ভালবাসা পাপ নয়, ভালবেসে অস্বীকার করাটা পাপ । ভালবাসা অপরাধ নয়, ভালবেসে ভুলে যাওয়াটা অপরাধ । ভালবাসা দোষ নয়, ভালবেসে প্রতারণা করাটা দোষ ।
আপনি কি জানেন ভদ্র, সৎ, বাবা মায়ের বাধ্যগত ছেলেরা কিন্তু সুন্দরী বউ পায়না । সুন্দরী মেয়েরা এদের প্রেমে পরেনা আর পরাও উচিত নয় । কারন এরাই বাবা-মায়ের চাপে ভালাবাসা অস্বীকার করে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভূলে যায়, ক্যারিয়ারের জন্য প্রতারণা করে। আর যারা অভদ্র, অসৎ, বাবা মায়ের অবাধ্য ছেলে, তারাই সুন্দরী বউ পায় । কারণ সুন্দরী মেয়েরা এদের প্রেমে পরে এই ভেবে যে ওরা যদি একবার কারো প্রেমে পরে, তার জন্য বাকি সব ছেড়ে দিতে পারে । কখনও কোন কিছুর বিনিময়ে ওরা ভালবাসাকে অস্বীকার করেনা, ভুলে যায়না, ওরা ভালবাসার চেয়ে ক্যারিয়ারকে বেশি গুরুত্ব দেয়না, তাই ক্যারিয়ারের মিথ্যা দোহাই দিয়ে প্রতারণাও করেনা ।
তাছাড়া কোন মেয়েই চায়না, বিয়ের পর তার সংসার সম্পর্কে তার শাশুড়ি/পরিবারের অন্যরা অতিরিক্ত নজরদারি করুক, মিনিমাম স্বাধীনতাটুকু থেকে বঞ্চিত করুক । সবাই চায় তার একটা আলাদা সংসার হবে, নিজের একটা পৃথিবী থাকবে, তার আর স্বামীর মাঝে বৈধ/অবৈধ দেয়াল থাকবেনা, হারিয়ে যাওয়ায় থাকবেনা কোন সময় জ্ঞান কিংবা সংকোচ আর বাধা বিপত্তি, নিজেকে ভালবাসার মানুষটির সামনে প্রকাশ করায় না থাকবে কোন লজ্জা, কিংবা শালীনতার মিথ্যা দেয়াল, না থাকবে কোন ফিসফাস কোন কানাঘুষো, দরজা খোলা রাখা বন্ধ রাখা নেই কোন পরোয়া, নিজের পৃথিবীতে শুধু দুটো মানুষের স্পর্শ, শুধু দুটো মানুষের নিশ্বাস, শুধু দুটো দেহের কর্দমাক্ত ঘামের গন্ধ, থাকবেনা কোন পিছুটান, শুধু দুটো মানুষকে ঘিরে হারিয়ে যাওয়া সকাল, দুপুর ও পড়ন্ত বিকেল, আর সোনালী সন্ধ্যা । তাই বেশিভাগ মেয়েই যৌথ পরিবারের চেয়ে স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকাতে বেশি পছন্দ করে । তাই বলে সবাই যে শশুড/শাশুড়িকে ভুলে কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয় তা নয় । যাক ওই প্রসংঙ্গ আর একদিন বলব ।
আজকাল ছোট্ট একটা গবেষণা করে দেখা গেছে, যে সকল মেয়েরা বিয়ের আগে হাফ ডজন প্রেম করেছে, জীবন সম্পর্কে কোন আগ্রহ নেই, প্রেম-ভালবাসা সম্পর্কে চরম অনীহা এসে গেছে তারা বিয়ের পরে যৌথ পরিবার বা একক পরিবারে বসবাসের ক্ষেত্রে কোন মতামত নেই । আর যে সকল মেয়েরা ভদ্র, সৎ, প্রেম-ভালবাসায় এখনও জড়ায়নি তারা একক পরিবারে বসবাস করতে বেশী আগ্রহী । তাদের ক্ষেত্র বেশিভাগকে দেখা যায় বিয়ের পরে স্বামীর সাথে প্রেম করতে । সংসারে একটা প্রেমের হাওয়া ও একটা রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে নেয় । আর এক্ষেত্রে ভদ্র হাবাগোবা ছেলেদের চেয়ে দুষ্ট, চালাক আর স্পষ্টভাষী ছেলেদেরকে মেয়েরা বেশি গুরুত্ব দেয় । কারণ এই সব কাজগুলো মা-বাবার ভদ্র হাবাগোবা ছেলেদের দিয়ে সম্ভব নয় ।
যেমন: সপ্তাহে অন্তত একদিন অফিস পালানো, মাসের বেতন থেকে ফুসকা আর চটপটির জন্য আলাদা কিছু টাকা তুলে রাখা, প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় কিছু নিয়ে আসা, সন্ধ্যা বেলায় বাইরে খেয়ে আসা, হাসতে হাসতে সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় বউয়ের কোমর জরিয়ে ধরা, দরজার কাছে কিংবা সিড়ির গোরায় দাঁড়িয়ে ঠোট দুটো ছুয়ে দেওয়া, একই কম্বলের নীচে জড়াজড়ি করে মেগাসিরিয়াল দেখা, রান্না ঘরে বউকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলবে আমি কি তোমাকে সাহায্য করবো?, শাড়ী পরে বেলকুনীতে বসে একই মগে কফি খাওয়া, মাঝে মাঝে 'এইচবিও' দেখা, কফির মতো স্নান শেয়ার করা, রিমোট নিয়ে হাতাহাতি করা, মিথ্যা জ্বরের ভান ধরে সেবা নেওয়া, মা-বাবার দেওয়া নাম রেখে অন্য নামে ডাকা, হাতে ব্যাথা খাইয়ে দেওয়া, আর........
।
এই কাজগুলো যৌথ পরিবারে সম্ভব নয়, তাই ভাল রোমান্টিক মেয়েদের ভদ্র, হাবাগোবা, মুখোশ পরা ছেলেদের চেয়ে দুষ্ট, স্পষ্টভাষী, বদ ছেলেদের অগ্রধীকার ভিত্তিতে পছন্দ করা উচিত, যাদের ভালবেসে আপনি এই কাজগুলো সহজে করতে পারবেন ।
আর এই কাজগুলো কতটা জরুরি তা আর আজকাল কার মেয়ে হিসেবে আপনাকে বোঝাতে হবেনা আশাকরি । আজকালকার আধুনিক জীবনে
"প্রাইভেট কোম্পানির জব হারানোর টেনশন এর চেয়েও বেশি টেনশন করতে হয়, স্বামী/প্রেমিক হারানো নিয়ে ।"
প্রাইভেট কোম্পানির জবের যতটা সিকিউরিটি আছে, ততটা সিকিউরিটিও নেই, আধুনিক যুগের স্বামীদের/প্রেমিকদের দিয়ে । তবে সবটা বাইরে থেকে দেখা যায় না, কিছুটা হারিয়ে যায় ভেতরে ভেতরে, চীরতরে ।
প্রাইভেট কোম্পানির জব যেমন প্রতি মূহুর্তে আপনার কাজ, যোগ্যতা আর সম্পর্ক দিয়ে টিকিয়ে রাখতে হয়, তাঁর চেয়েও বেশি ভালবাসা, রুপ আর শরীরের মোহ দিয়ে আজকালকার আধুনিক যুগের স্বামী/প্রেমিককে আটকে রাখতে হয়, আপনি স্বীকার করেন আর না করেন । আর যদি না করেন, তাহলে বুঝবো আপনি হারানো আর পাওয়াটাই ভাল করে বুঝছেন না হয়ত । আবার অনেক সময় নিজের বাসার পোলাও মাংসের চেয়ে পাশের বাসার ভাবীর/অন্য মেয়েদের কচু তরকারিও বেশি মজা লাগে । তাহলে বুঝবেন উপরের কাজগুলো আপনার মাঝে মিসিং, আপনাকে আরো রোমান্টিক, আধুনিক, ছলনাময়ী হতে হবে, কিংবা আপনার সঙ্গীকে ভালবাসার ভূতে ধরেছে। ধৈর্য ধরে কদিন অপেক্ষা করুন, একদিন নিজের ভুল বুঝে টাক খেয়ে ফিরে আসবে ।
ইতিকথার পরের কথা -
(জীবন ভাল মন্দ মিলিয়ে কাটবে । কিন্তু মন্দটা যখন ভালকে ছাড়িয়ে যায় তখন বেঁচে থাকতে কষ্ট হয়, তবে অসম্ভব নয় । তবে আমাদের শরীরের কোন অঙ্গে যখন পচন ধরে, কোন ঔষধে সারার সম্ভাবনা নেই, তখন আমরা যেমন ঐ অঙ্গটা কেটে বাদ দিয়ে দেই, তেমনি মাঝে মাঝে আমাদের ভূল সম্পর্কগুলো কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত । তাতে অন্তত আপনার জীবনটা বেঁচে যেতে পারে । তবে বাদ দেওয়া যদি সম্ভব না হয় তাহলে নিজেকে পালটে নিন কিংবা মানিয়ে নিন তার চাওয়া পাওয়ার সাথে । কারণ কোন সম্পর্কই ভেঙ্গে দেওয়া সমাধান, যতক্ষণ তার মাঝে খারাপটা ভালটাকে ছাড়িয়ে না যায় । তবে চোখের রোগ সব পুরুষের মাঝে আছে কমবেশি, যখন সেই রোগের জীবাণু গুলি চোখ থেকে মন পর্যন্ত পৌছে যায় তখন ঐমনে ধারণ করা অন্য সম্পর্কগুলিকেও রোগাক্রান্ত করে দেয়। তখন আর সে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায়না । তবে চোখের রোগ থাকা ভাল, নিজের মাঝে রোমান্টিকতাকে বাচিয়ে রাখার জন্য এটা দরকার । তবে কামনা করি এর জীবাণুগুলি যেন মন পর্যন্ত না পৌছায় । এব্যাপারে দুজনকেই সযাগ থাকতে হবে । শুভ রাত্রি ।)
Harrah's Lake Tahoe, Stateline, NV - Mapyro
ReplyDeleteHarrah's 세종특별자치 출장마사지 Lake Tahoe, Stateline, NV is 부산광역 출장샵 a casino resort 시흥 출장샵 located 39 miles 남양주 출장안마 west of Stateline in Stateline, Nevada. Find reviews and discounts for AAA/AARP 목포 출장안마 members,