ইন্টারনেট প্রেমে যে ৬টি কাজ কখনোই করা উচিত নয়!

 

বর্তমানের প্রজন্ম হলো ইন্টারনেট প্রজন্ম। ইন্টারনেট আমাদের জীবনে সব কিছুই পরিবর্তন করে দিয়েছে। মাউস ক্লিক করে যেমন বাজার করা যায় তেমনি মাউস ক্লিক করে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠছে সহজেই। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ধরণের প্রেমকে বলা হয় অনলাইন ডেটিং।

সামনা সামনি দেখা করার চাইতে অনেকেই অনলাইনে সম্পর্ক করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। তবে এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো অনলাইনে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া সহজ। অনেকেই নিজের সম্পর্কে অনেক তথ্য গোপন করে অনলাইন প্রেমে জড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নিজের সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও বিপদে পড়ছেন অহরহ। তাই প্রয়োজন কিছু সাবধানতার। আসুন দেখে নেয়া যাক অনলাইন প্রেমে কী কী করা উচিত নয়।

নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না

পরিচয়ের শুরুতেই নিজের জীবনের সকল ব্যক্তিগত কথা না বলাই শ্রেয়। এতে অপরপক্ষ বিরক্ত হয়। তাছাড়া নিজের ব্যক্তিগত কথা বলে দিলে পরবর্তীতে বিপদে পড়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেক। নিজের ফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা এগুলো প্রথমেই দিয়ে দেয়াটা বোকামি। আর ফোন নম্বর দিলেও বাসার ঠিকানা দেয়া যাবে না কিছুতেই। কারণ ফোন নম্বর বদলে ফেলা যায় প্রয়োজনে। কিন্তু বাসার ঠিকানা দিলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকেই।


আবেগে ভেসে যাবেন না, বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলুন

অনলাইনে যেহেতু টাইপ করে লিখতে হয় এবং সেগুলো পড়তেও বেশ খানিকটা সময় লাগে তাই অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা প্রথমেই না বলাই ভালো। কথা বলার সময় প্রথম দুই তিন লাইনে অপর পক্ষের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শেষের লাইনে আপনিও একটি প্রশ্ন করুন। তাহলে কথা চালিয়ে যেতে সুবিধা হবে। প্রশ্ন করে, বারবার জিজ্ঞাসা করে মানুষটি সম্পর্কে জেনে নিন যতটা সম্ভব। একটি বিষয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিছুদিন পর আবার জানতে চান। মানুষটি প্রথমে মিথ্যা বলে থাকলে পরের বার অবশ্যই তার কথা কিছুটা হলেও বদলে যাবে।


যৌন উত্তেজক কথা বার্তা এড়িয়ে যান

অনলাইনে প্রেম বলতেই অনেকেই বুঝে থাকেন যৌন উত্তেজক কথা বার্তা ও অশালীন ভিডিও চ্যাটিং। কিন্তু এগুলো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তাই অনলাইনে কথা বার্তা বলার সময় কোনক্রমেই যৌন উত্তেজক কথা বার্তা বলা উচিত না। কারো সাথে কথা বলার সময় যদি মনে হয় সে তার কথা বার্তা অশালীন তাহলে তার থেকে আগেই সাবধান হয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় এধরণের আপত্তিকর আচরণ দেখলে ব্লক করে দেয়া যাতে সে পরবর্তীতে কোনো যোগাযোগ করতে না পারে। অনলাইনে "আই লাভ ইউ" বলা মানেই যে সত্যিকারের সম্পর্ক নয়, এই ব্যাপারটা সব সময় মনে রাখুন।

মিথ্যা এড়িয়ে যান

অনলাইন প্রেমে শতভাগ সত্য বলছে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সব কথা মিথ্যা না বললেও সত্য মিথ্যা মিশিয়ে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এটা বোঝাই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। যদি সত্যিকারের একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান তাহলে নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলে ধরার জন্য মিথ্যার আশ্রয় না নেয়াই ভালো। কারণ আপনি যখন কারো সাথে মিথ্যা বলে সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছেন, তখন আপনি আসলে তার সাথে প্রতারণা করছেন। তাই সত্য কঠিন হলেও বলে ফেলা ভালো। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে, ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি সাময়িক প্রতারণা করতে পারবেন, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্ক করতে পারবেন না। কারণ মিথ্যা ধরা পড়বেই।

দেখা করার জন্য খুব বেশি অস্থির হবেন না

অনেকেই কয়েকদিন অনলাইন ডেটিং করেই দেখা করার জন্য উসখুস করতে থাকেন। মনে রাখবেন, বেশ কিছুদিন কথা বলার পর যখন একজন আরেকজনকে কিছুটা বিশ্বাস করা শুরু করে তখনই কেবল দেখা করা উচিত। এর আগে দেখা করা উচিত নয়। কারণ এধরণের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীরা সহজে দেখা করতে চায় না। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি দেখা করার প্রস্তাবটা নারী সঙ্গীর কাছ থেকেই আসে। আর প্রথমেই দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে গেলে আপনার প্রতি অপর পক্ষের শ্রদ্ধাবোধ চলে যাবে এবং আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা হয়ে যেতে পারে।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!