স্বাধীনবাংলা ডেস্ক : ওজন কমানো বা মেদহীন
পেটের জন্য বর্তমান সময়ে আমরা অনেক কিছুই করি। সাধারণত আমরা জানি পরিমিত
খাদ্য, কিছু ব্যায়াম ইত্যাদি উপকারে আসে। তবে কিছু খাদ্য আছে যেগুলো পেটের
মেদ কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমাদের অতিপরিচিত খাবার যেগুলো
নিয়মিত খেলে পেটের মেদ হ্রাস তরান্বিত হয়। আসুন এরকই কয়েকটি খাবার সম্বন্ধে
জেনে নিই।
অ্যালমন্ড বাদাম
সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর এই বাদামে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণ অত্যাবশ্যকীয় প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ই (একটি শক্তিশালী
এন্টিঅক্সিডেন্ট)। এর ম্যাগনেসিয়াম পেশি সুগঠিত করে এবং রক্তে গ্লুকোজের
মাত্রা ঠিক রাখে। গবেষণায় দেখো গেছে অ্যালমন্ড বাদাম পেটের পেশিগুলোয় চর্বি
শোষণ কমিয়ে দেয় এবং আগের চর্বিগুলোকে দূর করে। প্রতিদিন ৮-১০ টি
করে অ্যালমন্ড বাদাম খেলে আপনি এই উপকারটি পেতে পারেন।
ডিম
আপনি যদি কোন সুবিধাজনক প্রোটিনের উৎস খুজে
না পান, তাহলে ডিম হতে পারে আপনার সেই উৎসটি। অনেকদিন ধরে চালানো এক
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ডিম খান সারাদিন
তাদের তুলনামূলক কম খিদে পায়। এটি আপনাকে অন্যান্য ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া
থেকে বিরত রাখবে। প্রতিদিন সকালে একটি ডিম খেলেই যথেষ্ট।
সয়াবিন বা সয়া প্রোটিন
সয়াবিন থেকে যেমন ভোজ্য তেল তৈরী হয়, তেমনি
সয়াবিন এমনি খেতেও খুবই সুস্বাদু। মেদ কমাতে এবং শরীর ঠিক রাখতে এখন সারা
বিশ্বে সয়াবিনের জয়জয়কার চলছে। আমাদের দেশেও সয়াবিন, সয়া প্রোটিন, সয়া
নাগেটস্ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে বাজারে পাওয়া যায়। প্রতিদিন প্রায় ২৫
গ্রামের মতো সয়া প্রোটিন খেয়ে নিজেই তফাৎটা দেখে নিন।
আপেল
২০০৩ সালের নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত এক
নিবন্ধে বলা হয়েছে, যেসব মহিলা প্রতিদিন ৩টি করে আপেল তিন মাস খেয়েছেন
তাদের ওজন তুলনামূলক অনেক বেশি পরিমাণ কমেছে। আপেলে পানির পরিমাণ বেশি
হওয়ায় আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এতে কোয়ারসেটিন নামক একটি উপাদান আছে
যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
দই
আমাদের শরীরে প্রচুর ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
ক্যালসিয়ামের জন্য আমাদের দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল
জার্নাল অব অবিসিটি এর মতে, যারা ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণের জন্য বেশি
পরিমাণ দই খেয়ে থাকেন তাদের ওজন এবং পেটেরমেদ কমার হার অন্যদের চেয়ে অনেক
বেশি।
0 comments:
Post a Comment