ঢাকা : প্রযুক্তির উন্নতি সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সম্পর্কের প্রতারণার হার। প্রযুক্তির আশীর্বাদের অপব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
স্মার্ট ফোন আর ল্যাপটপের ব্যবহারের প্রায় সমান্তরালে বাড়ছে সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটের ব্যবহার। সহজ হয়েছে যোগাযোগ, বেড়ে গেছে প্রতারণার হারও।
‘মাই চিটিং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই তথ্য প্রকাশিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মানুষকে তাদের সঙ্গী প্রতারণা করছে কিনা সেটা খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।
মাই চিটিং এর গবেষণায় দেখা গেছে-
২০১১ সালে প্রতি তিনটির মধ্যে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ফেসবুককে দায়ী করা হয়েছে।
প্রতি মাসে ৬.৩ মিলিয়ন মানুষ অনলাইন ডেটিং সাইটে লগ ইন করে।
প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন যুগল অনলাইনে পরিচিত হয়ে সামনা সামনি দেখা করে। এবং বাকি ৪ জনই মিথ্যা বলে সম্পর্ক করে।
বিশ্বাস ঘাতকতার স্বীকার ৬০% যুগলই এতো কিছুর পরেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
এরপর আবারো প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
মাই চিটিং এর কো-ফাউন্ডার ভিক্টোরিয়া কক্সেনের মতে, প্রযুক্তির অপব্যবহারে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রাখার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন লাভ হতে পারে, ঠিক তেমনি ক্ষতিও হতে পারে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে যেসব সম্পর্ক হচ্ছে ইদানিং তার বেশিরভাগই শুধুই প্রতারণা। নিজের সামাজিক ও পারিবারিক তথ্য গোপন করে অনেকেই নিষিদ্ধ এসব সম্পর্ক নিয়ে মেতে ওঠে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পরে। সেজন্য আমাদেরই সাবধানে থাকা প্রয়োজন।
0 comments:
Post a Comment