কদিন রং নাম্বারে ছেলেটির পরিচয় হয় মেয়েটির সাথে। পরিচয় থেকে গাঢ় বন্ধুত্ব। এক পর্যায়ে তা গভীর প্রেমে রুপ নেয়। দিনের পর দিন, মাসের পর রাত জেগে জেগে কথা বলত দু’জনে। ছেলেটি মাঝে মাঝে মেয়েটির মোবাইলে মোটা অংকের টাকা ফ্লাক্স্রি করে দিত। এতে মেয়েটি কৃত্রিম অভিমান করত। এভাবে চলতে থাকে দীর্ঘ ৪ বছর। এর মাঝে ছেলেটি মেয়েটির সাথে দেখা করতে চেয়েছে অসংখ্যবার। কিন্তুু নানা অজুহাতে এড়িয়ে গেছে মেয়েটি। ছেলেটি তাতে কিছু মনে করেনি। মন্ত্র মুগ্ধের মত বুদ হয়ে থাকত মেয়েটির মধু মাখা অর্পূব স্বরের যাদু মাখা কথার ফুলঝুরিতে।
শয়নে স্বপনে শুধুই তার মাথায় থাকত মেয়েটির চিন্তা। কবে তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে। ছোট্র একটা সংসার হবে। তাদের ছোট্র সংসারে একদিন আগমন ঘটবে একটা ছোট্র সোনামনির। এমনি আরও কত কিছু। কিন্তুু ভাবতে পারেনি এক নির্মম পরিনতি তার জন্য অপেক্ষা করে আছে। গত বুধবার ছিল মেয়েটির বাড়ি ফেরার কথা। ঐদিন ছেলেটির পীড়াপীড়িতে মেয়েটি ছেলেটির সাথে দেখা করতে রাজী হয়। সকাল বেলা পরিবহন থেকে নেমে মেয়েটি ছেলেটির নির্দেশিত স্থানে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এদিকে ছেলেটি দুরু দুরু বক্ষে মেয়েটির অপেক্ষায় থাকে।
এক সময় দেখে কালো কুৎসিত চলি�শোর্ধ কিম্ভুত কিমাকার এক মহিলা তারই নির্দেশিত স্থানে এসে অপেক্ষায়রত। ছেলেটি হতভম্ব হয়ে পড়ে। বিমর্ষ মনে মোবাইল বন্দ করে মেয়েটির অজ্ঞাতে স্থান ত্যাগ করে। এক সময় মেয়েটিও ফিরে যায়। এরপর ছেলেটি মার্মান্তি মানষিক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে নিশ্চুপ হয়ে যায়। ঘটনাটি সে এই প্রতিনিধির নিকট খুলে বলে এবং তার পরিচয় গোপন রাখার জন্য অনুরোধ করে। ছেলেটির বাড়ি পাইকগাছা উপজেলার রেজাকপুর গ্রামে। সে একজন পাদুকা ব্যবসায়ী। ব্যবসা করে তার জীবিকা নির্বাহ হতো। একদিকে টাকার শোক অন্যদিকে ব্যর্থ প্রেম তাকে নির্বাক করে দিয়েছে। তাইতো বারংবার সে বলেছে মোবাইলে প্রেম তার সব স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে। মোবাইলে মেয়েদের মধু মাখা অর্পূব স্বরের যাদু মাখা কথার প্রেম থেকেও সাবধান করেছে মোবাইলে প্রেমিকদের।
0 comments:
Post a Comment