ঢাকা : পৃথিবীর অনেক দেশেই সমকামিতাকে দেয়া হয়েছে বৈধতা, সমকামী প্রেমিক যুগলদের বিয়ের জন্য আইনও পাশ হয়েছে দেশে দেশে। এখনও অনেক দেশে আন্দোলন চলছে সমকামিতাকে আইনত বৈধ করার জন্য। প্রাচীনকাল থেকে যে সম্পর্কের অস্তিত্ব আছে, এখন আর সমাজ সেটাকে অস্বীকার করতে পারছে না। সমকামী যুগলেরা এখন ঘটা করে বিবাহ করছেন, নিজের সমকামী হবার বিষয়টিকে গোপন করার চেষ্টা করছেন না কিংবা সেটা নিয়ে লজ্জিতও বোধ করছেন না।তথ্য উপাত্ত ঘাঁটলে দেখা যায় যে বিবাহিত সমকামী যুগলদের মাঝে ডিভোর্স প্রায় নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, বিয়ে করে সন্তান দত্তক নিয়ে একটি সুখী পরিবার গড়ে তোলার দিকে তাদের আগ্রহ অনেকটাই বেশী স্বাভাবিক যুগলদের চাইতে।
স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে সমকামিতার নেপথ্য কারণ কেবলই যৌনতা নয়। বরং এর গভীরে হয়তো আছে আরও অর্থবহ কিছু একটা। এখানে ভুলে গেলে চলবে না যে পৃথিবীর প্রত্যেক দেশেই সমকামিতাকে সামাজ ও ধর্ম বিরুদ্ধ কাজ হিসাবেই দেখা হয়।
সমকামিতা বৈধ-অবৈধ, খারাপ-ভালো, নোংরা-পরিছন্ন ইত্যাদি নানান বিষয়ের চাইতে যা জরুরী তা হল, ক্রমশ বাড়ছে সমকামী যুগলদের হার। এর কারন হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অবিশ্বাস এই অনীহার মূল কারণ। নারী এবং পুরুষ উভয়েই নানাভাবে বিপরীত লিঙ্গের দ্বারা শারীরিক/ মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়ে থাকে, নারীদের ক্ষেত্রে আবার নির্যাতিত হবার হার আবার অনেকটাই বেশী। বিশেষ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন। এমনটা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে স্বামী বা প্রেমিক দ্বারা শারীরিক-মানসিক নির্যাতিত হবার পর অনেক নারীই পরবর্তী জীবনে বেছে নিয়েছেন একজন নারী সঙ্গীকে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও পরিবেশ- পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেলে থাকা, নাবিক বা যোদ্ধার জীবনে পুরুষেরা সমকামিতায় বেশী আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তবে কেবল পরিবেশ পরিস্থিতি নয়, সাথে আছে মানসিক কারণও।
তবে কারণ যাই হোক না কেন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে সমকামিতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যতই দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন, সমাজ বিজ্ঞানীদের ধারণা যে আরও প্রবল ভাবে দেখা দিতে যাচ্ছে বিষয়টি। এবং হ্যাঁ, আমাদের সমাজও আশ্চর্যজনকভাবে এর বাইরে নয়।
0 comments:
Post a Comment