প্রেম কত প্রকার ও কি কি ?
মনের সঙ্গে যদি মন মিশে যায়, চোখের সঙ্গে চোখ, ব্যস হয়ে গেল প্রেম - ঐক্যমতের প্রেম । অতএব নেই কোনো সমস্যা । খাও দাও, ফুর্তি করো । সংসদ ভবন, বলদা গার্ডেন, পাবলিক লাইবেরির চিপায় মুখে-মুখ, বুকে-বুক, দেহ মনে অথৈ সুখ । অথবা ঘন্টার পর ঘন্টা মুখামুখি অলস থাকা । চিনেবাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে চোখের তারায় আকাশ দেখা । যতদিন আকর্ষণ আছে, তুমি আছ-আমি আছি, আকর্ষণ ফুরালেই দিমত, ভেঙ্গে যায় ঐক্যমত । তারপর দুদিকে দুজনার দুটি পথ ।
আপোসহীন প্রেম :
প্রথমত - আমি তোমাক চাই, দিতীয়ত - আমি তোমাক চাই, শেষ পর্যন্ত আমি তোমাক চাই ........! তোমার জন্য আমি ফেন্সি খাবো, পেথেদ্রিন নেবো, তবুও আমি তোমাক চাই. তোমাক না পেলে আমিও নাই । গাছের ডালে ছাগলের দড়ি বেধে অথবা স্লিং ফেনের সাথে শাড়ি বেধে ঝুলে পরব । আপোসহীন প্রেম এমনি কড়া , এমনি বেপরোয়া। জীবনে কোনদিন ব্লাড বাংকে রক্ত দেয়নি একফোটাও অথচ রাত জেগে রক্ত অক্ষরে চিঠি লেখা, হাতে ব্লেড চালিয়ে প্রেমিকার নাম লেখা।
অসংবিধানিক প্রেম :
আপোসহীন প্রেম :
প্রথমত - আমি তোমাক চাই, দিতীয়ত - আমি তোমাক চাই, শেষ পর্যন্ত আমি তোমাক চাই ........! তোমার জন্য আমি ফেন্সি খাবো, পেথেদ্রিন নেবো, তবুও আমি তোমাক চাই. তোমাক না পেলে আমিও নাই । গাছের ডালে ছাগলের দড়ি বেধে অথবা স্লিং ফেনের সাথে শাড়ি বেধে ঝুলে পরব । আপোসহীন প্রেম এমনি কড়া , এমনি বেপরোয়া। জীবনে কোনদিন ব্লাড বাংকে রক্ত দেয়নি একফোটাও অথচ রাত জেগে রক্ত অক্ষরে চিঠি লেখা, হাতে ব্লেড চালিয়ে প্রেমিকার নাম লেখা।
অসংবিধানিক প্রেম :
বিলক্লিন্টন একে বলেছেন, অসংবিধানিক সম্পর্ক, অর্থাৎ পরকিয়া প্রেম। যে প্রেম বিধান সম্মত নয়। চতুর বাওয়ালী হয়ে অন্যের মৌচাক থেকে চুপি সরে মধু খাওয়া । পরকিয়া প্রেম, নিকষিত হেম, কামগন্ধ নাই তাই । এমন যেন-গনি মিয়ার নিজের জমি নাই তাই সে অন্যের জমি চাষ করে । ওর মতে-পরকিয়া হলো ঝামেলাহীন নিস্কন্টক ভালবাসা, ফসল হলেই হলো-জমির মালিকানার বালাই নাই ।
তুমি শুধু আমার , কেবলই আমার। প্রেমিকার উপর এধরনের মালিকানা দাবী করাই হলো স্বৈরাচারী প্রেম। আমাকে তোমার ভালবাসতেই হবে । না হলে আমি তোমার মুখে এসিড ছুড়ব, প্রয়োজনে রাস্তা থেকে তুলে...........।এধরনের হুমকি ধামকির মাধ্যমে জবরদস্তি ভালবাসা আদায় হলো এ জাতীয় প্রেমের বৈশিষ্ট । তুমি যদি কাল থেকে সিগারেট না ছাড় তো ...........। প্রেমিকের প্রতি যখন এধরনের ফরমাস বা অধ্যাদেশ জারি করাও স্বৈরাচারী প্রেমের পর্যায়ভুক্ত ।
একদলীয় প্রেম হলো অনেকটা ওয়ান সাইডেড লাভ বা একতরফা প্রেম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ প্রেম অপ্রকাশিত । মনের কথাটি মনের মধ্যে ঘুমড়ে মরে । সাহসের অভাব, লাঞ্চনার ভয়ে যদি পাছে লোকে কিছু বলে । অতএব সারাক্ষণ উদাস উদাস ভাব . প্রেমিকার পায়ের শব্দে বুক ধরফর করে । কন্ঠ শুনে চমকে ওঠা, তারপর বিনিদ্র রজনী, সাদা কাগজে কবিতার জঞ্জাল, বলব ? কিন্তু...... কিভাবে বলি ? যদি সে ভুল বুঝে ? ইত্যাদি সব মনোবিকার । হটাত একদিন পাখি উড়ে যায়, রয়ে যায় তার পালক । একবুক দীর্ঘশ্বাস, সারাজীবন হা -হুতাশ।
এধারার প্রেমিক-প্রেমিকারা ধরো তক্তা মারো পেরেক তত্বে বিশ্বাসী। খোলা মাঠে বা পার্কের নির্জনতার চেয়ে চায়না রেস্তরার আলো-আধারিতে কিংবা বেড রুমের উষ্ণ নিভির পরিবেশই এদের বেশী পছন্ধ । এরা নগদ লেনদেনে অভ্যস্ত । দেবে আর নেবে, মিলবে-মিলাবে......! সুবিধাবাধী রাজনিতীকরদের দলবদল এর মতো এ শ্রেনীর প্রেমিক-প্রেমিকারা আবার ঘন ঘন সঙ্গী পাল্টায় । আসলে প্রেম নয় , এদের মূল লক্ষ্য হলো বাড়ি, গাড়ি, ব্যাঙ্ক বালেন্চ্চ বা রাজকন্যাসহ রাজত্ব । রাজনিতীকরদেরনির্বাচনী বায়ের মতো এরা প্রেমিকার পিছনে প্রচুর সময় আর অর্থ ইনভেস্ট করে এবং পরে তা সুদ-আসলে উসুল করে ।
পুরুষরা সবচেয়ে বেশী খুশী হয়, যখন তারা মেয়েদের কাছ থেকে সিগারেট উপহার পায় !
ReplyDelete