ত্রীও এ সংসারের একজন আপন মানুষ, এ বিষয়টি স্ত্রীকে বোঝাতে হবে বিশ্বাসে ও ভরসায়। এ সংসার মেয়েটির জন্য নতুন হলেও ছেলেটির জন্য নয়, তাই নতুন সংসারে স্ত্রীকে সবকিছু বুঝিয়ে সবার কাছে প্রিয় পাত্রী করে তোলার দায়িত্ব স্বামীর।
ভালো বউ হওয়ার জন্য কত চেষ্টা। নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন সবাই। কিন্তু বউও তো চাইবেন একজন ভালো স্বামী। নানা বয়সের বিবাহিত কয়েকজন নারী বলেছেন, ভালো স্বামী বলতে তাঁরা কী মনে করেন।
জেরিনা খানম
৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
আমার দীর্ঘ সংসারজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, স্বামী-স্ত্রী দুজনের বয়সটা বাড়লেও প্রেমটা যেন ফুরিয়ে না যায়। একটা সময় আসে, সন্তানেরা যার যার কাজে ঘরের বাইরে চলে যায়। বৃদ্ধ বয়সে এসে স্ত্রী যেন কখনোই নিজেকে একা না ভাবতে পারেন, এ জন্য স্বামীকে সব সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে হবে। একসঙ্গে খেতে পারেন। একসঙ্গে সকাল কিংবা বিকেলে দুজনে হাঁটতে যেতে পারেন। ছোটখাটো যেকোনো বিষয়ে প্রসংশা করতে পারেন। স্ত্রীকে খুশি রাখার চেষ্টা করতে পারেন। স্ত্রীর বহু দিন আগের কোনো অপূরণীয় শখ পূরণ করতে পারেন।
ইসমাত আরা খানম
৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন
স্বামীমাত্রই পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল একজন মানুষ হবেন। স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, ভরণপোষণ ও চিকিৎসা—সবকিছুর প্রতি লক্ষ রাখবেন। স্ত্রীর প্রতি কোনো কঠিন দায়িত্ব একা ছেড়ে দেবেন না। সংসারে ঝগড়া-বিবাদ হতে পারে। তবে কোনো কিছু মনে না রেখে স্ত্রীকে নিয়ে একটি শান্তির সংসার গড়বেন। স্বামী বন্ধুর মতো স্ত্রীর পাশে থাকবেন। সব সময় সংসারের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন।
ফাহমিদা ইয়াসমিন
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক
বিশ্বাস যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি। সংসারে তাই স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস থাকবে। বেশির ভাগ স্ত্রীই তাঁর স্বামীকে বিশ্বাস করেন। তাই স্বামীর দায়িত্ব হবে স্ত্রীর বিশ্বাস ধরে রাখা। স্ত্রীকে যেকোনো কিছুতে মানসিকভাবে সমর্থন দেবেন। সুখে-দুখে স্ত্রী যেন কখনোই নিজেকে একা ভাবতে না পারেন, স্বামীকে সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আয়েশা সিদ্দিকা
মনোবিজ্ঞানী
আমাকে যে বুঝবে, সে-ই তো আমার আপনজন। ভালো স্বামী তিনিই, যিনি আমাকে বুঝবেন। আমার ভালো দিকগুলোকে গ্রহণ করবেন। আর মন্দ দিক থাকলে আমাকে শুধরেও দেবেন। পাশাপাশি আমি তাঁকে শুধরে দিলেও তিনি ভালোভাবে নেবেন। সব সময় সব বিষয়ে আমার সঙ্গে মন খুলে কথা বলবেন।
জেসমিন আরা খানম
সংগীত শিক্ষক
স্ত্রীই সব সময় স্বামী-সন্তান-সংসারকে আগলে রাখেন। স্ত্রী ছাড়া সংসার অচল। একজন ভালো স্বামী তাই স্ত্রীর শরীর-মন ভালো আছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। স্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হবেন। কেবল অসুস্থতায় নয়, অন্য সময়েও স্ত্রীর পছন্দ-অপছন্দের কথা বিবেচনা করবেন। স্ত্রীর ছোটখাটো শখগুলোকে পূরণের সুযোগ করে দেবেন।
নাজমা আক্তার
গৃহিণী
সংসারের শুরুর দিকের সময়টা যত মধুর হয়, পরবর্তী সময়ে ততটা মধুর থাকে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে দায়িত্ব, বাড়ে সম্পর্কের জটিলতাও। দিনে দিনে জমা ছোট ছোট অভিমান মনে না রেখে স্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। স্ত্রীকেও আলোচনার সুযোগ করে দিতে হবে। কোনো বিষয়ে দুজন একমত না হলে সন্তানদের সামনে রাগারাগি না করা। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে নিজেরা আলোচনা করা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভয়ের না হয়ে যেন বন্ধুত্বপূর্ণ হয়। আমার মতে, ভালো স্বামীরা এমনটিই করবেন।
রোমানা আকতার
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দুই বছর হল আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর মেয়েদেরকে আপনজনদের ছেড়ে স্বামীর সংসারে আসে। ছেলেদের এটি করতে হয় না। তাই একজন ভালো স্বামী অবশ্যই এ সময়ে স্ত্রীর পাশে থাকবেন। স্ত্রীও এ সংসারের একজন আপন মানুষ, এ বিষয়টি স্ত্রীকে বোঝাতে হবে বিশ্বাসে ও ভরসায়। এ সংসার মেয়েটির জন্য নতুন হলেও ছেলেটির জন্য নয়, তাই নতুন সংসারে স্ত্রীকে সবকিছু বুঝিয়ে সবার কাছে প্রিয় পাত্রী করে তোলার দায়িত্ব স্বামীর।প্র.আ.
0 comments:
Post a Comment