বর্তমানে একটি বড় সামাজিক অবক্ষয়। মেঘলা মেঘলা দিনে এমনিতেই মন উতলা। তার
উপরে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে তো কোন কথায় নেই। উড়ু উড়ু মন তো পঙ্খিরাজ। ইদানিং
দেখা যায় সি,এন,জি অটো রিক্সার ভিতর, রিক্সার ভিতর, পার্কের ভিতর নির্জন
স্থানে অপ্রীতিকর অবস্থায় যুবক-যুবতীদের মেলামেশা করতে। একটি গল্প বলা যাক।
গতকাল সন্ধ্যার সময়। মেঘলা আকাশের কল্যাণে সন্ধ্যে একটু আগে ভাগেই চলে
এসেছে। গন্তব্য শান্তিনগর থেকে মিরপুর। এমন সময় নজরে এল আমার সি,এন,জি অটো
রিক্সার সামনের সি,এন,জি অটো রিক্সার মধ্যে এক জোড়া কপোত-কপোতী। সি,এন,জি
অটো রিক্সার পিছনের জানালা দিয়ে যতটুকু দেখা যায় আরকি! মোটামুটি ১৫” টিভি
তে লাইভ টেলিকাস্ট। পূর্ণিমার রাতে সর্প যুগলের লীলা দেখেছেন কখনো? ঠিক
তেমনি। একজন আরেকজনের মুখে যেন ছোবল মারছে। আস্টে পিষ্টে ধরে আছে, সর্প
লীলার মতন।
আমার সি,এন,জি অটো রিক্সা যখন চন্দ্রিমা উদ্যান ওরফে জিয়া উদ্যান এর সামনে দিয়ে পার হচ্ছে, দেখলাম সব রিক্সার সামনেই পরদা লাগান। তা তো হবেই। বৃষ্টি যে হচ্ছে। যারা একা বা দুটি বন্ধু বা দুটি বান্ধবী যাচ্ছে, তারাও বেশ ভাল ভাবেই আছে। জুটিও যে ভাল ভাবে নেই তা নয়। তবে তার মধ্যে বেশ কিছুই আছে নাজুক ভাবে। আগারগাঁও সিগন্যালে দাঁড়ানো সময় যা দেখালাম, তা আর বলার মতো নয়। কোনটা যে কার হাত, কার হাত কোথায়, বোঝা বড়ই মুশকিল। এত ছোট বেড রুম, ক্ষতি কি আকাশ তো বড় !!!
আরও আছে, সিনেমা হল, পার্কের নির্জন জায়গা, এমনকি বাসের সবচেয়ে পিছনের সিট।
সমস্যা হচ্ছে, ছোট ছোট বাচ্চাদের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। আর তাদের অবুঝ মন যখন বড়দের কাছে এই নিয়ে প্রশ্ন করে তখন উত্তর দেওয়া তো দুরের কথা লজ্জা ঢাকার উপায়ও খুঁজে পাওয়া যায় না।
0 comments:
Post a Comment