ইয়াবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


ইয়াবা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এ সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি বা এটি শরীরের ওপর কি কি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে অনেকেই আমরা তেমন কিছুই জানি না।


নেশার এই উপকরণের মূল উপাদান মিথাইল অ্যামফিটামিন এবং ক্যাফেইন। ইয়াবাতে ২৫ থেকে ৩৫ মিলিগ্রাম মিথঅ্যামফিটামিন এবং ৪৫ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে।


ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ও সাহিত্যিক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা।


তিনি বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে।


ইয়াবা সেবনে যৌবন ও জীবনীশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। ইয়াবা সেবনকারীদের দাম্পত্য জীবন চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। ইয়াবা সেবনকারীদের নার্ভ বা স্নায়ুগুলো দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অচল হয়ে যায়। যেহেতু ইয়াবা সেবনকারীরা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে, স্বাভাবিকভাবেই তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অস্থিরতার কারণে তারা যে কোন অঘটন ঘটাতে পারে।


তাই ইয়াবার প্রতিরোধে সমাজের সচেতন সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আপনার সন্তানদের প্রতি যত্নবান হন। টাকা চাওয়া মাত্রই সন্তানকে টাকা না দিয়ে তাকে সময় দিন। বন্ধুর মতো সপ্তাহে একদিন হলেও সময় দিন। মনে রাখবেন, আপনার সন্তান যদি দীর্ঘদিন ইয়াবা আসক্ত হয়ে যায় তবে প্রচুর টাকা খরচ করেও তার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাকে হয়তো আংশিক সুস্থ করা যাবে, কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার সন্তান থাকবে জীবন্ত একটি লাশের মতো।


ইয়াবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইয়াবা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এ সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। তবে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি বা এটি শরীরের ওপর কি কি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে অনেকেই আমরা তেমন কিছুই জানি না। নেশার এই উপকরণের মূল উপাদান মিথাইল অ্যামফিটামিন এবং ক্যাফেইন। ইয়াবাতে ২৫ থেকে ৩৫ মিলিগ্রাম মিথঅ্যামফিটামিন এবং ৪৫ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে।


ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ও সাহিত্যিক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা। তিনি বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে।


ইয়াবা সেবনে যৌবন ও জীবনীশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। ইয়াবা সেবনকারীদের দাম্পত্য জীবন চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। ইয়াবা সেবনকারীদের নার্ভ বা স্নায়ুগুলো দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অচল হয়ে যায়। যেহেতু ইয়াবা সেবনকারীরা শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে, স্বাভাবিকভাবেই তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অস্থিরতার কারণে তারা যে কোন অঘটন ঘটাতে পারে। তাই ইয়াবার প্রতিরোধে সমাজের সচেতন সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে আপনার সন্তানদের প্রতি যত্নবান হন। টাকা চাওয়া মাত্রই সন্তানকে টাকা না দিয়ে তাকে সময় দিন। বন্ধুর মতো সপ্তাহে একদিন হলেও সময় দিন। মনে রাখবেন, আপনার সন্তান যদি দীর্ঘদিন ইয়াবা আসক্ত হয়ে যায় তবে প্রচুর টাকা খরচ করেও তার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাকে হয়তো আংশিক সুস্থ করা যাবে, কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার সন্তান থাকবে জীবন্ত একটি লাশের মতো।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!