বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাথে খুব নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে একটি নাম, আর তা হলো মসলিন। এক সময় বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছিল এই কাপড়টি। বিশেষ করে মোঘল শাসনাআমল ছিল মসলিনের স্বর্ণযুগ। কারণ তখন রাজকীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হতো মসলিন শিল্পের। এই সময় মসলিনের কদর দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। অতীতের সেই মসলিনের অস্তিত্ব বর্তমানে না থাকলেও বাংলাদেশের শিল্পের ইতিহাসে গর্বের দখল করে আছে একটি বিশেষ জায়গা।
বর্তমানে বাজারে যে মসলিন দেখতে পাওয়া যায়, তা কিন্তু অতীতের সেই বিখ্যাত মসলিন নয়! এই মসলিন সিল্কের মতো রেশমী সুতা দিয়ে বিশেষ উপায়ে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হয়। ফ্যাশনের জগতে এই মসলিনও কম অবদান রাখছে না। মসলিন দেখতে পাতলা ও ফুরফুরে হওয়ায় এই গরমে উত্সবের পোশাক হিসেবে মসলিনের জুড়ি নেই। এতে নেই সিল্কের চাকচিক্য যা গরমে অস্বস্তি আনবে, আবার সুতির সেই সাদামাঠা ভাবটাও নেই। ফলে অনুষ্ঠান উত্সবে অনায়াসে পরতে পারেন মসলিনের শাড়ি বা অন্যান্য পোশাক।
মসলিনের শাড়িতে রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া, তাই গরমের দুপুর হোক বা রাত যেকোনো সময় পরতে পারেন মসলিনের শাড়ি। দিনের বেলার জন্য বেছে নিতে পারেন এখনকার ট্রেন্ড অনুযায়ী যেকোনো হালকা রং। যেমন অফহোয়াইট, হালকা হলুদ, গোলাপি, আকাশী, ফিরোজা, লাল, প্যাস্টেল সবুজ, ম্যাজেন্টা, পার্পল ইত্যাদি। রাতের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিন গাঢ় রং। যেমন মেরুন, গাঢ় নীল, মেরিন ব্লু, বেগুনী, গাঢ় লাল, সবুজ, কালো, খয়েরি ইত্যাদি।
রঙের মতোই ডিজাইনেও রয়েছে মসলিনের বিশেষত্ব! একাধিক উজ্জ্বল রঙে করা হ্যান্ড পেইন্টের শাড়ি যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য মানানসই। স্প্রের কাজও করা হয় মসলিনে।
মসলিন কাপড়টি অনেক সূক্ষ্ম বলে এতে এমব্রয়ডারিও করা হয় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে। তাই এমব্রয়ডারির মসলিনের শাড়িগুলো হয় অনবদ্য। এমব্রয়ডারির পাশাপাশি এতে বসানো হয় গ্লাস বা হাজারবুটি। জমকালো অনুষ্ঠানের জন্য এসব শাড়ি হতে পারে আদর্শ পোশাক।
এপ্লিক বা কাটওয়ার্কের মসলিনের শাড়িগুলো অত্যন্ত চমত্কার ও জমকালো হয়। অনুষ্ঠানের পোশাক হিসেবে বেছে নিতে পারেন এগুলোও। হাতের কাজের মসলিন শাড়িও উত্সব-অনুষ্ঠানের পোশাক হিসেবে মানানসই।
শাড়ি যেমনই হোক না কেন তার সাথে থাকা চাই মানানসই সাজসজ্জা! মেকআপের শেড বাছুন শাড়ির রঙের সাথে মিলিয়ে এবং অবশ্যই দিন-রাতের পার্থক্যের ব্যাপারটি মাথায় রেখে। যেকোনো রঙের মসলিন শাড়ির সাথে ন্যাচারাল রঙের লিপস্টিক খুব মানিয়ে যায়। অথবা ব্যবহার করতে পারেন শাড়ির সাথে মানানসই রঙের লিপস্টিক। টিপ পরতে চাইলে একেবারেই সাদামাঠা না পরে একটু গর্জিয়াস টিপ পরুন। হতে পারে সেটা স্টোনের অথবা মেটালের কাজ করা।
মসলিন এতই অভিজাত্যপূর্ণ যে এর সাথে মুক্তা থেকে শুরু করে সোনা - সব ধরনের অলংকারই মানানসই। পরতে পারেন পাথরের অলংকারও। অলংকার যেমনই হোক না কেন, তা যেন হয় শাড়ির রং ও নকশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মসলিনের সাথে কাচের চুড়ির পরিবর্তে পাথর বসানো ধাতুর চুড়িই বেশি মানানসই। পরতে পারেন মুক্তা বসানো চুড়ি বা ব্রেসলেটও।
শাড়িতে খোলা চুল বেশি ভালো লাগলেও গরম বলে অনেকেই শাড়ির সাথে খোঁপাটাই করছেন বেশি। খোঁপা করলে তাতে গুঁজে দিতে পারেন রূপার কাঁটা। এতে মসলিন শাড়ির আভিজত্য ও আপনার সৌন্দর্য আরো ফুটে উঠবে। ফ্রেঞ্চবেণীও শাড়ির সাথে মানিয়ে যাবে। সাজসজ্জায় স্নিগ্ধতা আনতে চাইলে চুলে পরতে পারেন ফুল। এখন বেলীফুলের মৌসুম। সুগন্ধী বেলীফুলের কয়েকটি মালা আলগোছে জড়াতে পারেন আপনার খোঁপা বা বেণীতে।
সাজগোজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যাগ ও জুতা। আজকাল কাতান ও বেনারসি কাপড়ের তৈরি ক্লাচব্যাগ পার্টিব্যাগ হিসেবে চলছে খুব! হাতে নিতে পারেন এমনই একটি ব্যাগ। ছোট বটুয়াও হতে পারে অনুষ্ঠানের উপযোগী। স্যান্ডেলের ব্যাপারে আরামটাই আগে। তাই আরামদায়ক ও শাড়ির সাথে মানানসই স্যান্ডেলই হোক আপনার সঙ্গী!
নুসরাত জাহান চম্পা
মসলিনের শাড়িতে রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া, তাই গরমের দুপুর হোক বা রাত যেকোনো সময় পরতে পারেন মসলিনের শাড়ি। দিনের বেলার জন্য বেছে নিতে পারেন এখনকার ট্রেন্ড অনুযায়ী যেকোনো হালকা রং। যেমন অফহোয়াইট, হালকা হলুদ, গোলাপি, আকাশী, ফিরোজা, লাল, প্যাস্টেল সবুজ, ম্যাজেন্টা, পার্পল ইত্যাদি। রাতের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিন গাঢ় রং। যেমন মেরুন, গাঢ় নীল, মেরিন ব্লু, বেগুনী, গাঢ় লাল, সবুজ, কালো, খয়েরি ইত্যাদি।
রঙের মতোই ডিজাইনেও রয়েছে মসলিনের বিশেষত্ব! একাধিক উজ্জ্বল রঙে করা হ্যান্ড পেইন্টের শাড়ি যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য মানানসই। স্প্রের কাজও করা হয় মসলিনে।
মসলিন কাপড়টি অনেক সূক্ষ্ম বলে এতে এমব্রয়ডারিও করা হয় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে। তাই এমব্রয়ডারির মসলিনের শাড়িগুলো হয় অনবদ্য। এমব্রয়ডারির পাশাপাশি এতে বসানো হয় গ্লাস বা হাজারবুটি। জমকালো অনুষ্ঠানের জন্য এসব শাড়ি হতে পারে আদর্শ পোশাক।
এপ্লিক বা কাটওয়ার্কের মসলিনের শাড়িগুলো অত্যন্ত চমত্কার ও জমকালো হয়। অনুষ্ঠানের পোশাক হিসেবে বেছে নিতে পারেন এগুলোও। হাতের কাজের মসলিন শাড়িও উত্সব-অনুষ্ঠানের পোশাক হিসেবে মানানসই।
শাড়ি যেমনই হোক না কেন তার সাথে থাকা চাই মানানসই সাজসজ্জা! মেকআপের শেড বাছুন শাড়ির রঙের সাথে মিলিয়ে এবং অবশ্যই দিন-রাতের পার্থক্যের ব্যাপারটি মাথায় রেখে। যেকোনো রঙের মসলিন শাড়ির সাথে ন্যাচারাল রঙের লিপস্টিক খুব মানিয়ে যায়। অথবা ব্যবহার করতে পারেন শাড়ির সাথে মানানসই রঙের লিপস্টিক। টিপ পরতে চাইলে একেবারেই সাদামাঠা না পরে একটু গর্জিয়াস টিপ পরুন। হতে পারে সেটা স্টোনের অথবা মেটালের কাজ করা।
শাড়িতে খোলা চুল বেশি ভালো লাগলেও গরম বলে অনেকেই শাড়ির সাথে খোঁপাটাই করছেন বেশি। খোঁপা করলে তাতে গুঁজে দিতে পারেন রূপার কাঁটা। এতে মসলিন শাড়ির আভিজত্য ও আপনার সৌন্দর্য আরো ফুটে উঠবে। ফ্রেঞ্চবেণীও শাড়ির সাথে মানিয়ে যাবে। সাজসজ্জায় স্নিগ্ধতা আনতে চাইলে চুলে পরতে পারেন ফুল। এখন বেলীফুলের মৌসুম। সুগন্ধী বেলীফুলের কয়েকটি মালা আলগোছে জড়াতে পারেন আপনার খোঁপা বা বেণীতে।
সাজগোজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যাগ ও জুতা। আজকাল কাতান ও বেনারসি কাপড়ের তৈরি ক্লাচব্যাগ পার্টিব্যাগ হিসেবে চলছে খুব! হাতে নিতে পারেন এমনই একটি ব্যাগ। ছোট বটুয়াও হতে পারে অনুষ্ঠানের উপযোগী। স্যান্ডেলের ব্যাপারে আরামটাই আগে। তাই আরামদায়ক ও শাড়ির সাথে মানানসই স্যান্ডেলই হোক আপনার সঙ্গী!
0 comments:
Post a Comment