সামাজিকতা ও লৌকিকতা পালন করতে গিয়ে নানা উত্সব-অনুষ্ঠানে আমরা মানুষজনকে নিমন্ত্রণ করে থাকি। বিশেষ করে বিয়ে এবং জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তো অবশ্যই! নববর্ষ, বিবাহবার্ষিকী, ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোও বাদ যায় না। শুধু পারিবারিক বা সামাজিন অনুষ্ঠান নয়, দাওয়াত বা নিমন্ত্রণের ব্যাপারটা চলে আসে কর্মক্ষেত্রের অনুষ্ঠানগুলোতেও! কিন্তু এই নিমন্ত্রণ নিয়েও ভুল বোঝাবুঝির শেষ নেই। কেউ হয়তো ভাবলেন আপনি আন্তরিকভাবে নিমন্ত্রণ করেননি, আবার কেউ হয়তো বুঝতেই পারলেন না যে, তিনি একা নাকি সপরিবারে নিমন্ত্রিত হয়েছেন! নিমন্ত্রণ করতে জানাটাও কিন্তু এক ধরনের শিল্প! জেনে নিন এই শিল্পের কিছু খুঁটিনাটি বিষয় -
নিমন্ত্রণ করার আগে -
- নিমন্ত্রণ করার আগে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে অতিথিদের তালিকা তৈরি করুন। খেয়াল রাখুন গুরুত্বপূর্ণ কেউ যেন বাদ পড়ে না যান।
- বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠান হলে অন্তত এক মাস আগে থেকে জানিয়ে রাখুন। ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠান হলে দিন দশেক আগে জানালেই চলবে।
- ফর্মাল কোনো অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণের ধরনও হওয়া উচিত ফর্মাল। নিমন্ত্রণপত্রে অনুষ্ঠানের কারণ, কোথায় হবে, কবে হবে, সময় কখন সবকিছু যেন পরিষ্কার করে লেখা থাকে। নিমন্ত্রিতের নাম ঠিকানা লেখার সময় সংক্ষেপে না লিখে পুরো নাম ঠিকানা উল্লেখ করুন।
- নিমন্ত্রণপত্রের ভাষা যেন সহজ কিন্তু সুন্দর হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- কে নিমন্ত্রণ করছেন তার নাম অবশ্যই নিমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করুন। যোগাযোগের ঠিকানা এবং ফোন নম্বরও দিন।
- কোনো ড্রেস কোড থাকলে সেটাও নিমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
নিমন্ত্রণ করার সময়
- নিমন্ত্রণ করতে যাওয়ার আগে ফোন করে জেনে নিন, যাকে নিমন্ত্রণ করতে যাচ্ছেন তিনি থাকবেন কিন। কোন সময়ে গেলে তার জন্যে সুবিধা সেটাও জেনে নিন।
- হাতে সময় নিয়ে নিমন্ত্রণ করতে যান। কার্ড দিয়েই চলে আসলে ব্যাপারটা অনেক খারাপ দেখায়।
- নিমন্ত্রণপত্রে সব তো লেখা থাকবেই কিন্তু তারপরও মুখে বলে দেবেন যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান। এতে আন্তরিকতা প্রকাশ পায়।
- নিমন্ত্রণ করার সময় সপরিবারে নাকি ব্যক্তিবিশেষকে নিমন্ত্রণ করছেন, তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিন। সময় নিয়েও কোনো বিভ্রান্তি রাখবেন না।
0 comments:
Post a Comment