সহকর্মীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে


জীবনে সফল হতে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনার কাজের ধরন, দক্ষতা এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ - এ সব কিছুর সুষ্ঠু সমন্বয়ই হলো সাফল্যের চাবিকাঠা। আপনি যত ভালো কাজই জানুন না কেন, সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক না থাকলে কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা হয়ে ওঠে না। সহকর্মীদের সাথে নেটওয়ার্কিং বা যোগাযোগের অভাব হলে পিছিয়ে পড়বেন আপনি নিজেই। কাজের দক্ষতা বাড়াতেও প্রয়োজন সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক। একজোট হয়ে কাজ করতে সহকর্মীদের মাঝে বোঝাপড়া থাকাটা খুবই জরুরি। কিন্তু এই সম্পর্ক গড়ে তোলা, তাকে সমৃদ্ধ করা এবং তাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়।

সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার জন্য রইল কিছু পরামর্শ -

*আপনার সহকর্মীদের মধ্যে সবাই যে আপনার সমমনস্ক হবে, এমন কোনো কথা নেই। তবুও সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।
*কারো সাথে ব্যক্তিত্বের সংঘাত হয় এমন কথা ও আচরণ এড়িয়ে চলুন। কারো সাথে যেন অযথা মনোমালিন্য না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারো সাথে মতানৈক্য হতেই পারে কিন্তু নিজের ইগো নিয়ন্ত্রণে রেখে সেটা বেশিদূর এগোতে দেবেন না।
*অফিসের আড্ডায় যোগ দিন। সহকর্মীদের সাথে কারো ব্যক্তিগত কুত্‍সায় যোগ না দিয়ে হালকা মেজাজে হাসিঠাট্টায় যোগ দিন। এতে মনমেজাজ ভালো থাকবে আবার অন্যদের সাথে সম্পর্কও সহজ হয়ে উঠবে।
*কাজের ব্যাপারে সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করুন এবং দলবদ্ধ কোনো কাজ হলে মিটিংয়ে সপ্রভিত অংশগ্রহণ করুন।
*সহকর্মীদের সাহায্য করুন এবং প্রয়োজন পড়লে তাদের সাহায্য নিন। সাহায্য চাওয়ার ব্যাপারে লজ্জা পাবেন না। কারণ কাজ শেখার ক্ষেত্রে বয়েস, পদ বা অভিজ্ঞতা সব সময় কার্যকর নাও হতে পারে। কাজে আটকে গেলে অভিজ্ঞ সহকর্মীদের পরামর্শ যেমন প্রয়োজন হয়, তেমনি কাজে একেবারে নতুন, বয়সে ছোট সহকর্মীও আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
*টিম মিটিং চলার সময় কাজ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলে প্রশ্ন করুন। এমনকি কাজ বুঝে উঠতে না পারলে সেটাও জানান।
*সহকর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে পুরোপুরি নিরাসক্ত থাকবেন না। মাঝে মাঝে তাদের বাড়ির খোঁজখবর নিন। সহকর্মীর বাড়িতে কোনো সমস্যার কথা জানা থাকলে সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করুন।
*কারো হঠাত্‍ করে শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে প্রয়োজনে নিজে একটু বেশি খেটে তাকে একটু আরাম করতে দিন। এভাবেই সহানুভূতির একটা বন্ধন গড়ে উঠবে। নিজেকে কাজের জায়গায় কখনো একা মনে হবে না।
*আপনার সহকর্মীদের মধ্যে যারা ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। প্রয়োজনে তাদের সাথে আলাদাভাবে কাজের ব্যাপারে আলোচনা করুন। একসাথে অফিসের নানা সমস্যার সমাধান করুন। এতে কাজের প্রতি উত্‍সাহ বাড়বে।
*যেসব সহকর্মী সন্দেহপ্রবণ ও সমালোচনাপ্রিয় তাদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
*আপনার কর্মক্ষেত্রের হয়তো একটা কাজের ধারা আছে, যেটা আপনার মনমতো নাও হতে পারে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নিয়মের মতো এই কাজের ধারা মেনে চলাটাও আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর যদি মনে হয় এতে বেশ বড় ধরনের কোনো সমস্যা আছে, তাহলে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
*কোনো ব্যক্তিবিশেষের নামে অভিযোগ করলে অশান্তি বেড়েই চলবে! তাই সহকর্মীদের সাথে কারো সমালোচনা করতে চাইলে সেটা অফিসের বাইরে গিয়ে করুন।
*নিজের চিন্তাভাবনা বা ধ্যানধারণা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। প্রত্যেকেরই কাজের একটা নিজস্ব ধরন থাকে, সেই নিজস্বতাকে সম্মান করে চলুন।
*সহকর্মীদের আইডিয়া খোলামনে বিবেচনা করুন। আপনার চেয়ে ভালো আইডিয়া দিতে পারে বলে কারো জন্য মনে বিদ্বেষ পুষে রাখবেন না।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!