ঢাকা : গর্ভপাতকে কেউই ভাল চোখে দেখেন না। সবাই এটিকে একটু ভিন্নভাবেই নেন। কিন্তু উত্তর আমেরিকা মহাদেশের এল সালভেদর যেন এ ব্যাপারে একটু বেশিই কঠোর। ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক কোনভাবেই গর্ভপাত বৈধ নয় দেশটিতে। এমনকি কেউ অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত হলেও তাকে কারাভোগ করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে দেশটির মহিলারাও বেশ উদ্বিগ্ন। এমনকি তাদের অভিভাবকরাও চরম হতাশাগ্রস্ত। গর্ভপাত শিশু হত্যার শামিল বলে এটিকে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
দেশটিতে যেসব মহিলারা অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত করতে বাধ্য হন তাদর ক্ষেত্রেও একই আইন বহাল থাকবে। কিন্তু এ আইন গণমানুষের বিরোধী বলেও অভিযোগ তুলেছে দেশটির জনগণ।
২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর। গ্লেন্ডা জায়োমারা ক্রাজ নামে ১৯ বছর বয়সী এক নারীর পেটে হঠাৎ চরম ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে রক্তপাত শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বলে তার গর্ভে থাকা চার মাস বয়সী শিশুর ভ্রুণটি নষ্ট হয়ে গেছে।
এঘটনার চারদিন পর তার বিরুদ্ধে ৩৮-৪০ টি ভ্রুণ হত্যার দায়ে একটি অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে গ্লেন্ডার নামে ‘সন্দেহভাজন গর্ভপাতের ’ একটি প্রতিবেদন দেয়।
এরপর গ্লেন্ডাকে দুইদফা অস্ত্রোপচারের পর ইলোপাঙ্গো ‘উইমেন প্রিজনে’ পাঠানো হয়। সেখান থেকে দীর্ঘদিন শুনানির পর গতমাসে তাকে দশমাসের কারাদ- দেয় দেশটির একটি আদালত।
এ ব্যাপারে গ্লেন্ডার বাবা বলছেন, আদালত তাঁর মেয়ের প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার করছে। কারণ, তার মেয়ে এটি ইচ্ছাকৃত করেনি।
এছাড়া গতবছর মারিয়া তেরেসা রিভারা নামের এক নারীকে অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের দায়ে ৪০ বছরের কারাদ- দেয় আদালত। বর্তমানে এল সালভেদরসহ নিকারাগুয়া, চিলি, হন্ডুরাস, ডোমিনিকান রিপাবলিকে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে কঠোর আইন মেনে চলা হয়।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দুইশ নারীকে অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের দায়ে অভিযুক্ত করে শাস্তি দেয়া হয়।
0 comments:
Post a Comment