যোগ্য সঙ্গী বাছাই করতে চুমো আমাদের দারুণভাবে সহযোগিতা করতে পারে। এমনকি সম্পর্কের ইতিহাসে একবার চুমোর অভিজ্ঞতা থেকে কেউ চিরতরে সরেও আসতে পারে।‘পৃথিবীর সব সমাজ ও সংস্কৃতিতেই মানুষের যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নানা রূপে আবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে চুমোর উপিস্থতি রয়েছে’- বলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞান বিভাগের রাফায়েল ওলোডারস্কি।ওলোডারস্কি ও তার সহকর্মীরা মিলে একটি অনলাইন জরিপের আয়োজন করেছিলেন। তাতে ৯০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ক্ষেত্রে চুমোর ভূমিকা কী?ওলোডারস্কি বলেন, যৌনসম্পর্কের ক্ষেত্রে চুমোর ভূমিকা নিয়ে তিনটি প্রচলিত থিওরি আছে-
১. এটি সম্ভাব্য সঙ্গীর জেনেটিক গুনাবলী সম্পর্কে জানতে সহয়তা করে।
২. এটি উত্তেজিত করতে সাহায্য করে।
৩. এটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করে।
আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, নিবিড় পর্যবেক্ষণে এই তিন থিওরির উপস্থিতি বোঝা যায় কি না।জরিপে দেখা যাচ্ছে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের চেয়ে চুমোর ভূমিকাকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখে।শুধু তাই নয়, নারী ও পুরুষদের মধ্যে যারা নিজেদের আকর্ষণীয় বলে ভাবেন অথবা যারা স্বল্পমেয়াদী ও হঠাৎ সম্পর্কের ব্যাপারে উৎসাহী তারা চুমোকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবেন।
এরা সঙ্গী বাছাই করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সিলেকটিভ।আগে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, মেয়েরা সঙ্গী বাছাই করার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে বেশি সতর্ক।গবেষকরা বলছেন, জরিপে যে উত্তরদাতারা চুমোকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলছেন তাদের মতে চুমোর মাধ্যমে ভাল সঙ্গী বাছাই করা সম্ভব।চুমোর সময় অবচেতন মনে সঙ্গীরা স্বাদ, গন্ধ, জৈবিক নানা উপাদান, জিনগত অবস্থা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা পায়।
প্রফেসর রবিন ডানবারের মতে, সঙ্গী নির্বাচন ও পূর্বরাগের সিদ্ধান্ত মানুষ ভীষণ জটিল প্রক্রিয়ার নেয়। রবিন বলেন, ‘প্রাথমিক আকর্ষণ হয়তো চেহারা, শরীর বা সামাজিক কারণে তৈরি হতে পারে। কিন্তু চূড়ান্ত মূল্যায়ন তৈরি হয় সম্পর্কের গভীর স্তরে গিয়ে। যখন পূর্বরাগ ও চুমোর পর্যায়ে নারী-পুরুষ উপস্থিত হয় তখন আসল সিদ্ধান্তটা গৃহীত হয়।’সম্প্রতিক এই গবেষণার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, চুমোর পরেই আসলে লোকে সিদ্ধান্ত নেয় সম্পর্কটা স্বল্পমেয়াদী না দীর্ঘমেয়াদী হবে।বিশেষ করে মেয়েরা দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে ভীষণ গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তাদের মতে, দীর্ঘসময়ের জন্য জোড়বদ্ধ যুগলের ক্ষেত্রে সম্পর্ককে মধুর ও মজবুত করার ক্ষেত্রে চুমোর ভূমিকা অনেক বড়।সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
0 comments:
Post a Comment