বাবা মার সম্মতি নেয়া কি সাধ্যের কাজ! যাই বলা হয় তাতেই অসম্মতি। কিছুতেই যেন তারা ভরসা করতে পারেন না সন্তানের উপর। অযৌক্তিক আবদারে বাবা মা রাজী হবেন না এটাই স্বাভাবিক। তবে বাবা মার কাছে প্রয়োজনীয় কিছু চাইতে বা রাজী করাতে কিছু উপায় অবলম্বন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে যে কোনো বিষয়ে বাবা মা কে সহজে রাজী করানো যায়।
কিভাবে বলবেন ঠিক করুন
বাবা মার সামনে গিয়ে কি কথা বলবেন এবং কিভাবে উপস্থাপন করবেন সেটা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। আগে থেকে মনে মনে কথা গুছিয়ে না নিলে সামনা সামনি কথা এলোমেলো করে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। আর কোনো কারণে কথা এলো মেলো করে ফেললে বাবা মা ধরেই নিবেন আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। তখন আর সেই বিষয়টিতে রাজী হবেন না তারা।
মন জয় করুন
কোনো প্রস্তাবে রাজী করাতে হলে বাবা মায়ের মন জয় করে নিন ভালো কাজ করে। বাবা মায়ের মন জয় করতে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করুন, ঘর গুছিয়ে রাখুন, ছোট ভাই বোন থাকলে তাদেরকে খুশি রাখুন। আপনার অভিভাবক আপনার উপর খুশি থাকলে আপনার প্রস্তাবে অসম্মতি জানাবেন না।
সঠিক সময় নির্বাচন করুন
কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা জরুরী। বাবা মার সাথে কথা বলার আগে তাদের মনের অবস্থা বুঝে নিন। তারা মানসিক চাপে থাকলে বা ক্লান্ত থাকলে সেই সময়ে কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তখন কিছু বললে তারা বিরক্ত হবেন এবং তখন তাদের সম্মতি না মেলাটাই স্বাভাবিক।
নম্র স্বরে বলুন
যে কোনো প্রস্তাবই নম্র ভাবে দিলে কাজ হয়। তাছাড়া মা বাবার সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলা বা চাপ প্রয়োগ করা একেবারেই উচিত না। ধরুন আপনি বন্ধুদের সাথে কোথাও বেড়াতে যেতে যান। এক্ষেত্রে আপনি অনুরোধ করে নম্র স্বরে এভাবে বলতে পারেন- ‘বাবা আমার বন্ধুরা সবাই বেড়াতে যাচ্ছি আমাকে ওদের সঙ্গে যেতে দিবে প্লীজ?’ কোনো ভাবেই জোড় করে সম্মতি নেয়ার চেষ্টা করা উচিত না। এতে হীতে বিপরীত হয়।
অপেক্ষা করুন
কোনো কিছুর প্রস্তাব দেয়ার সাথে সাথেই উত্তর আশা করে ঠিক হবে না। আপনি বলার পর তাদেরকে ভাবার সময় দিন। তারা যদি আপনার কথার প্রত্যুত্তরে কিছু না বলেন তাহলে পাল্টা প্রশ্ন না করে অপেক্ষা করাই শ্রেয়।
অসম্মতি পেলে
বেশ অনেকটা সময় পরও যদি বাবা মায়ের উত্তর পাওয়া যা যায় তাহলে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনার প্রস্তাবের ব্যাপারে তাদের মতামত কি। যদি ‘না’ সূচক উত্তর আসে তাহলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন কেন তাঁরা অসম্মতি জানিয়েছেন। তাঁরা যদি কোনো কারণ দেখায় তাহলে সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার কোনো যুক্তি থাকলে সেটা উপস্থাপন করুন। তাহলে তাদের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে।
ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করুন
বাবা মা মুখের কথায় রাজী না হলে লিখে দিন। সুন্দর করে গুছানো ভাষায় একটি নোট লিখে দিতে পারেন। সেখানে আপনার আবদার এবং তার পেছনের কারণ গুলো স্পষ্ট ভাষায় গুছিয়ে লিখুন।
অতঃপর...
সব পদ্ধতি তো অনুসরন করা হলো। অভিভাবক যদি রাজী হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আর যদি সম্মতি না মিলে তাহলে তাদের মতের বিরুদ্ধে কিছু করা ঠিক হবে না। কারণ একবার মতের বিরুদ্ধে গেলে পরবর্তিতে কোনো বিষয়ে তাদের সম্মতি গ্রহণ করা কঠিন হয়ে যাবে
0 comments:
Post a Comment