আদর্শ পুত্রবধূ হতে চান? জেনে নিন অবশ্যই করণীয় ৫টি কাজ

 
বিবাহিত জীবনে বর্তমান সময়ে এমন সুখী মানুষ কমই পাওয়া যায়। কেউ নিজের বউ নিয়ে অসুখী, আবার কেউ নিজের স্বামীকে নিয়ে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যাটা দেখা দেয় যখন বউ-শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য হয়। বউ-শাশুড়ির মধ্যে কিছুটা মানসিক দূরত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মানসিক দূরত্বটা যদি রীতিমতো ঝগড়াঝাঁটির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তা সৃষ্টি করে সাংসারিক অশান্তি। অনেক সময় এসব কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এইসব সমস্যার কারণে অনেক সময় বিবাহ 
 বিচ্ছেদও ঘটে থাকে।

এই নিত্যদিনের মনোমালিন্য শ্বশুরবাড়ির সাথে এড়িয়ে চলার আছে কিছু সহজ উপায়। এই উপায় গুলো অনুসরণের মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারবেন আপনার শ্বশুরবাড়ির একজন আদর্শ পুত্রবধূ। সেই সঙ্গে সাংসারিক জীবনেও মিলবে শান্তি। আসুন জেনে নেয়া যাক আদর্শ পুত্রবধূ হয়ে ওঠার ৫টি উপায়।
 

সময় নিন

নতুন বিয়ে করে এসেই একটি পরিবারকে পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভব না। তাই বিয়ের পর একটু কিছুদিন সময় নিন। এই সময়টাতে প্রথমেই কোনো মতামত প্রদান কিংবা সিদ্ধান্ত না নেয়াই ভালো। আগে শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি মানুষ সম্পর্কে ধারণা নিন। কার স্বভাব কেমন, কে আপনাকে পছন্দ কিংবা অপছন্দ করে ইত্যাদি জেনে নিন। চেষ্টা করুন সকলের সাথে আস্তে আস্তে মেলামেশার মাধ্যমে সহজ সম্পর্ক তৈরি করতে।

প্রকাশ করুন ইতিবাচক মনোভাব

প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন শ্বশুরবাড়ির। আপনি ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। আপনার সাথে আপনার শ্বশুরবাড়ির সবার মনের মিল নাও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে শুধু শুধু নিজের সংসারে অশান্তি ডেকে না আনাই ভালো। বিশেষ করে আপনার সাথে আপনার শাশুড়ির সম্পর্কটি সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুন।

সমতা বজায় রাখুন মা ও শাশুড়ির

সমতা বজায় রাখুন আপনার শাশুড়ি ও আপনার মায়ের মধ্যে। মায়ের জন্য উপহার কিনলে শাশুড়ির জন্যও কিনুন। কিংবা মাকে দেখতে গেলে মাঝে মাঝে শাশুড়িকেও সঙ্গে নিয়ে যান। এক মূহূর্তের জন্যও ভুলে যাবেন না যে শাশুড়িও আপনার মায়ের মতই একজন। শাশুড়ির সামনে মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা না বলাই ভালো,এতে অনেক শাশুড়িই রুষ্ট হন। তাকে সব সময়েই বুঝিয়ে দিন যে আপনার কাছে দুজনই সমান এবং আপনি দুজনকেই সম্মান করেন।


কমিয়ে ফেলুন নিজের প্রত্যাশা

বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই মেয়েদের নিজের বাড়ি, এটা কথার কথা। বাস্তবতা এটাই যে নিজের বাড়ির মতই সব কিছু শ্বশুরবাড়িতে আশা করা ঠিক না। আপনি কি চাইছেন, আপনি কি পছন্দ করেন এসব বিষয় আপনার নিজের বাড়িতে সবাই খেয়াল রাখবে কারণ আপনি ছোটবেলা থেকে সেখানেই বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু আপনার শ্বশুরবাড়িতেও সেটা আশা করে না পেলে মন খারাপ করে বসে থাকবেন না। কারণ আপনার সাথে তাদের পরিচয় খুবই স্বল্প সময়ের।
 

 সবার সাথে আলোচনা করুন

শ্বশুরবাড়িতে যে কোনো সমস্যায় পড়লে কিংবা কেউ মনে কষ্ট দিলে সেটা শাশুড়ি ও স্বামীর সাথে সরাসরি আলোচনা করুন। আর ঝামেলাটি যদি শাশুড়ির সঙ্গেই হয়, তাহলেও তাকে বিনীতভাবে বুঝিয়ে বলুন যে তার আচরণে আপনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। আর তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করুন আপনার স্বামীর সাথে। যে কোনো পরিস্থিতিতেই মনের কষ্ট চেপে রাখবেন না। মনের কষ্ট আলোচনা করে সমাধান না করে চেপে রাখলে সম্পর্কে ফাটল ধরে যায় সহজেই।

Related Posts:

  • সঙ্গী যখন কর্মজীবী আমাদের জীবনে জীবনসঙ্গীই হল এমন একজন ব্যক্তি যার হাত ধরে জীবন সাজাবার সুযোগ থাকে যা অন্য কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে থাকেনা। তাই অন্য সব সম্পর্কের থ… Read More
  • সাবেক মনের মানুষকে যে ১০টি মেসেজ কখনই দেবেন না জীবনের সব প্রেম যে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মতো হবে এমন কথা কে বলেছে। সবকিছুই শেষ হইয়া হইলো না শেষ! আহা। আমাদের ভালোবাসার সময় অবশ্যই জীবনের … Read More
  • জেনে রাখুন প্রিয় পুরুষের মনের খবর প্রত্যেকটি মানুষ একে অপর থেকে ভিন্ন হয়। অনেক সময় এই ভিন্নতা অনেক ভাল সম্পর্ককেই ভেঙ্গে ফেলতে পারে। নারী বা পুরুষ এক রকম করে ভাববে বা একই রকম… Read More
  • "ইগো প্রব্লেম" যখন প্রিয়জনের সাথে দুজন মানুষ কখনোই এক রকম হন না। তাঁদের মধ্যে থাকবে হাজারও অমিল। চিন্তা, ভাবনা, রুচি, মতের অমিল হবেই। একসাথে বসবাস করতে গেলে এই বৈসাদৃশ্যগুলো চ… Read More
  • সম্পর্ক যখন দেবর ভাবির শ্বাশুড়ির সাথে পুত্রবধুর বনছে না বা ননদের সাথে ভাবির রেষারেষি - এমন গল্পের দেখা আমাদের সমাজে হরহামেশাই মেলে! কিন্তু দেবরের সাথে ভাবির মন কষকষ… Read More

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!