আপনার ব্যবহারের কারণেই আপনার বান্ধবী ব্রেক আপের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কাজেই দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে জড়াতে চাইলে কয়েকটি বিষয়ের ওপর আলাদা করে আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সবকিছু চাপিয়ে দেওয়া : আপনার স্বভাব যদি হয়, সবকিছু প্রেমিকার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার। তাহলে সে স্বভাব সময় থাকতে বদলে ফেলুন। প্রেমিকার ওপর সবসময় আপনার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না। তাকে তার মতো করে ভাবতে দিন। নয়লে কখনো যদি মনে হয়, আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে তার দম বন্ধ হয়ে আসে। তাহলে সে ব্রেক আপে যাওয়াই শ্রেয় মনে করবে।
সবসময় আঠার মতো লেগে থাকা : সব সময় তার ওপর নজরদারি করবেন না। আপনার অতিমাত্রার সিরিয়াসনেস আসলে অতিমাত্রায় বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। ঘন ঘন ফোন দেওয়া। সবকিছুর কারণ জানতে চাওয়া, এসব বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন।
অতি নির্ভরশীল হওয়া : আপনি আপনার প্রেমিকার ওপর অতি নির্ভরশীল হলে জেনে রাখুন, অতি নির্ভরশীল ছেলেদের মেয়েরা পছন্দ করে না। সম্পর্কের শুরুতে হয়ত ঠিক আছে। কিন্তু আস্তে আস্তে তাকে বোঝাতে হবে যে আপনি আত্মবিশ্বাসী। যে কোন বিপদে প্রেমিকার পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আপনার আছে।
অতৃপ্ত যৌন জীবন : সারাদিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে যান। প্রিয়তম স্ত্রীর সাথে হালকা-পাতলা খুনসুটি করেই আপনি ক্লান্ত। অথবা আপনাদের যৌন জীবনে আপনার আগ্রহ একেবারেই কম। তাছাড়া স্ত্রীও এসব বলতে চায় না। এক্ষেত্রে এই একাকীত্ব মেনে নেওয়া মেয়েদের পক্ষে অসম্ভব। প্রেম-ভালবাসার কমতি মেয়েরা মেনে নিতে পারে না।
পরস্ত্রীকাতর : আপনি যদি পরস্ত্রী কাতর হন, তাহলে আপনার সম্পর্কে বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে এমন আশা করা ভুল। আপনি আপনার বান্ধবীর কাছে অন্য মেয়েদের প্রশংসা বেশি করবেন না। বন্ধুর বৌওদের তো নাই।
0 comments:
Post a Comment