হ্যাঁ, মনের ওপরে জোর চলে না। এটাও ঠিক যে ভেবে চিনতে প্রেম হয় না কিংবা
হতে পারেও না। কিন্তু তাই বলে জীবনে একটু বাস্তববাদী তো হতেই হবে। তাই না?
কর্মক্ষেত্রে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া, কিংবা প্রেম করে বিয়ে করার
ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে। তবে সেই সাথে সেসব নিয়ে হরেক প্রকার ঝামেলাও কিন্তু
হয়েই থাকে। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই কর্মক্ষেত্রের প্রেম নিয়ে আসে
নানান রকম ঝামেলা। তবে হ্যাঁ, সেগুলোর ধরণ হয় ভিন্ন আর যন্ত্রণাও। তাই
সমাধানও হয় একেকরকম।
আমাদের আজকের ফিচার কর্মক্ষেত্রে পুরুষের প্রেম নিয়ে। হয়তো কাউকে খুব
ভালো লাগছে আপনার, কিংবা কারো সাথে মাত্রই জড়িয়ে গিয়েছেন প্রেমের সম্পর্কে।
কিন্তু যেহেতু সম্পর্কটা তৈরি হয়েছে আপনার কাজের জায়গায়, তাই কিছু ব্যাপার
অবশ্যই ভেবে দেখা প্রয়োজন। কেন? কারণ এগুলো ভেবে না দেখলে বিপদে জড়িয়ে
যাবেন আপনি নিজেই। যত যাই হোক, নিজের ক্যারিয়ারটি নিশ্চয়ই আপনার কাছে
প্রিয়। তাই না?
মেয়েটি আপনার যোগ্য তো?
যেহেতু একই অফিসে কাজ করেন তাই যোগ্যতার পরিমাপ সবার আগে জরুরী। নিজের
জুনিয়র কারো সাথে সম্পর্ক হতেই হবে। কিন্তু কর্পোরেট স্ট্যাটাসে অনেক নিচে
কারো সাথে প্রেম করতে যাবেন না। যেমন আপনি বস হয়ে যদি টেলিফোন অপারেটরের
প্রেমে হাবুডুবু খান, তাহলে সকলের চোখে আপনার ইমেজ নষ্ট হতে সময় লাগবে না।
পরকীয়া একদম নয়
হ্যাঁ, পাশাপাশি কাজ করতে গেলে ভালোবাসা হয়ে যেতেই পারে। ভালোবাসার তো
আর বাঁধাধরা নিয়ম নেই। কিন্তু বিবাহিতা কারো সাথে সম্পর্ক একদম যাওয়া চলবে
না। যদি সত্যিই সিরিয়াস সম্পর্ক হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে দুজনের একজন দ্রুত
কর্মক্ষেত্র বদলে ফেলুন।
ফেঁসে যাচ্ছেন না তো?
অনেক মেয়ের জীবনেই লক্ষ্য থাকে নিজের অফিসের সবচাইতে পয়সাওয়ালা বা যোগ্য
ছেলেটিকে পটিয়ে বিয়ে করে ফেলা। এখানে আসলে ভালোবাসা নয়, নিজের স্বার্থ কাজ
করে। তাই ভালো করে খতিয়ে দেখুন।
দুজনের মাঝে প্রতিযোগিতা হবে কি?
এটা ভেবে দেখাও খুব জরুরী। প্রেম তো করে ফেললেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্রে
যদি প্রতিযোগিতা চালিয়ে যান, তাহলে কিন্তু সম্পর্ক ভাঙতে দেরি হবে না।
আপনি ব্যবহৃত হচ্ছেন না তো?
এমনও তো হতে পারে যে মেয়েটি কেবল কর্মক্ষেত্রে সময় কাটাচ্ছে আপনার সাথে।
কিংবা আপনার কাছ হতে কাজ শেখার জন্য বা কোন বিশেষ সুবিধা পাওয়ার জন্য
আপনাকে ব্যবহার করছে। প্রেমিকা যতই আপন হোক, কাজের ক্ষেত্রে মোটেও কোন রকম
অন্যায় ছাড় দেবেন না কিংবা তাঁর কাজ নিজে করে দেবেন না।
প্রিয় লাইফ
0 comments:
Post a Comment