বেড়াতে গেলে দুজনে


ভালবাসার মানুষটির সাথে বেড়াতে আমরা কে না ভালবাসি? কর্মব্যস্ত সপ্তাহ শেষে হোক, কিংবা হোক যে কোনও অবসরে... একান্ত মানুষটির সাথে একটু বেড়ানোর সুযোগ কম বেশী আমরা সবাই খুঁজে থাকি। একসাথে বেড়ানো কেবল প্রেমিক- প্রেমিকার সম্পর্ককে নয়, চাঙ্গা করে কিন্তু দাম্পত্যকেও।

বন্ধুবান্ধব বা পরিবার, সন্তান-সন্ততি নিয়ে তো বেড়ানোই হয় নিয়ম করে। কিন্তু নিয়মের বাইরেও কখনও প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একলা বেড়াতে যান। কেবল আপনি আর তিনি, দুজনে দুজনার। ভালবাসার কোনও সময় নেই, বয়স নেই। আপনি অবিবাহিত কিংবা বিবাহিত যাই হয়ে থাকুন না কেন, একান্ত আপন মানুষটিকে নিয়ে বেড়াতে ভুলবেন না মোটেই। অবশ্যই বের করুন তার জন্য সুন্দর কিছু সময়।

তবে কেবল বেড়াতে গেলেই হবে? জীবনের প্রতিটি ধাপে যেমন সৌজন্যতা এবং ভদ্রতার জন্য স্থান রয়েছে, তেমনি রয়েছে একান্ত সম্পর্কটির ক্ষেত্রেও। এবং অবশ্যই সেগুলোর পালনে সম্পর্কে যেমন মাধুর্য থাকে, তেমনি বাড়ে সম্মান আর শ্রদ্ধা বোধও।
















 - একটা প্রচলিত ধারনা আছে যে বেড়াতে গেলে কেবল পুরুষেরাই খরচ করবেন। কিন্তু কেন বলুন তো? একজন নারী উপার্জন করতে পারলে তার খরচ করতেও পারা উচিত। তাই বের হয়ে আসুন এই বস্তাপচা পুরানো ধারনা থেকে। সমস্ত খরচের চাপ একলা আপনার প্রেমিক বা স্বামীর ওপরে দিবেন না, আপনি উপার্জনক্ষম নারী হয়ে থাকলে নিজেও খরচ করুন।

- অনেক পুরুষই আছেন, যারা প্রেমিকা বা স্ত্রীর খরচ করতে চাইলে কিছুতেই রাজি হতে চান না। তারা কিন্তু একটু নমনীয় হবার চেষ্টা করতে পারেন। সঙ্গিনীকে খরচ করতে দেয়ার মাঝে অসম্মানের কিছু নেই, বরং তাতে মানুষটিকে সম্মান দেয়া হয়। ইচ্ছা হলে দুজনে খরচটা ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। তাতে দুজনের কথাই ঠিক থাকলো।


- সিনেমা দেখতে যেতে চাইলে আগেই একটু খোঁজ খবর করে নিন সিনেমাটির সম্পর্কে। প্রিয় মানুষটির সাথে একটা বোরিং সিনেমা দেখতে যেমন ভালো লাগবে না, তেমনি একটা অপ্রীতিকর বা বাজে সিনেমাও দেখতে ভাল্লাগবে না মোটেই।

- যেখানে খেতে যাচ্ছেন প্রিয় মানুষটির সাথে, সেই জায়গা সম্পর্কেও জেনে রাখুন। কেননা আজকাল অনেক রেস্তরাঁতেই আপত্তিকর আড্ডা বা পরিবেশের জন্ম হচ্ছে। আপনার একান্ত মানুষটির এইসব নাও ভালো লাগতে পারে। উলটো আপনার রুচির সম্পর্কে খারাপ ধারনা জন্মাবে।

- যদি আপনার প্রেমিক মানুষটি কিছুতেই আপনাকে খরচ করতে না দেয়, তাহলে মানুষটির জন্য সাধ্যমত কিছু উপহার নিয়ে যান। যত ছোটই হোক না কেন, তা আপনার রুচি আর সচেতনতাকেই প্রকাশ করবে।
- গৃহিণীরা সংসার খরচ থেকে থাকা বাঁচিয়ে স্বামীর জন্য কিছু একটা কিনে ফেলতে পারেন। বেড়াতে গিয়ে খুব আন্তরিকতার সাথে উপহার দিয়ে তাঁকে চমকে দিলেন।
 

- পুরুষেরা কিন্তু ফুল কিনতে ফুলবেন না। ১০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া একটি ফুল আপনার সঙ্গিনীকে যে কি ভীষণ খুশি দিবে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।


- চেষ্টা করুন প্রিয় মানুষটি কি ধরনের পোশাক পরা পছন্দ করে, সেই ব্যাপারটা একটু মাথায় রাখতে। প্রিয় মানুষের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করতে তো আর আমাদের চেষ্টা অন্ত নেই, তাই না?

- প্রিয় মানুষটির অপছন্দের ব্যাপার গুলোও পরিহার করুন। মেয়েরা অতিরিক্ত উগ্র সাজসজ্জা এড়িয়ে যান। পুরুষেরাও শালীনতা মেনেই পোশাক পরুন।


- পুরুষেরা নিজের সঙ্গিনীর সাথে থাকার সময় ধূমপান না করলেই ভালো। এটা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক তো বটেই, সাথে উন্নত পরিচায়কও নয়। তাছাড়া আপনার ধূমপানের কারণে সঙ্গিনীর সমস্যাও হতে পারে। ব্যাপারটা মাথায় রাখুন।

- রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে পরস্পরের পছন্দের দিকে মনযোগ দিন, কেবল নিজের খাওয়ার কথা ভাববেন না। ওপর মানুষটি কি খেতে চাইছেন অবশ্যই জেনে নিন।


- বেড়াতে গিয়ে রাত হয়ে গেলে আপনার প্রেমিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে ভুলবেন না যেন।

- দম্পতিরা বেড়াতে গিয়ে নিত্যদিনের সাংসারিক আলাপ বন্ধ রাখুন। উপভোগ করুন সময়টা।

- প্রেমিক প্রেমিকারাও ঝগড়া বা মান- অভিমান নিয়ে থেকে নষ্ট করবেন না সময়টা।
শেষ পরামর্শ, তবে সব চাইতে জরুরী পরামর্শ। “ভালবাসি” বলুন ভালবাসার মানুষটিকে। সম্পর্ক রক্ষায় ভালবাসার আসলেই কোনও বিকল্প নেই।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!