রক্তে অক্সিজেন পরিবহনব্যবস্থায় আয়রনের উপস্থিতি থাকায় রক্ত সংবহনতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আয়রন বা লৌহ। আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া নামের রোগ দেখা দিতে পারে। অ্যানিমিয়া হলে শরীরে ক্লান্তি আসে, অনেক ক্ষেত্রে ত্বক ফ্যাকাসে হওয়া এবং এক ধরনের শারীরিক অস্থিরতাও হতে পারে
টক ফল: ভিটামিন সি পাকস্থলীতে অম্লত্ব বাড়ায়, যার ফলে আয়রন শোষণ বেশি হয়। শরীরে আয়রনের অভাব ধরা পড়লে আমলকী, পেয়ারা, পেঁপে, টমেটো, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি এবং ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত যেকোনো ফল খাদ্যতালিকায় রাখুন।
যকৃৎ: গরু, মুরগি, খাসি বা ভেড়ার যকৃৎ বা কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। ১০০ গ্রাম কলিজা থেকে প্রায় ২৩ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
শেল ফিশ: অয়েস্টার, মুসেল এবং যেকোনো খোলসাবৃত প্রাণীর মাংসেও প্রচুর আয়রন থাকে। শামুক, ঝিনুক বা অয়েস্টারের প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে প্রায় ২৮ মিলিগ্রাম আয়রন। ফলে চিংড়ি মাছ খেতে পারেন আয়রনের ঘাটতি পূরণে।
তেলবীজ: কুমড়া, শসা, বাঙ্গি ও তরমুজের বীজ আয়রনসমৃদ্ধ। এ ধরনের বীজের ১০০ গ্রাম থেকে প্রায় ১৫ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া সম্ভব। পেস্তা বাদাম, চীনাবাদাম, অ্যালমন্ড ও অন্য কোনো প্রজাতির বাদাম আয়রনসমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম বাদামে আয়রন থাকে ৬ মিলিগ্রাম।
পাতাজাতীয় শাকসবজি: পুঁই শাক, পালং শাক, কচু, মুলা, শালগম, পাতাকপি ও ফুলকপিতে আয়রন পাওয়া যায়। এ ধরনের প্রতি ১০০ গ্রাম সবজি থেকে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
চকোলেট ও কফি: ডার্ক চকোলেট ও কফি আয়রনসমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম চকোলেট বা কফিতে প্রায় ১৭ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
বিফ ও ল্যাম্ব: প্রতি ১০০ গ্রাম বিফ বা ল্যাম্বে প্রায় ৪ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
0 comments:
Post a Comment