প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার সঠিক সময় কোনটি?

বেশ অনেক দিন তো হয়ে গেলো দুজনের সম্পর্কের। বাসায় বলবো বলবো বলা হয়নি এখনো। ঠিক বুঝতেও পারছেন না যে বিয়ে করার সময় হয়েছে, নাকি হয়নি। এখনই বিয়ে করলে দুজনের মনের মিল হবে কিনা তাও বুঝতে পারছেন না। ভাবছেন আরো কিছুদিন সময় যাক, আরো একটু বুঝে শুনে তারপরই বিয়ে করবেন।
বেশিরভাগ যুগলই বেশ অনেকদিন প্রেম করার পরেও দোটানায় থাকে। বিয়ে করা উচিত হবে নাকি হবে না এটা নিয়ে বিয়ে করার সময়েও দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগেন অনেকে। বিয়ের জন্য যোগ্য হয়ে গেলে প্রেমের একটি নির্দিষ্ট ধাপে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আসুন দেখে নেয়া যাক ৫টি বিষয় যেগুলো মিলে গেলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

একে অপরকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে না হলে

ভালোবাসার প্রথম কিছু সময় একে অপরের মনোযোগ আকর্ষন করতেই বেশ খানিকটা সময় চলে যায়। প্রিয় মানুষটি কি ভালোবাসে, কিভাবে আপনাকে সে দেখতে চায় এসব মাথায় রাখতে হয় সবসময়। আপনাকে সুন্দর দেখাচ্ছে কিনা তা নিয়ে খুব বেশি সচেতন থাকার প্রয়োজন হয় প্রথম দিকের সময়গুলো। সম্পর্ক কিছুটা পুরোনো হয়ে গেলে একে অপরকে আকর্ষণ করার খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। কারণ দুজন মিলে বেশ খানিকটা সময় পার করে ফেলেছেন। আর এই সময়ের মধ্যে দুজনের ভালো লাগা খারাপ লাগা সবই বেশ ভালো করেই জানা হয়ে গেছে আপনাদের। দুজনের প্রতিই দুজনের টান বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। তাই আগের মতো এতোটা প্রস্তুতি না নিলেও চলে আকর্ষণের জন্য। আপনাদের সম্পর্কটা যদি এরকম হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিন আপনাদের সম্পর্ক বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে।

পুরোপুরি বিশ্বাস করে ফেলেছেন

সম্পর্কের প্রথম দিকে একে অপরের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। কিন্তু বেশ কিছুদিন পার হলেই বোঝা যায় যে যার সাথে আপনার সম্পর্ক আছে সে বিশ্বাস করার যোগ্য নাকি অযোগ্য। দুজনে একটি সম্পর্কের বাঁধনে বেশ কিছুদিন মেলামেশা করে দেখুন আপনি যার সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছেন তাকে আসলেই বিশ্বাস করা যায় নাকি। সে যদি বিশ্বাস করার যোগ্য হয় তাহলে আপনার মনের অজান্তেই আপনি তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করা শুরু করবেন। আর অবিশ্বাস করার মতো হলে সেই সম্পর্কে শুধু শুধু বিয়ে পর্যন্ত টেনে না নেয়াই ভালো। কারণ একবার যেই ব্যক্তি বিশ্বাস ভাঙে তাকে কোনো দিনই আবার পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায় না। আপনার যদি আপনার সঙ্গীর উপর মন থেকে পুরোপুরি বিশ্বাস এসে গিয়ে থাকে তাহলে আপনাদের সম্পর্কটিকে বিয়ের পরিণতি দেয়ার সময় হয়েছে।

সবচেয়ে কাছের বন্ধু

একটি সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পায় যখন দুজনের দুজনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে যায়। আমাদের দেশে এখনো অসংখ্য দম্পতি আছেন যারা বিয়ে করে পুরো জীবনটা কাটিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু একে অপরের বন্ধু হতে পারেন নি। প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে বন্ধুত্ব না থাকলেও বিয়ে করে সংসার করা যায় কিন্তু পরিপূর্ণ সুখ পাওয়া যায় না। তাই সম্পর্কের একটি পর্যায়ে এসে যদি একে অপরের খুব ভালো বন্ধু হয়ে যেতে পারেন তাহলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন।

সচ্ছলতা

বিয়ে করতে স্বাবলম্বী হতে হবে। কারণ অভাব এবং ভালোবাসা এক ঘরে থাকতে পারেনা। তাই তখনই বিয়ে করা উচিত যখন একটি ছেলের তার স্ত্রীর দ্বায়িত্ব নেয়ার মত স্বচ্ছলতা থাকে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি দুজনেই উপার্জনক্ষম হয়। তাহলে সংসারে সমান অবদান রাখা যায়। তাই পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে চাকরীতে ঢোকার পরই বিয়ের কথা ভাবা উচিত, তার আগে নয়।

আজীবন’ শব্দটি উপলব্ধি করতে পারবেন

হয়তো অনেককেই বলেছেন যে তার সাথে আজীবন থাকবেন। কিন্তু তার কয়েকমাস পরেই আজীবন এক সঙ্গে থাকার ইচ্ছেটা চলে গিয়েছে। এমন তো হতেই পারে। সবার সাথে তো আর মনের মিল হয়না। আপনি যাকে ভালোবেসে বিয়ে করার কথা ভাবছেন তার সাথে কি কখনো মন থেকে আজীবন থাকার কথা ভেবেছেন? কল্পনা করেছেন কখনো দুজনেই বুড়ো বুড়ি হয়ে একসঙ্গে বারান্দায় বসে চা খাচ্ছেন আর গল্প করছেন? যদি মন থেকে এসব ভেবে থাকেন এবং জীবন কাটানোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে বিয়ের কথা ভাবুন।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!