স্বামীকে সন্দেহ? আগে যা যা করবেন

 

‘সন্দেহ’ একটি সামাজিক ব্যাধী। সন্দেহের কারণে সংসার যেমন ভাঙ্গে ব্যক্তিও তেমন মানসিকভাবে অবসাদে ভুগতে থাকে। সন্দেহ নামক ঘুণপোকা যার মনের ঘরে আশ্রয় নেয়, তাকে একেবারে মানসিক যন্ত্রণার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায় এবং নিঃশেষ করে ফেলে।

পুরুষের চেয়ে নারীরা প্রকৃতিগতভাবে বেশি সন্দেহপ্রবণ হন। প্রথমত একজন নারীর সঙ্গীকে নিয়ে সন্দেহ হতে পারে, বিয়ের আগে প্রেমের সময় আবার বিবাহিত জীবনেও। বিয়ে-পরবর্তী যে সন্দেহ জন্ম নেয়, তা শুধু দুজনকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তা নয়, বরং সংসার জীবন, সন্তান (যদি থেকে থাকে), আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী- সবাই এর খারাপ ফলাফল ভোগ করেন।

নারীর সন্দেহের কারণ হতে পারে অনেক কিছু নিয়ে, যেমন: সঙ্গীর অন্য নারীর প্রতি দুর্বলতা, চরিত্রগত ত্রুটি, নেশার বস্তু (সিগারেট নিয়েও হতে পারে), বন্ধুদের আড্ডায় সময় দেওয়া, টাকা-পয়সা, সম্পদ, স্ত্রীকে বা সঙ্গীকে না জানিয়ে অন্যদের সাহায্য-সহযোগিতা বা সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া।

কী করণীয়

* প্রথম আপনার মনের সন্দেহ কী শুধু সন্দেহ (স্বাভাবিক পর্যায়ের), নাকি তা সন্দেহ বাতিক (অসুস্থতা) তা বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের সাহায্য নিন। লক্ষণীয়, স্বামীর প্রতি সন্দেহের বিষয়টি নির্ভরযোগ্য কারোর সঙ্গে খুলে আলাপ করতে পারেন, এতে মন হালকা হবে, কিন্তু যাকে-তাকে বলে স্বামীর মানসম্মান নষ্ট করবেন না এবং নিজেকেও হাসির পাত্র বানাবেন না।

* সুনির্দিষ্ট বাস্তব কোনো প্রমাণ না থাকলে অকারণে সন্দেহ করবেন না এবং সন্দেহমূলক প্রশ্ন করে সম্পর্কের জটিলতা বাড়াবেন না। কেননা যাকে সন্দেহ করছেন তিনি যদি সত্যিই সন্দেহের কিছু না করে থাকেন, তবে তার জন্য বিষয়টি একই সঙ্গে অপমানজনক, কষ্টকর এবং রাগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

* যদি সুনির্দিষ্ট বাস্তব প্রমাণ থেকে থাকে, তার পরও আরেকটু সময় নিন, বিষয়টা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। এক-দুটি প্রমাণের ভিত্তিতেই গর্জে উঠবেন না।

* খুব ইতিবাচক পদ্ধতিতে সুন্দরভাবে স্বামী/সঙ্গীকে আপনার সন্দেহের বিষয়টি জিজ্ঞেস করুন। তিনি যেন এ রকম মনে না করেন যে তাঁর পেছনে টিকটিকি লেগেছে।

* যদি মনে হয় সঙ্গী আপনাকে ভুল বোঝাচ্ছেন, সব কিছু লুকাচ্ছেন, তবে দুজনের সম্মতিতে আলোচনায় বসুন। আপনি আপনার প্রমাণগুলো ইতিবাচক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করুন।

* এর পরও যদি আপনি সদুত্তর না পেয়ে থাকেন, তবে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিন (যাকে আপনার সঙ্গী মেনে নিতে রাজি হবেন), এই তৃতীয় পক্ষ হতে পারে পরিবারের কোনো নিরপেক্ষ সদস্য, কোনো মুরব্বী। আবার হতে পারেন কোনো কাউন্সিলর অথবা থেরাপিস্ট যার মধ্যবস্থায় কোনো একটা সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে।

* অসুস্থ পর্যায়ের সন্দেহ হলে অবশ্যই অবশ্যই সাইকিয়াট্রিক চিকিৎসক দেখাতে হবে ও ওষুধ সেবন করতে হবে।

Related Posts:

  • Biar Porer kon somoyta sob cheye sukher ... Read More
  • ক্যামেরা মোবাইল কেনার আগে ঢাকা: মোবাইল ফোন কেনার সময় অনেক ক্রেতাই এর ক্যামেরা দেখে আকর্ষিত হন। মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সেটা বুঝতে পেরেছে বলেই এখন বাজার ধরতে উন… Read More
  • মেয়েদের পটানোর ১০ টি টিপস ঢাকা: সব ছেলেরা চায় মেয়েরা তার প্রতি আকর্ষিত হোক। তবে সবাই আকর্ষণ করতে পারে না। এই দশটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হলে সহজেই নারীরা কারও প্রতি আকর… Read More
  • বিয়ের ক্ষেত্রে ৭টি সতর্কতা যে কোনো মানুষের জীবনে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত আমরা অনেক আশা নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসি। কিন্তু সবার জীবনে এই বিয়ে নামক অধ্যায়টি … Read More
  • সেক্সুয়াল এনটাইটেলমেন্ট! পিতৃতন্ত্র পুরুষকে শিখিয়েছে সব বিষয়ে আপন চাহিদা পূরণে তার পৌরুষগত অধিকার প্রয়োগের বিষয়টি। এমনকি, যৌনতাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। গবেষণার ম… Read More

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!