হয়তো আজই, মধ্য রাতের পর।।
ঘড়ির কাটা যখন পেরিয়ে গেছে বারোর পরেরও কিছু সংখ্যা
তখন জানলার কার্নিশ গলে আমার বিছানায় কোন জোছনা নেই।
ওপাশে শুধু অন্ধকার, যেন আলো খোঁজা শবশয্যার নিশ্ছিদ্র কবর।
তাই আজ রাতে কোন রূপকথাও নেই,
তাড়া নেই কাউকে ভালোবেসে কোন ছায়াপথ হাঁটার,
শুধু অখন্ড অবসর।।
বাতাসে জারুল গাছের পাতারা কাঁদে সর-সর
বহুদূর থেকে ভেসে আসে যেন কিছু অচেনা মৃদু শব্দের দীর্ঘশ্বাস।।
বৃত্তের মাঝে দাড়িয়ে হঠাৎ মনে হয় কেউ নেই, কখনো ছিলোও না যেন।
অন্ধ আমি বহুকাল কোন প্রিয়মুখ দেখি না।
স্পর্শ হয়ে আছে পক্ষাঘাতগ্রস্থ, বিবর্ণ
শুনি নি কোন প্রিয় কন্ঠের কল্লোল - জলোচ্ছ্বাস।।
আজ আমার আদিগন্ত বিস্তৃত মশারীর জালে পাক খেয়ে সাপ হয়ে জড়ায় নিঃসঙ্গতা।।
বাড়ির উঠোনে কার যেন ত্রস্ত পায়ের চলাচল
সময় তবে বুঝি ফুরিয়ে এলো,
কিছু পরেই হয়তো দরজায় করাঘাত,
তারপর কিছু একটা হাটু গেড়ে চেপে বসবে বুকের উপর।
মটমট শব্দে ধীরে ভাঙ্গবে পাঁজরের হাড়।
তারপর .....হয়তো মুক্তি,
...হয়তো শূন্যতা।।
আমি দু'য়েরই অপেক্ষায় আছি।
হয়তো সকাল, নয়তো মৃত্যুর।।
মাঝে আমার জানলা শূন্য ছোট্র ঘরের মশারীতে জমাট বাঁধে
বুকের দূষিত হীম শীতল বাষ্প শিশির।।
0 comments:
Post a Comment