সারাদিন অফিস এর কাজ করে শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছিল, তাই আমার রুম মেইট কাজী শামীম ভাইকে নিয়ে হাটতে বের হলাম। ঘন্টা খানেক হাটার পর আমরা কাশিপুর খেয়াঘাট ব্রিজে পৌছে গেলাম। ব্রিজটা একেবারে ছোট নয় ২১০.১৫ মিটার। আমার কাছে এটাই প্রথমবার এই ব্রিজে আসা , হয়ত শামিম ভাই অনেকবার এসেছে এখানে।
আমরা ব্রিজে পৌছে মাঝ খানে গিয়ে বসলাম । হালকা বাতাস বইছে, নিরব নদী, উপরে আমরা দুটি মানুষ । কিছু সময় পর অনুভব করলাম সত্যিই নদী আমাদের মনের কষ্ট গুলোকে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলিয়ে দিতে পারে। মনটা সত্যিই সতেজ ও নির্মল লাগে।
কিছু সময় গল্প করার পর আমরা লক্ষ্য করলাম নদীটার প্রায় অর্ধেকটা কে বা কারা ভরে ইমারত বানানোর চেষ্টা করছে। হায়রে মানুষ, আমাদের মত গরিব মানুষগুলো যে এই নদীর কাছে এসে মনের কষ্টগুলো একটু ভুলে থাকবে তাও পারবে না। কারণ হয়ত আর কিছু দিনের মধ্যে এদেশে আর কোনো নদিই থাকবেনা। এই নদীগুলো যারা ভরাট করে তারা তো অনেক ধনী মানুষ, তাদেরত কোনো কষ্ট নেই, তারা তো কষ্ট ভোলার জন্য কখনো নদীর কাছে যায়না, তাই হয়তো তাদের কাছে নদীর গুরুত্ব নেই ! আর নেই বলেই আমাদের এই ভালো লাগাটুকুর তাদের কাছে কোনো মুল্য নেই ।
নদীর আবার মুল্য আছে ! কথাটা কেমন জানি শোনা যায় তাইনা। সত্যিই ! যেদিন আমাদের দেশের সব নদীগুলো শেষ হয়ে যাবে, সেদিন বোঝা যাবে নদীর মুল্য কতটুকু, কোনো জিনিস না হারালে এর প্রয়োজন অনুভব করা যায়না !
পরে আবার লিখব !
0 comments:
Post a Comment