শসা খাওয়ার বিভিন্ন কারণ


পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি উত্পাদিত সবজির মধ্যে শসা চতুর্থ। শসা খাওয়ায় কত কী উপকারিতা মেলে জেনে নিন—


পানিশূন্যতা একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা। অনেকেই ভীষণ ব্যস্ততার কারণে নিয়ম করে পানি পান করতে পারেন না। তাদের জন্য আছে শসা। নিয়মিত শসা খেলে পানিশূন্যতা অনেকটাই কমে যায়।


প্রচণ্ড গরমে শরীরের ভেতর-বাইরে এক প্রকার তাপ সৃষ্টি হয়। এ তাপ শরীরের অনেক ক্ষতি করে। শরীরের তাপ কমিয়ে আনতে শসা খুবই উপকারী।


টক্সিন এক প্রকার এসিড। নানা ধরনের খাবার থেকে এ এসিড তৈরি হতে পারে। টক্সিন দূর করতে শসার রয়েছে কার্যকর ভূমিকা।


শরীরে প্রতিদিন যেসব ভিটামিন প্রয়োজন তার অনেকগুলোই সরবরাহ করে শসা। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ আছে, যা শরীরকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে। মানবদেহে প্রতিদিন শতকরা ১২ ভাগ ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় এ ১২ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ শসা নিজেই সরবরাহ করে।


এ সবুজ সবজি শরীরে যে পানি সরবরাহ করে, তা ত্বক সতেজ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে, যারা রূপসচেতন তাদের জন্য শসা খুবই প্রয়োজনীয় একটি খাবার। প্রতিদিন একটি করে শসা খেলে ত্বকের লাবণ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।


শরীরের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া অতিরিক্ত ওজন কমাতেও রয়েছে ভূমিকা। অনেকেই বিষয়টা জানেন যে শসা চর্বি কাটে।


ভিটামিন ‘এ’ থাকে বলে শসা চোখের জন্যও উপকারী। শিশু বয়স থেকেই শসা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে চোখের নানাবিধ সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তাই অভিভাবকদের দায়িত্ব শিশুকে নিয়ম করে শসা খাওয়ানো।


শসা ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়। প্রোস্টেট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে নিয়ম করে এ সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।


শরীরে ইনসুলিন সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে শসার ভূমিকা অপরিসীম, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। শরীরে মেদ, চর্বি নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা আছে। যারা উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের জন্যও এটি উপকারী।


মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। এছাড়া ভিটামিন ‘সি’ থাকায় মুখের যেসব রোগ হয়, তা একদমই কমে যায়। স্কার্ভি ও মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে শসার বিকল্প নেই।


নিয়মিত এ সবজি খেলে হাতের নখ মজবুত হয় এবং চুলও থাকে মসৃণ।


প্রতিদিন তিন থেকে চার টুকরা শসা খেয়ে ঘুমালে পরদিন অনেকটাই সতেজ আর প্রাণবন্ত মনে হয় নিজেকে। অযাচিত মাথাব্যথা দূর হয় এটি খেলে।


আজকাল দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দূষিত পানি পান করার ফলে এ অবস্থা হয়। শসা যেহেতু একটি সবজি, তাই এর ভেতর দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই নিয়মিত তাজা শসা খেলে কিডনি সচল থাকবে অনায়াসেই।

0 comments:

Post a Comment

" কিছু স্বপ্ন আকাশের দূর নীলিমাক ছুয়ে যায়, কিছু স্বপ্ন অজানা দূরদিগন্তে হারায়, কিছু স্বপ্ন সাগরের উত্তাল ঢেউ-এ ভেসে যায়, আর কিছু স্বপ্ন বুকের ঘহিনে কেদে বেড়ায়, তবুও কি স্বপ্ন দেখা থেমে যায় ? " সবার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক এই শুভো প্রার্থনা!