একজন ভালো মানসিকতার মানুষ কখনোই চান না তার সম্পর্কটিতে ভাঙন আসুক। যখন
একটি সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া হয় তখন আসলে কেউই ভাবেন না সম্পর্কটিতে আসতে
পারে ভাঙন। সরে যেতে হতে পারেন পরস্পরের কাছ থেকে। যিনি কিছু আদর্শ নিয়ে
মানুষ হয়েছেন তিনি কখনোই চাইবেন না ছোটোখাটো ব্যাপার নিয়ে সম্পর্কে
টানাপোড়নের সৃষ্টি হোক। বরং চাইবেন কীভাবে সম্পর্কের টানাপোড়ন দূর করা যায়।
কিন্তু শত চেষ্টার পরও সম্পর্কে চলে আসে ভাঙন। না চাইলেও সরে আসতে হয়
পছন্দের মানুষটির কাছ থেকে। ভেঙে ফেলতে হয় তিলে তিলে গড়ে তোলা ভালোবাসার
সম্পর্কটি। কারণ সম্পর্কটি বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল। একটি দমবন্ধ করা সম্পর্কে
থাকার চাইতে একা থাকা অনেক ভালো। কিন্তু কখন বুঝবেন আপনার সম্পর্কটি
বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে? কিছু লক্ষণই তা বলে দেবে।
একে অপরকে আর বিশ্বাস করতে পারছেন না
বিশ্বাস হলো ভালোবাসার মূল ভিত্তি। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের
সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে সঙ্গীকে বিশ্বাস করা। কিন্তু যদি আপনি
আপনার সঙ্গীর কর্মকাণ্ডে অথবা আপনার সঙ্গী আপনাকে আগের মতো বিশ্বাস করতে না
পারেন। বেশিরভাগ সময় সন্দেহের চোখে দেখতে থাকেন তবে আপনাদের সম্পর্কটি
থেকে সরে আসাটাই মঙ্গল। কারণ বিশ্বাস না থাকলে সেখানে ভালোবাসা থাকে না। আর
সে সম্পর্কে ভালোবাসা নেই সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বোকামি।
তার সাথে সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না
একটি ভালোবাসার সম্পর্কের শুভ পরিনতি হচ্ছে বিয়ে। সম্পর্কে জড়ানোর সময়
ভবিষ্যতের নানা মুহূর্তের স্বপ্ন নিয়েই মানুষ সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু যদি
আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী সব সময়ই বিয়ে প্রসঙ্গ আসার সাথে সাথেই প্রসঙ্গ
পাল্টে ফেলতে চান। অথবা তিনি সম্পর্কটিকে বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে না চান তবে
সেই সম্পর্ক রেখে আসলে কোনোই লাভ নেই। আর সাথে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ না দেখলে
সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসুন।
আপনাদের মধ্যকার আকর্ষণ কমে গিয়েছে
নতুন নতুন প্রেমের সম্পর্কে কাছাকাছি থাকতে চাওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে।
সেটা শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই হয়ে থাকে। এর সাথে থাকে একজন অপরজনের প্রতি
তীব্র আকর্ষণ। কিন্তু দিন যাওয়ার সাথে সাথে সেই আকর্ষণে যদি ভাটা পড়ে যায়
তবে বুঝতে হবে এই সম্পর্ক আপনার জন্য সঠিক নয়। একে অপরকে সত্যিকার অর্থে
ভালোবেসে থাকলে আকর্ষণ চিরকালই থাকবে। এই আকর্ষণবিহীন দূরত্বময় সম্পর্ক
থেকে সরে যাওয়াই ভালো।
আপনাদের কথা বলা মানেই ঝগড়া হওয়া
সম্পর্কে জড়ালে খানিকটা রাগ অভিমান ও ঝগড়া বিবাদ হয়েই থাকে। কিন্তু তার
মানে এই নয় যে আপনারা একে অপরের সাথে কথা বললেই আপনাদের মধ্যে ঝগড়া হবে। এর
থেকে বোঝাই যায় আপনাদের মানসিকতা মিলছে না। বা কোনো কারণে সম্পর্কে এতোটা
তিক্ততা এসে গিয়েছে যে আপনারা ঝগড়া করা ছাড়া সাধারণ কথা বলতে পারছেন না। এই
পরিস্থিতিতে সম্পর্ক আর এগিয়ে না নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
শান্তির চাইতে অশান্তিতে বেশি ভুগছেন
একজন মানুষ একটি সম্পর্ক গড়ে তোলেন মানসিক শান্তি পাওয়া জন্য। সঙ্গীর
সাথে সব কিছু শেয়ার করে মানসিক চাপ মুক্ত থাকার জন্য। একটু মানসিকভাবে
সাপোর্ট পাওয়ার জন্য। কিন্তু যদি দেখেন আপনার সম্পর্কটি আপনাকে শান্তির
চাইতে অশান্তিতেই বেশি রেখেছে তবে আপনার নিজেরও সম্পর্কের প্রতি বিরক্তির
সৃষ্টি হবে। এ অবস্থায় যদি সম্পর্ক টিকে থাকে তবে তা হবে জোর করে টিকিয়ে
রাখা। এর চাইতে সম্পর্ক থেকে সরে আসাই ভালো।
আপনাদের সম্পর্কে একপক্ষের অনুপস্থিতি
সম্পর্ক দুজনের মাধ্যমে তৈরি হয়। এখানে দুজনের সমান উপস্থিতির প্রয়োজন
রয়েছে। দুজনের সমান প্রচেষ্টায় একটি সম্পর্ক এগিয়ে চলে। কিন্তু যদি আপনি
মনে করেন আপনি আপনার সঙ্গীকে তার চেষ্টার প্রতিদানে কিছু দিতে পারছেন না
অথবা আপনার সঙ্গী আপনার চেষ্টার প্রতিদানে কিছু করছেন না তবে বুঝে নেবেন
আপনাদের সম্পর্কে একপক্ষের উপস্থিতি নেই। এই ধরণের সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ
নেই। সুতরাং এই সম্পর্ক না রেখে সরে যাওয়াই মঙ্গল।
Khub Sundhor .........
ReplyDelete