একটি কাল্পনিক গল্প


কফি শপে জমিয়ে আড্ডা চলছে। পাঁচ বন্ধু একসাথে।


ভার্সিটির ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে এমন আড্ডা ওদের


প্রায়ই হয় ।


কথা প্রসঙ্গে এসে যায় প্রেম-ভালোবাসা ।


চলতে থাকে মজা করা। জীবনে কে কটা মেয়ের


দিকে তাকিয়েছে,কে সব থেকে বেশি সুন্দর ছিল-- এই ছিল তাদের আলাপ


এমন সময় কফি শপে এসে বসে "পরী" রুপী একটা মেয়ে ।


পাঁচে বন্ধু "থ" বনে গেছে। মেয়েলি আলাপে মেয়ের


আগমন!! জোশ টাইমিং! বলেই ফেলল হিমেল।


এবারে শুরু হল সামনে বসা নতুন আগত


মেয়েকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা।


একেক জনের একেক


গল্প। কেবল চুপটি মেরে বসে রয়েছে অমিত । অমিত কোনও


কথা বলছে না । সে শুধু মন


দিয়ে কফি খাচ্ছে আর ওর বন্ধুদের কার্যকলাপ


দেখছে। হঠাৎ বন্ধুদের মধ্যে বাজি ধরা হল৷ হিমেল মেয়েটার


সাথে কথা বলতে যাবে।পারলে ৫০০ টাকা।


হিমেল চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েছে।


পথ আটকে ধরলো অমিত । ও আমার ছোট বোন!!


-কী!!!!!


বোম ফাটা চেহারা নিয়ে বাকি চারজনে এর ওর


দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে । এতক্ষণ অমিতের সামনেই ওর ছোট


বোনকে নিয়ে হরেক মন্তব্য করা হয়েছে ।


আর এ জন্যই বোধয় অমিত এতক্ষণ চুপচাপ ছিল ।


দোস্ত সরি- এক্সট্রিমলি স্যরি, বলল হিমেল।


-ইটস ওকে! আস্তে সুরে বলল অমিত।


ক'দিন বাদে অমিতদের বাসায় অমিতের


জন্মদিনে সবার দাওয়াত।


খেতে খেতে এসে গেলো অমিতের বোনের প্রসঙ্গ।


-কই, ছোট আপুটাকে দেখছি না'তো, বলল তমাল ।


আমার কোনও বোন নেই!!


অমিতের দৃঢ় জবাব ।


-খাওয়া বন্ধ হয়ে হা হয়ে গেছে বাকি চারজনের মুখ ।


তবে যে সেদিন বললি- "ও তোর বোন!"


-মিথ্যা বলিনি !! আমি ওকে বোনের নজরে দেখেছিলাম ।


অমিতের সহজ সরল জবাব।


বন্ধুদের মুখেও কোনও


কথা নেই।


একটা মেয়ে আপনজনের বোন হলেই সে হয় সম্মানের পাত্র-ছোট বোন,


আর অপরিচিত জনের বোন মানেই


"গল্প করার আইটেম"!!


ধিক্ এ সকল বন্ধুদের , ধিক এমন মন মানসিকতা কে ।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!