ইদানিং প্রতিটি সম্পর্ক নিয়েই মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে
দাম্পত্য সম্পর্ক হলে যেন অভিযোগ সবচাইতে বেশি। প্রতিটি বিষয় নিয়েই আজকাল
দম্পতিদের মাঝে দেখা দিচ্ছে নানান অসন্তোষ ও অভিযোগ। ফলে দাম্পত্য
সম্পর্কগুলো হারিয়ে ফেলছে মধুরতা।
দাম্পত্য সম্পর্ককে মধুর করে তুলতে চাইলে কিছু বিশেষ অভ্যাস রপ্ত করা
প্রয়োজন। হঠাৎ হঠাৎ নয়, বরং প্রতিদিনের জন্য। প্রতিদিন এই ছোট্ট কাজগুলো
করার বিশেষ অভ্যাস দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে
সম্পর্কের প্রতি বিরক্তি দূর করে ফেলে খুব সহজেই। জেনে নিন দাম্পত্য
সম্পর্ক মধুর করে তোলার সেই বিশেষ অভ্যাসগুলো সম্পর্কে যেগুলো রপ্ত করে
নেবেন প্রতিদিনের জন্য।
একই সময়ে ঘুমানো
দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে দুজনে ঘুমিয়ে পড়ুন একই সময়ে। সারাদিনের ছোটখাটো
গল্প আর ভালোবাসার মিষ্টি মিষ্টি কথায় ঘুমানোর আগের সময়টা বেশ ভালো কাটবে
দুজনের। এতে সম্পর্কটাও আরো মধুর হয়ে উঠবে।
একই ধরণের শখ
আপনার সঙ্গীর শখ গুলোর প্রতি আগ্রহ দেখান। এতে আপনার সঙ্গীও আপনার শখ
গুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন। আপনার সঙ্গীর কোনো শখ যদি আপনার বিরক্তির
কারণ হয়ে থাকে তাহলে সেটা তাকে বুঝতে দেবেন না। এতে সম্পর্কটা আরো সুন্দর
হবে। সেই সঙ্গে কেটে যাবে সম্পর্কের একঘেয়েমি।
হাত ধরে হাঁটা
প্রেমের শুরুতে কিংবা বিয়ের পর পর হাত ধরেই হাঁটতেন দুজনে। কিন্তু
কিছুদিন যাওয়ার পরই হাঁটতে শুরু করেছেন নিজেদের মত করে। সেই পরস্পরকে ছুঁয়ে
থাকার স্বভাবটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। আবারো ধরে ফেলুন সঙ্গীর হাতটি।
কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যেসব দম্পতি হাত ধরে হাঁটেন তাদের
নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা ও নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি হয় যা সম্পর্ককে সুখের করে
তোলে।
কাজ শেষে দেখা হলেই আলিঙ্গন করা
সারাদিন দুজনেই ব্যস্ত সময় কাটান। দিন শেষে দেখা হয় দুজনের। এই
সারাদিনের দেখা না হওয়ার দূরত্বটা নিমিষেই ঘুচে যাবে যদি আপনি দিন শেষে
দেখা হওয়া মাত্র আপনার সঙ্গীকে আলিঙ্গন করেন। প্রতিদিনের এই অভ্যাসটি আপনার
সম্পর্কটাকে সুন্দর রাখবে।
প্রতিদিন ‘ভালোবাসি’ বলা
সম্পর্কটা যতদিনের পুরোনোই হোক না কেন প্রতিদিনই সঙ্গীকে একবার করে
ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন। ভালোবাসার কথা প্রতিদিন জানিয়ে দিলে সম্পর্ক
কখনোই পুরনো হয়না।
সঙ্গীর দোষের বদলে গুণ খুঁজুন
বেশিরভাগ দম্পতিই সঙ্গীর দোষ খুঁজে বেড়াতে পছন্দ করেন। ফলে সম্পর্ক ভালো
হওয়ার বদলে উল্টো খারাপ হতে থাকে। তাই অহেতুক সঙ্গীর দোষ না খুঁজে চেষ্টা
করুন গুণ গুলো খুঁজে বের করার।
নুসরাত শারমিন লিজা
0 comments:
Post a Comment