সম্পর্ক নষ্ট ছাড়াই "না" বলতে শিখুন!


জীবনের চলার পথে নানান রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যখন ‘না’ বলা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকে না। কিন্তু এই নেতিবাচক উত্তর দেয়াটাকেই তখন পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ বলে মনে হয়। আর এই ‘না’ শব্দটি বলতে না পারাতেই নানান উটকো ঝামেলা ও বিপদ আমাদের ঘাড়ে এসে চাপে।
আপনার কোনো প্রস্তাব পছন্দ না হলে আপনার পূর্ণ অধিকার আছে ‘না’ বলে দেয়ার। তাহলে এই শব্দটি বলতে এতো কষ্ট হয় কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক মানুষের কেনো ‘না’ বলতে অস্বস্তি লাগে এবং যেভাবে সহজে ‘না’ বলা যায়।

‘না’ বলতে অস্বস্তি লাগে কেন?

কাউকে না বলতে কিংবা ঋণাত্মক জবাব দিতে অস্বস্তি লাগাটাই স্বাভাবিক। তবে সেটার পিছনে আছে বেশ কিছু কারণ।
মন থেকে সাহায্য করার ইচ্ছাঃ প্রত্যেকটা মানুষের মনেই পরোপকার করার ইচ্ছা থাকে। আর এই সুপ্ত ইচ্ছার কারণেই মানুষ সহজে কাউকে ‘না’ বলতে পারে না। একেবারে নিরুপায় না হলে সাধাণরত কেউ কাউকে ‘না’ বলতে অস্বস্তি বোধ করে।
খারাপ দেখায় ভেবেঃ কাউকে নেতিবাচক উত্তর দেয়ার ব্যাপারটা খারাপ দেখায় ভেবে অনেকেই নিজের কাঁধে ঝামেলা চাপিয়ে নেন। কিন্তু যেই প্রস্তাবে রাজী হলে আপনার ক্ষতি হবে সেটাতে লজ্জায় পরে রাজী না হওয়াই ভালো। তাই খারাপ দেখাচ্ছে ভেবে নিজের ঘাড়ে বিপদ টেনে আনবেন না।
সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়েঃ সম্পর্ক খারাপ হবে ভেবে অনেকেই সরাসরি ‘না’ বলতে ভয় পান। একবার নেতিবাচক কিছু বললে পরে হয়তো সম্পর্কটাই রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে এটা ভেবে অনেকেই ‘না’ বলতে পারেন না। কিন্তু সুন্দর করে কারণসহ বুঝিয়ে বললে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ভবিষ্যতের সুযোগ হারানোর ভয়ঃ একবার ‘না’ করে দিলে পরবর্তীতে আর সুযোগ নাও পেতে পারেন এটা ভেবেও অনেকে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পরেন। কিন্তু সুযোগ হারানোর ভয়ে অন্যায় প্রস্তাবে রাজী হলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।


যেভাবে না বলবেন

  • সরাসরি বলে দিন “আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আপনার প্রস্তাবে আমি রাজী হতে পারছি না।” অনেকেই এভাবে সরাসরি না বলতে পারেনা। কিন্তু সরাসরি প্রস্তাব নাকোচ করে দিতে পারলে উভয় পক্ষের জন্যই ভালো। কারণ, এই পদ্ধতিতে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে না।
  • সরাসরি বলতে না পারলে আপনি কিছুটা সময় নিন। বলুন যে আপনি একটু ভেবে নিয়ে তারপর জানাবেন। দুয়েক দিন পর ই-মেইলে বা মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তায় লিখে জানিয়ে দিন যে আপনি তার প্রস্তাবে রাজী নন। যারা সরাসরি ‘না’ বলতে পারেন না তাদের জন্য লিখে পাঠানোটা বেশ সহজ।
  • আপনি বলুন আপনার এখন অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের ব্যস্ততা আছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের ব্যস্ততায় আপনি সময় পাচ্ছেন না। তাই নতুন কোনো প্রস্তাবে রাজী হওয়ার মতো অবসর নেই আপনার।
  • আপনি বলুন প্রস্তাবটিতে রাজি হতে পারলে আপনার ভালো লাগতো কিন্তু এই মুহূর্তে আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। এভাবে বলাটা বেশ ভদ্র দেখায়। এই পদ্ধতিতে প্রস্তাবদাতার প্রস্তাবের সুনাম করুন প্রথমে। এরপর বলুন আপনার ক্ষমতা থাকলে আপনি তার প্রস্তাবে অবশ্যই রাজী হতেন। কিন্তু এই মুহূর্তে আপনি পারছেন না তার প্রস্তাব গ্রহণ করতে।
  • আপনি যদি প্রস্তাবে রাজী হতে না পারেন তাহলে আপনার বদলে অন্য কেউ জানা শোনা থাকলে তার কথা বলুন। সম্ভব হলে তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিন। তাহলে যাকে ‘না’ বলছেন সেই ব্যক্তিও বেশি হতাশ হয়ে যাবে না।

Related Posts:

  • বিশ্ব হার্ট দিবস রোববার ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস। এ বছরে দিবসটির প্রতিপদ্য হলো- ‘শিশু, কিশোর, বৃদ্ধা, যুবা, পুরুষ কিংবা নারী, সুস্থ্ হৃদয় গড়তে এসো যাত্রা শুরু … Read More
  • আঙুল রহস্য হাতের পাঁচটা আঙুল থাকতে ওয়েডিং রিং (বিয়ের আঙটি) কেন শুধু অনামিকা-তেই পরানো হয়.. জানেন কি? এ বিষয়ে চমৎকার একটি মতবাদ আছে! চাইনীজ-দের অনেকে… Read More
  • সমবয়সী ছেলে-মেয়ে প্রেম করলে যা হয় সমবয়সী একটা ছেলে এবং একটা মেয়ের রিলেশন কখনও সম্ভব নয়।জোর করে করলেও এট বেশী দিন স্হায়ী হয় না।কারণ: ** ১. একটা মেয়ে দশম শ্রেণীতে থাকা অবস্হায় য… Read More
  • কী করবেন না গরমে মানেই প্যাচপ্যাচে ঘাম, বিরক্তি আর হাজারো সমস্যা। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো এটা খুব বেশি হয়। তাই বাচ্চাদের জন্য আমাদের কিছু `ডু` আর `ডু নট` । … Read More
  • দাম্পত্যের সুখের বছর তিন, অসুখের পাঁচ! আপনি কি বিবাহিত? বিয়ের সনটি কি ২০১০-এর শেষ কিংবা ২০১১-এর প্রথমার্ধ? তাহলে এই সংবাদটির সবচেয়ে ভালো পাঠক হতে পারেন আপনিই? আর এর আগে যারা বিয়ে ক… Read More

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!