কাজে চাপ এবং নানা ধরনের জীবনযাপনের সমস্যায় পড়ে অনেকেই মানসিকচাপে ভুগে থাকেন। সব চাইতে বেশি সমস্যা হয় তখন, যখন কর্মক্ষেত্রের কোনো ব্যাপার নিয়ে মানসিক চাপ নেয়া হয়। ধরুন, কাজ করতে করতে মাথা ঝিম ধরে গিয়েছে, কিংবা চাপের জন্য মনোযোগ দিতে পাড়ছেন না, অথবা কোনো কাজ করতে চাইছেন কিন্তু পাড়ছেন না, আবার কেউ আপনার নামে সমালোচনা করছে অথবা কেউ আপনার বিরুদ্ধে পলিটিক্স খাটাচ্ছে ইত্যাদি।
এইসকল মানসিকচাপ কর্মক্ষমতার ওপরে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে কাজের ইচ্ছা, স্পৃহা সবই কমে যায়। এতে করে আপনি নিজেই পড়তে পারেন বিপদে। আপনার কর্মদক্ষতা কমে এলে আপনি অফিসের বসের চোখে হয়ে যেতে পারেন অলস প্রকৃতির কর্মকর্তা। তাই কর্মক্ষেত্রের এইসকল মানসিক চাপ থেকে যতো দূরে থাকা সম্ভব ততোই ভালো।
একটানা কাজের মধ্যে ডুবে না থেকে কিছুক্ষণ রিলাক্স করুন
একটানা কাজ করে চললে মানসিক চাপটা আরও বেশি বেড়ে যাবে যা আপনার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। যতোই কাজের চাপ থাকুন না কেন নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে খানিকক্ষণ রিলাক্স করে নিন। মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। মাত্র ১০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে দেখতে পারেন। অনেকটা মানসিক চাপ কমে যাবে। কিংবা করতে পারেন ৫ মিনিটের মেডিটেশন। তাতেও ভালো ফল পাবেন।
ভিত্তিহীন কথা কানে তোলা বন্ধ করুন
আপনি যেমনই থাকুন না কেন এবং যাই করুন না কেন মানুষ আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করবেই। আপনি যেহেতু জানেন যে কথাগুলো হচ্ছে আপনাকে নিয়ে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন তাহলে তা আপনি নিজের কানে তুলে কেনো নিজের কর্মস্পৃহা কমিয়ে আনবেন? কথা কানে তুলবেন না। নিজের মতো কাজ করে চলুন। দেখবেন আপনাআপনিই কথা বন্ধ হয়ে যাবে।
চা/কফি পান করুন কাজের ফাঁকে
অনেক বেশি কাজের চাপ হলে তার কারণেই জন্মায় মানসিক চাপ। কমে আসে দেহের সুগার লেভেল। আরও বেশি সমস্যায় পড়ে যান তখন। একটি কাজ করুন। ১ কাপ কফি বা চা পান করে নিন। চা পানের সাথে দু একজন কলিগের সাথে খানিকক্ষণ আড্ডাও দিতে পারেন। এতে করে মানসিক চাপ কমে যাবে এবং আপনার দেহের সুগারের মাত্রাও ঠিক হয়ে যাবে। আবার এই ছোট্ট কাজে কলিগদের সাথেও সুসম্পর্ক হবে।
0 comments:
Post a Comment