অনেকে
ভেবে পান না ছেলেরা কেন মধ্যবয়স্ক নারীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। দিন দিন
এই ধরনের সম্পর্ক বেড়েই চলেছে। এর কারণ মধ্যবয়স্ক নারীর মধ্যে শারীরিক ও
চারিত্রিক বহু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য আছে। বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে কিছু নির্দিষ্ট
কারণ খুঁজে বের করেছেন।
দায়িত্বশীলতা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী
নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। তারা কী চান সেটা তারা ভালো
করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে
তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা
শেখাতে পারেন।
স্বাধীনতা: সাধারণত অধিকাংশ মধ্যবয়স্ক
নারী কখনোই তার প্রেমিকের ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা
কফির বিল নিজেই দেয়ার মানসিকতা রাখেন।
অভিজ্ঞতা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী জীবনে
একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তার অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাটো সবধরনের
সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন। মধ্যবয়স্ক নারী
যথাসময়ে আবেগী হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সাথে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন
করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন
যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন
ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।
পারস্পরিক বোঝাপড়া: একে অপরের মধ্যে
যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র
আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি
উপাদান। অর্থময় বোঝাপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে
মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে।
যৌনতা: বিছানায় একজন মধ্যবয়স্ক নারী
যথেষ্ট অভিজ্ঞ, সে তার চরম মুহূর্তের চাওয়া পুরুষটিকে বলতে দ্বিধা করে না।
তৃপ্তিময় যৌনতায় তিনি সব ধরনের অনিরাপদ ভীতিকর ব্যাপারগুলোর ঊর্ধ্বে থাকেন।
এই খোলামেলা সততাই দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে
‘সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড’ বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে
আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুণাবলী
একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে। অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে
মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যধিক
প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারেন।
0 comments:
Post a Comment